শনিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
সাফল্য

দেশে উদ্ভাবিত প্রথম ওষুধ ‘ন্যাসভ্যাক’

দেশে উদ্ভাবিত প্রথম ওষুধ ‘ন্যাসভ্যাক’

অধ্যাপক ডা. মামুন-আল-মাহতাব ও অধ্যাপক ডা. শেখ মোহাম্মদ ফজলে আকবর

দেশে উদ্ভাবিত প্রথম ওষুধ হিসেবে রেজিস্ট্রেশন পেতে যাচ্ছে ‘ন্যাসভ্যাক’। হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তিদের চিকিৎসায় অধিকতর কার্যকর এ ওষুধ উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশের দুই গবেষক। ওষুধের রেসিপি ইতিমধ্যেই অনুমোদন হয়ে গেছে। এখন ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরির অনুমোদন পেলেই তা বাজারে আনবে দেশের ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিকন।

জাপান প্রবাসী বাংলাদেশি লিভার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. শেখ মোহাম্মদ ফজলে আকবর ওষুধটি উদ্ভাবনের জন্য মৌলিক গবেষণা সম্পন্ন করেন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মামুন-আল-মাহতাব ওষুধের কার্যকারিতা যাচাইয়ের প্রধান পরীক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

অধ্যাপক আকবর ২৫ বছর ধরে হেপাটাইটিস-বি এর নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা করছেন। তার গবেষণার মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে, হেপাটাইটিস- বি’র বিরুদ্ধে মানুষের নিজের রোগ প্রতিরোধক্ষমতাকে বাড়িয়ে দিয়ে ভাইরাসটিকে নিয়ন্ত্রণ করা। এ উদ্দেশে ডা. আকবর প্রথমে ইঁদুরের ওপর গবেষণা করেন। পরে জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে হেপাটাইটিস-বি রোগীদের ওপর ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষা পরিচালনা করেন। পরবর্তী সময় আরও গবেষণার জন্য ডা. মাহতাব বাংলাদেশে  প্রায় এক হাজার হেপাটাইটিস-বি রোগীর ডেটাবেস তৈরির পর তাদের ওপর ওষুধের প্রয়োগ করে এর কার্যকারিতা সম্পর্কে নিশ্চিত হন।

হেমাটোলজিস্টদের মতে, বর্তমানে হেপাটাইটিস- বি ভাইরাসে আক্রান্ত মারাত্মক রোগীদের চিকিৎসায় যেসব ওষুধ ব্যবহার করা হয় সেগুলোর পূর্ণ কোর্সের খরচ পড়ে সাড়ে চার লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকা। আবার কিউবায় উৎপাদিত ন্যাসভ্যাক ব্যবহার করলে প্রয় ১০ লাখ টাকা ব্যয় হয়। কিন্তু দেশে ন্যাসভ্যাক উৎপাদন করা হলে এর দাম পড়বে দুই লাখ টাকার মতো। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটির নিবন্ধন পাওয়া গেলে সিভিয়ার হেপাটাইটিস-বি রোগীদের চিকিৎসাব্যয় অর্ধেকেরও নিচে নেমে আসবে।

সর্বশেষ খবর