শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
কবিতা

ঘাস ও অর্জুনছাল

ফজলুল হক

অনেকদিন ঘাস ও অর্জুনছালের সাথে কথা বলনি, অশ্রু এবং বাণীধ্বনিত

বৃষ্টি তাই তোমার ছায়া। মধ্যরাত। সমস্ত জীবন যেন রশ্মিবিকিরিত দীপ্যমান বাঘের গর্জনে জানিয়ে দিল, কর্মই ধর্ম। সাদা আলোর বর্শা তুলে তিতুমীরের কেল্লার অপেক্ষারত প্রাচীরের উপান্তে চাঁদের জলবিন্দু জেগে আছে, উত্তরার মতো তোমার নির্জন মুখ!

এই একটিমাত্র দৃশ্যকল্প জানে, কবি ও সন্ন্যাসীর অদৃষ্ট। রক্তের অক্ষরে

বর্ণমালার আদিম বিস্ফোরণ।

 

নিঃসময় কোলে নিক অন্ধকার। বাউলের অবশ আঙুল অনুসর্গের মৌচাক

মাড়িয়ে জরা ও সামান্যের যে জলসীমায় বীজ বোনে, প্রণয়ের ওই রুপালি

কাজের কাছাকাছি। কবি রেখে যায় অধিকারহীন আপ্লুত চুম্বন।

আরক্তিম আত্মঘাতের ভেতর থেকে ওঠে চাঁদ। শ্বেত করোটির সামনে ঝুলে থাকে পথ ও পাহাড়।

জন্ম এসে দাঁড়ায় মৃত্যুর ঠোঁট ছুঁয়ে। কেয়াগাছের প্রতিবেশী ঘাসগুচ্ছ শীতের শিশিরে-শিশিরে ভিজে গেলে ডানারা জানে সোনালি শীতের ইতিহাস। এবং আমরাই জানি— কেবল বিশ্বাসের জন্য একদিন আজও আঁকড়ে ধরে আছি ঘাস ও অর্জুনছাল।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর