শনিবার, ২১ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা
উদ্ভাবন

অ্যাভাটারের আদলে মনুষ্যবাহী রোবট

অ্যাভাটারের আদলে মনুষ্যবাহী রোবট

প্রখ্যাত হলিউড নির্মাতা জেমস ক্যামেরনের চলচ্চিত্র অ্যাভাটার মুক্তি পায় ২০০৯ সালে। জেমস ক্যামেরনের চলচিত্র মানেই চমক, নতুনত্ব আর ভবিষ্যৎ বিজ্ঞানের নতুন দুয়ার। প্রত্যাশিতভাবেই সায়েন্স ফিকশন থ্রিলার ঘরানার চলচিত্র অ্যাভাটার গোটা বিশ্বে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়। এ চলচিত্রের পরিচালক প্রথম মানুষ্যবাহী রোবটের ধারণা দেন। এবার সেই চলচিত্রে ব্যবহূত মানুষ্যবাহী রোবটের আদলে বিশেষ রোবট তৈরি করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানি হ্যানকক মিরাই। চলচিত্রে যেমন দেখানো হয়েছিল ঠিক তেমনই জঙ্গল, মরুভূমি, সমতল, অসমতল যে কোনো স্থানে চলাচলে সক্ষম এ মানুষ্যবাহী রোবট। বিশাল আকারের রোবটটি লম্বায় চার মিটার এবং ওজন প্রায় দেড় টন। রোবটটির একেকটি হাতের ওজনই একশ’ ৩০ কেজি করে। প্রায় ২০ কোটি ডলার বাজেটের এই রোবটটি নির্মাণে কাজ করছেন ৩০ জন প্রকৌশলী। তারা এমনভাবে রোবটটির নকশা করেছেন যাতে এটি যে কোনো পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। এমনকি যে কোনো পরিস্থিতিতে কাজ করতে সক্ষম এই রোবট। যে কেউ এর ভিতর ও বাইরে থেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে এটিকে। রিমোট কন্ট্রোল ডিভাইস দিয়েও নিয়ন্ত্রণ করা যায় এই মানুষ্যবাহী রোবট। মানুষ্যবাহী এ রোবট প্রসঙ্গে হ্যানকক মিরাই টেকনোলজির সভাপতি ইয়াং জিনহো বলেন, ‘শৈশব থেকেই আমার ইচ্ছা ছিল রোবট বানানোর। এখন আমার কাজও করছি রোবটিক্সে। এমন রোবট বানাতে চেয়েছি যা কিনা ভবিষ্যতে মানুষের পরিবর্তে ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে কাজ করতে সক্ষম। সে অনুযায়ী আমরা কিছু গবেষক একসঙ্গে হয়ে কাজ শুরু করি। আমার ট্রান্সফরমার্স, রোবোকপ ও টার্মিনেটরের মতো চলচ্চিত্রে কাজ করার অভিজ্ঞতা ছিল। এখন সেই অভিজ্ঞতাই কাজে লাগছে।’ হ্যানকক মিরাই আরও বলেন, ‘এই মানুষ্যবাহী রোবট মূলত তৈরি করা হয়েছে চলচ্চিত্র বা থিম পার্কের মতো পরিস্থিতিতে কাজ করার জন্য। পাশাপাশি এটি শিল্প-কারখানা থেকে শুরু করে সামরিক বাহিনীর নানা কাজেও ব্যবহার করা যেতে পারে।’ তবে রোবটটি নিয়ে বড় পরিসরে কাজ করার প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন এ বিজ্ঞানী। সব ঠিকঠাক থাকলে ২০১৭ সালের শেষে বাণিজ্যিকভাবে বাজারে বিক্রির জন্য প্রস্তুত হবে এ রোবট। রোবটটির মূল্য হবে প্রায় ৮৩ লাখ ডলার।

সর্বশেষ খবর