বয়স মাত্র ছয় বছর। ইতিমধ্যে পৃথিবীর কম বয়সী সুন্দরীর খেতাব জিতে নেন এই রুশ শিশুকন্যা। অন্তরজালের বড় সেলিব্রেটি হতে খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি। পিছু ছাড়ছে না বিশ্বের বাঘা বাঘা গণমাধ্যম। রাশিয়ার বড় বড় বিজ্ঞাপন নির্মাতা কোম্পানিগুলো হাত ধুয়ে নেমেছে তার পেছনে। নিজের ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ার ছড়িয়েছে রেকর্ডসংখ্যক। তারাই দিয়েছেন ‘বিশ্ব সুন্দরী’র খেতাব। পৃথিবীর সবচেয়ে কনিষ্ঠ বিশ্বসুন্দরীর নাম অ্যানাস্তাসিয়া কেনিজেভা অ্যানা। বসবাস করছে রাশিয়ার রাজধানী শহরতলি মস্কোতে।

অ্যানাস্তাসিয়া এই বয়সেই মডেল হিসেবে কাজ করে। বিজ্ঞাপন এবং ফ্যাশন শো চিত্রগ্রহণের মতো চ্যালেঞ্জমূলক কাজে সে অংশ গ্রহণ করে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন ছবির বিজ্ঞাপন ব্যানারেও তার ছবি দেখা যায়। বিভিন্ন ফ্যাশন ব্যান্ডের সঙ্গে ছোট্ট এই শিশুকন্যার চুক্তিও রয়েছে। সেই বিজ্ঞাপন এজেন্সির এক প্রতিনিধি জানান, ‘অ্যানাস্তাসিয়াকে আমরা যখন খুঁজে পেয়েছি তখন তার বয়স ছিল মাত্র আড়াই বছর। প্রায় দুই শত শিশু নির্বাচন করা হয়।’ রুশ এই বিজ্ঞাপন এজেন্সির কর্তা আরও জানান, ‘অ্যানার চেহারা দেখে প্রথম তাকে চূড়ান্ত করা হয়। সে সত্যিই খুব সুন্দর। তার পুতুল আকৃতির মুখ, নীলাভ চোখ, বাদামি চুল প্রশংসার দাবিদার।’

বলা যায়, অ্যানাস্তাসিয়াকে এ উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া কিংবা তাকে সুন্দরী হিসেবে বিশ্বের সামনে হাজির করার পেছনের কারিগর তার মা। যিনি নিয়মিত মেয়ের মডেলিং অ্যাডভেঞ্চারের ছবিগুলো ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার তুমুল জনপ্রিয়তার কারণে ইউরোপের মিডিয়া তাকে নতুন ‘থিলান ব্লনডিউ’ আখ্যা দিতে শুরু করেছে। কারণ ফরাসি মডেল থিলান ব্লনডিউয়ের মতোই অ্যানার রয়েছে আকর্ষণীয় নীল চোখ আর বাদামি চুল।

উল্লেখ্য, এর আগে তরুণ রাশিয়ান মডেল ক্রিস্টিনা পিমেনোভাকে নিয়েও এমন বিতর্ক উঠেছিল। মাত্র আট বছর বয়সে তাকেও বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী মেয়ে হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সে সময় ক্রিস্টিনার ফেসবুকে ২৫ লাখ এবং ইনস্টাগ্রামে প্রায় পাঁচ লাখ অনুসারী ছিল।