সারাক্ষণই জন্মের মৃত্যু হচ্ছে,
মৃত্যুর জন্ম।
আমাদের অন্ধতায়ই এ এক অদৃষ্ট দৃশ্য। কানার অশ্রুত ধ্বনি।
জন্ম নেয় বটে মানুষেরা, সেদিন জনমই পরম,
জীবন-শেষের শুরু অত্যন্ত সুদূর, ক্ষীণ।
তবে, জন্মমাত্র জাতকেরা ক্ষয়ে-ক্ষয়ে যায়।
ক্ষয়ে-ক্ষয়ে যাচ্ছে তারা, যাচ্ছে দ্যাখো
মৃত্যুর দিকে,
পচনের। কবে না পোকায় ধরা দিন-রাত কাটে—
কখন না দাগ ধরে যায় পেটে-পিঠে,
বার-বার ঘুম আসে, হাই ওঠে, বাত, পক্ষাঘাত,
সব তৈরি করে অশেষ রাত্রিকে,
তার অনন্ত নিদ্রাকে।
ঠুনেকা জন্মের পরই নেমে আসে
বিদায়ের ঘুমের প্রহর।
দিনভর শুনি সন্ধ্যার ডাক,
জাগরণেও কোন্ নিদ্রার হাত
জীবনের এক মৃত্যু-ভূমে থাকা—
পূর্ণ হওয়া মৃত্যুরই হাতে, অনেক দীর্ঘতর
জন্ম-মৃত্যু দুই-ই, মাঝখানে কাঁচের দেয়াল
যা জন্মায়, তা আর তা থাকে না—
সে বড় হয়, ছোট, তার ছোট-বড় মৃত্যু হতে থাকে