ঘড়িতে দুইটা পাঁচ বাজে—রাত এখন স্তব্ধ নিঝুম
দু’চোখ বন্ধ করি—কল্পনায় দেখি ঘুমিয়ে রয়েছে এখন
আমার সুলোচনা সুবন্ধু ঝলক, পড়ছে না চোখে এতোটুকু পলক;কপাল আর একটি চোখ ঢেকে দিয়েছে ওর এলোমেলো চুল, দেখছি কি ভুল?
তখন বিদ্ধ হয় বুকে বাসনার ক্ষুধার্ত ক্ষুর,
সুপারম্যানের মতো উড়ে গেছি আমি আমার অচেনা শহর নদীঘেরা সুদুর গোপালপুর।
ভোমরার মতো উড়ছি এখন ওর ঘুমন্ত মুখের ওপর—হাতের উল্টোপিঠ
নাকের খুব কাছে নিলে টের পাই ওর উষ্ণ নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস—উথলায় উচ্ছ্বাস!
খুব ইচ্ছে করে তখন ঝলক, তোমার ঘুমন্ত অসতর্ক নরম ঠোঁটে
এঁকে দিই শত শত শত সহস্র চুম! দ্যাখো কেউ নেই জেগে এতো মিলনের মৌসুম!
বিনিদ্ররজনী কাটবে আমার আজ!—স্বপ্নে স্বপ্নে স্বপ্নে মুহুর্মুহুঃ দিয়ে যাব
তোমার কপালে কপোলে চোখে ঠোঁটে ঘনঘনঘন অজস্র চুম!
ভাঙাবো তোমার ঘুম!
হায় এতো কল্পনা!—বাস্তব হলো আমার সুবন্ধু সুলোচনা মায়াবি ঝলক
এখন এই নিঝুমরাতে ঘুমিয়ে রয়েছে সে যে যোজন যোজন দূর—
মনে হয় তাই আমার বিরহে কাঁদছে যেন তার নদীর শহর
সুদূর গোপালপুর!