শুক্রবার, ৩ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা
কবিতা

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিবেদিত ৩টি কবিতা

অনুবাদ : আন্দালিব রাশদী
[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সত্তরতম জন্মজয়ন্তীতে ১৯৩১ সালে ‘দ্য গোল্ডেন বুক অব ট্যাগোর’ গ্রন্থে প্রকাশিত তাকে নিবেদিত স্বল্প পরিচিত তিনজন কবির তিনটি কবিতা অনূদিত হলো।]

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতি

কিহাচি ওজাকি

আমি আপনার কাছ থেকে পান করি।

আপনি পর্বতের ঝর্ণাধারা,

আপনি ফুঁসে উঠে নিচে নেমে আসেন দ্রুত

মর্মর প্রস্তর, বাঁক ও শ্যামলিমা ধুয়ে দেন।

(আপনার স্বচ্ছ পুষ্পমাল্য, আপনার ফেস্টুন!

ও? সৌর-আভার দলটি মুহূর্ত!)

সারাদিনের ফের কাজের শেষে

আমার কাঠামো নুইয়ে আনি

তৃষ্ণায় অতিশয় আকুল ওষ্ঠ আপনাতে সিক্ত করি

আপনার গোধূলিবেলার জলে ডুবে আছে

                        খ্যাতির শীর্ষ বিন্দু

আপনার পর্যাপ্ত জলধারা সুস্বাদু, পরিষ্কার ও স্বচ্ছ।

আপনার পূর্ণ স্রোতের উপর

ভেসে থাকে ঝড়ের পরের প্রশান্তির বিবর্ণ সোনা

আর গোলাপি শিরোদেশ থেকে শিরোদেশে বহু দূরে,

ঈশ্বরের অস্ত্রবিরতির পতাকার চিহ্ন দেখা যায়।

হাজারো পূর্ব ধারণা আপনার হৃদয় স্ফিত করে,

বিশেষ পরে দিনের শেষ বেলায়।

আপনি নিজেকে দান করেন রাতের পবিত্র আঁধার।

আপনার গানের প্রতিধ্বনি নিয়ে আগামী দিনের প্রত্যাশায়।

                        ভরে যায় সন্ধ্যা

আমি আপনার কাছ থেকে পান করি সাঁঝের আলোর

                        উপাদেয় ঝর্ণাধারা

আপনারা যারা আগামীকালের প্রভাতের কথা ভেবেছেন

মলিন ও কোমল শৈবালের উপর হাঁটু গেড়ে বসেছেন

আমি পান করি এবং লোভীর মতন আপনার

                        জীবনের স্পন্দন

প্রত্যাশা ও জন্মে পরিপূর্ণ

সৃষ্টির মাতৃসুলভ আনন্দে ভরপুর।

(টোকিও)

 

রবীন্দ্রনাথ

এম অ্যানেসাকি

 

তাকিয়ে দেখো

হিমালয়ের চূড়ায় আলোর উদ্ভাস

রক্তবর্ণ দ্যুতি।

কে সন্দেহ করবে এ আলো

শেষ পর্যন্ত ঢুকে  যাবে গাঙ্গেয় সমতলে

 

উদিত সূর্যের

প্রথম স্পর্শে

পুণ্ডারিকা পদ্ম পাপড়ি মেলে

এর দ্যুতি ও সুঘ্রাণে

লালন করে বেহেশতের জীবন।

(নৃম্পেরিয়াল বিশ্ববিদ্যালয়, টোকিও)

 

আপনার জীবন অনন্ত হোক

চ্যাঙ মিঙ্গ

 

আমার জীবন অনন্ত হোক

            চাঁদ ও সূর্যের ঘূর্ণনের মতো

আপনার জীবন দীর্ঘ হোক

            উত্তরের পর্বতের সমান

আপনার জীবন বিকশিত হোক

            পাইন ও সাইপ্রেস বৃক্ষের মতো।

(কলকাতা)

সর্বশেষ খবর