সে কবিতা লিখেছিল যেন বর্ণময় মানচিত্র একহাতে
সে গান গেয়েছিল সাতসুরে বাঁধা একহাতে
সে হেসেছিল জলকল্লোলে, সব নদী ছুঁয়ে একহাতেসে ভালোবেসেছিল যারে—তার ছবি এঁকেছিল একহাতে
সে ছবি, সে নারীর দুটি ঠোঁট একবার ছুঁয়েছিল একহাতে।
সে অগ্নিপুত্র, রাজপথে হেঁটেছিল একহাতে
সে অগ্নিপুত্র, মিছিলে গিয়েছিল একহাতে
সে অগ্নিপুত্র, অগ্নিমশাল ছিল তার একহাতে।
প্রহারের চিহ্নগুলো, হাতকড়ি তার একহাতে
জেলের সেলে তার বন্দিজীবন একহাতে।
দিনভর পাথর ভাঙে, কোদাল কোপায় একহাতে
আহার তার পোড়ারুটি, ছিঁড়ে খায় একহাতে
নিদ্রাহীন রাত্রি কাটে স্মৃতিগন্ধে, শুয়ে থাকে একহাতে
শূন্য মেঝেয় আঁকিবুকি লেখে একহাতে একহাতে...
হাতের ভেতরে দাঁত, হাঙরের দংশন...
হাতের ভেতরে উম্মত্ত, উন্মাদ সমুদ্রগর্জন...
মহাবিদ্রোহের গানে গানে
সে অগ্নিপুত্র আঘাত হানে
শেকল ভাঙার শব্দ বেজে ওঠে তার একহাতে
বজ্রপাতে, অগ্নিপ্রপাতে—
পুড়ে যায়, ধসে যায় পৃথিবীর সব বন্ধ কপাট
তার হাতে, তার হাতে, তার হাতে...
সে অগ্নিপুত্র, রক্তাক্ত হাত উদ্যত
মুক্ত এক হাত তার লক্ষ হাত, লক্ষ যুদ্ধাস্ত্র।