একটা অলৌকিক অন্ধকার বন্ধ দরোজার সম্মুখে আমি
জীবনভর একাকী। দাঁড়িয়ে আছি বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের
দ্বন্দ্ব দোলায়। আমার নিঃশ্বাসে প্রশ্ন, প্রশ্ন দেহ, মনে আত্মায়।পূনর্জন্ম বলতে কিছু আছে কি? মৃত্যুর পর আত্মার ঠিকানা কোথায়?
সে কি উড়ে যায় অদৃশ্য হাওয়ায়—কিংবা আশ্রয় নেয়
কোনো সদ্যোজাত শিশুর দেহের খাঁচায়? তার সুতীব্র কান্নায়
ইহজন্মের সব স্মৃতিই কি মুছে যায়?
এত প্রশ্ন— তবুও তার সঠিক উত্তর পাই না
কোনো বিজ্ঞানে, বিশ্বাস অথবা ধারণায়।
উত্তর যিনি দিতে পারেন তিনি আছেন মহাগ্রন্থে রহস্যময় নীরবতায়।
তবুও আমি পুনর্জন্ম চাই—হতে চাই জাতিস্মর
পুনর্ভরে আমার দেহে শুধু তোমার আত্মাটুকু পেতে চাই,
চিরে চিরে দেখতে চাই আমি কতটা অনাহুত ছিলাম
তোমার বুকের ভেতর রোদ, বৃষ্টি, জল জোছনায়
তোমার সমস্ত অবহেলা, অপমান—
থাক, পুনরাবৃত্তির প্রয়োজন নেই সেই সব নিষ্যন্দী যন্ত্রণার।
এসো, পরাজন্মে একটা আগাম দৃশ্য দেখা যাক;
তুমি রানি মৌমাছি, চাকভাণ্ড ছেড়ে উড়ছো শূন্যে—
ডানায় মৌ মৌ প্রণয়ের গান। অপেক্ষা—
একটি পুরুষ মৌমাছির জন্যে... শেষ আসঙ্গ লিপ্সায়।
আমি সেই যাচিত পুরুষ। অজানা নেই নিয়তি কিংবা পরিণতি।
আমি মুহূর্তেই উড়ে যাই, ধাবিত হই তোমার দিকে
তবে মৌমাছি নয়—কা কা কাক হয়ে—
ভীষণ ধূর্ত, সন্ত্রাসী, কালো চক্ষুর আমি এক বদ কালো কাক
জন্ম-জন্মান্তরে যে পৃথিবীর সব আবর্জনা খুঁটে খায়
এমনকি ঐ রানি মৌমাছিটাকেও।