শনিবার, ৪ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে বাংলাদেশির চমক

[ড. নীনা আহমেদ]

যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে বাংলাদেশির চমক

কর্মজীবী মানুষের সেবার মাধ্যমে যিনি আলোচনায় আসেন, তিনি আর কেউ নন, ড. নীনা আহমেদ। একজন মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পর নিজের কর্মক্ষেত্রে সাফল্যের দেখা পান। আমেরিকায় বাঙালি কমিউনিটিতে তার সেবা করার মানসিকতা প্রশংসনীয়। একই সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন আমেরিকার মূলধারার রাজনীতিতে। ডেমোক্রেটিক প্রার্থীদের হয়ে কাজ করে বিপুল সমর্থন পান। বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট হিসেবে জয়লাভ করলে তার প্রত্যক্ষ প্রভাব সবার সামনে চলে আসে। এরপর প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাকে এশিয়ান-আমেরিকান উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত করেন। এখান থেকেই আমেরিকার রাজনীতিতে এই বাঙালির সাফল্যের গল্প নতুন মাত্রা লাভ করে। যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠ ‘ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভেনিয়া’ থেকে ১৯৯০ সালে রসায়ন বিষয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। তারপর পোস্ট ডক্টরাল ট্রেনিং নেন আরেক বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান থমাস জেফারসন ইউনিভার্সিটিতে। পোস্ট ডক্টরাল ট্রেনিংয়ের সময় তিনি বংশানুক্রমে ‘গেটে বাত’ বিস্তারের প্রবণতা উদ্ঘাটনের গবেষণায় অবদান রাখতে সক্ষম হন। তারপর তিনি ‘মেথডস অব ডিটেকটিং-এ জেনেটিক প্রিডিসপজিশন ফর অস্টিয়োআর্থ্রাইটিসের অন্যতম একজন প্যাটেন্টধারী হন। ১৯৯২ সালে তিনি ‘বাওয়ার রিসার্চ ফেলো’ হিসেবে যোগ দেন উইলস চক্ষু হাসপাতালে। ২০০৫ সাল নাগাদ এ গবেষণায় তিনি বিশেষ পারদর্শিতা প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে জেফারসন মেডিকেল কলেজে অপথালমলজি ডিপার্টমেন্টে সহকারী অধ্যাপকে উন্নীত হন। ড. নীনা আহমেদ এই মেডিকেল কলেজের মলেক্যুলার বায়োলজি ডিপার্টমেন্টের পরিচালক পদেও অধিষ্ঠিত হন। জেফারসন হাসপাতালের পাশাপাশি উইলস চক্ষু হাসপাতালে ফ্যাকাল্টি হিসেবে কর্মরত অবস্থায়ই তিনি একটি কোম্পানি (জেএনএ ক্যাপিটল ইনক) চালু করেন। এতে শহরের আশপাশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ব্যবসা-বিনিয়োগে পরামর্শ প্রদানের ক্ষেত্র প্রসারিত হয়। চিকিত্সাবিজ্ঞানী হয়েও ড. নীনা ব্যস্ততার পাশাপাশি নিজেকে জনসেবায় উত্সর্গ করেন। এ ছাড়া নীনা আহমেদ পেনসিলভেনিয়া অঙ্গরাজ্যের ফিলাডেলফিয়া সিটির অধিকারবঞ্চিত মানুষের নির্ভরতার প্রতীক হয়ে ওঠেন। আর সে কারণেই নীনা আহমেদ ক্ষমতায় এলে গুরুত্বপূর্ণ এ দায়িত্ব লাভ করেন।

সর্বশেষ খবর