শনিবার, ২১ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

ইন্টারনেট সিকিউরিটির সাতকাহন

সাইফ ইমন

ইন্টারনেট সিকিউরিটির সাতকাহন

সাইবার অ্যাটাক প্রতিনিয়তই বৃদ্ধি পাচ্ছে। একই সঙ্গে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।  প্রতিদিনই হ্যাকাররা নতুন নতুন ভাইরাস ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিচ্ছে। ফলে আমাদের ফেসবুক, টুইটার, গুগল সার্চ কোনটাই এখন আর নিরাপদ নয়।

কিছুদিন আগে নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত হয়েছে যে রাশিয়ান একটি হ্যাকার দলের কাছে বিভিন্ন অনলাইন অ্যাকাউন্টের লগইন তথ্য আছে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন! এখন কথা হচ্ছে সারা বিশ্বে আছে এমন অনেক হ্যাকার গ্রুপ যাদের কাছেও এরকম তথ্য আছে প্রচুর! এমনকি সেখানে থাকতে পারে আপনারও সবরকম অনলাইন অ্যাকাউন্টের লগইন তথ্যও। নিশ্চয়ই আঁেক ওঠার মতো বিষয়। আসুন জেনে নেই কীভাবে আপনার ইন্টারনেট সিকিউরড রাখবেন।

 

অপারেটিং সিস্টেম আপডেটেড রাখুন

আমরা অনেকেই পিসিতে উইন্ডোজ বা অন্য অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করেই নিশ্চিন্ত হয়ে যাই। আবার অনেকেই  অটোমেটিক আপডেট বন্ধ করে রাখি মেগাবাইট খরচের ভয়ে। এমনটা করা মোটেই উচিত নয়। মেগাবাইট  ব্যবহার হলেও একবার আপডেট নেবার পর আর তেম মেগাবাইট ব্যবহার হয় না। তাই অপারেটিং সিস্টেম সব সময় আপডেটেড রাখুন। পাশাপাশি নিয়মিত ব্যবহার করেন এমন সব সফটওয়্যারও আপডেটেড রাখুন।

অবাঞ্ছিত ই-মেইল অ্যাটাচমেন্ট থেকে সাবধান

অবাঞ্ছিত ই-মেইল থেকে আসা অ্যাটাচমেন্ট খোলা থেকে বিরত থাকুন। কারণ, অনেক সময় অবাঞ্ছিত ই-মেইল থেকে কিছু মেইল আসে যা ক্ষতিকর প্রোগ্রাম যেমন ভাইরাস, ম্যালওয়ার এবং ওরমস হতে পারে। এই প্রোগ্রামগুলো সিস্টেমের সার্ভার ধ্বংস করে দিতে পারে।  এই সমস্যা এড়াতে উত্তম পন্থা হচ্ছে অবাঞ্ছিত ই-মেইল রিসিভ করা মাত্রই তাত্ক্ষণিকভাবে তা ডিলিট করা।

 

এন্টিস্প্যাম সফটওয়্যার ইন্সটল করুন

আপনি আপনার কম্পিউটারে একটি এন্টিস্প্যাম সফটওয়্যার ইন্সটল করুন। এই সফটওয়্যার আপনার ইমেইল প্রোগ্রামের ইনবক্স থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্ক্যান করবে এবং আক্রমণকারী ই-মেইল প্রতিরোধ করবে। এটা খুবই কার্যকর একটি উপায়।

 

তিন মাস পর পর পাসওয়ার্ড বদলান

নিয়মিত তিন মাস পর পর পাসওয়ার্ড বদলে ফেলুন। এতে করে হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি কমে যায়। পাসওয়ার্ড এমনভাবে নির্বাচন করুন যেন কেউ সহজে তা অনুমান করতে না পারে। 

 

ই-মেইলের নিরাপত্তায় জোর দিন

বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আইডি খোলার জন্য ই-মেইল অ্যাকাউন্ট প্রয়োজন হয়। যাদের আগে থেকে ই-মেইল অ্যাকাউন্ট নেই তারা নতুন করে ই-মেইল অ্যাকাউন্ট খুলে কিন্তু এর নিরাপত্তায় উদাসীন থাকেন আবার অনেকেই আছেন একেবারে ভুলে যান পাসওয়ার্ড। এটা অবহেলা করা উচিত নয়। কারণ, আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কোনো আইডি হ্যাক হলে তা ফিরে পাওয়ার জন্য ই-মেইলই হচ্ছে সবচেয়ে নিরাপদ মাধ্যম।

 

নকল ওয়েবসাইট এড়িয়ে চলুন!

ব্রাউজিংয়ের সময় নকল ওয়েবসাইট সব সময় এড়িয়ে চলুন। এ ধরনের কোনো সাইটে প্রবেশের ক্ষেত্রে ব্রাউজার থেকে সাধারণত সতর্ক করা হয়।

 

পেয়ার-টু-পেয়ার নেটওয়ার্ক ব্যবহার করবেন না

পেয়ার-টু-পেয়ার নেটওয়ার্ক ম্যালওয়ার এবং ভাইরাস আক্রমণের সাধারণ বাহন হিসেবে কাজ করে। তাই পেয়ার-টু-পেয়ার নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।

 

‘অ্যাড অন’ ব্যবহার করুন

‘অ্যাড অন’ ব্যবহার করুন। এটা রং পরিবর্তনের মাধ্যমে আপনার ব্রাউজ করা সাইটটি নিরাপদ কিনা জানিয়ে দিতে পারে। ফলে আপনি তাত্ক্ষণিকভাবে অনিরাপদ কোনো সাইট শনাক্ত করতে পারবেন।

ফায়ারফক্স ব্রাউজারে একটি ফ্রি ‘অ্যাড অন’ থাকে। সেই সঙ্গে ইন্টারনেট থেকে অপরিচিত কোনো সফটওয়্যার আপডেট কিংবা কোনো কিছু ডাউনলোড ও ইনস্টল করার বিষয়ে সতর্ক থাকুন।

সর্বশেষ খবর