শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

রাশেদের সিটিজেন অ্যাওয়ার্ড

শনিবারের সকাল ডেস্ক

রাশেদের সিটিজেন অ্যাওয়ার্ড

সামাজিক কাজে বিশেষ অবদানের জন্য প্রতি বছর ‘সিটিজেন অব দ্য ইয়ার’ অ্যাওয়ার্ড দেয় অস্ট্রেলিয়া সরকার। এ বছর এই সম্মাননা পেয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সাংবাদিক রাশেদ শ্রাবণ

 

ভালো কাজের স্বীকৃতি মানেই গর্বের। এমন স্বীকৃতি ঘরোয়া আয়োজনে হলেও গর্বের কিছু কমতি থাকে না। সেখানে আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে কোনো পুরস্কার মানেই গোটা জাতির জন্য সম্মানের। সম্প্রতি সে সম্মানই বয়ে এনেছেন নোয়াখালীর এক মুক্তিযোদ্ধা বাবার সন্তান রাশেদ শ্রাবণ। ২৬ জানুয়ারি অস্ট্রেলিয়ান-ডে উপলক্ষে অস্ট্রেলিয়ান সরকারের পক্ষ থেকে সবচেয়ে বড় পুরস্কার ‘সিটিজেন অব দ্য ইয়ার-২০১৮’এ ভূষিত হন তিনি। সিটি অব ব্যাংক টাউন এবং কান্টারবুরি থেকে তিনিই ছিলেন একমাত্র নমিনেশন পাওয়া বাঙালি।

রাশেদ শ্রাবণ ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি চিটাগাং থেকে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিংয়ে ব্যাচেলর করে অস্ট্রেলিয়ায় যান। তিনি ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটি থেকে মানবসম্পদ ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। এখন তিনি মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ে পিএইচডি করছেন।

অস্ট্রেলিয়ায় একাউন্টিং বডি সিপিএ মেম্বার এবং ফিন্যান্সিয়াল অ্যাসোসিয়েশন অব এশিয়া প্যাসিফিকের মেম্বার। তিনি এনটিভি অস্ট্রেলিয়ার প্রধান কর্মকর্তা।

সামাজিক কাজে বিশেষ অবদানের জন্য প্রতি বছর ‘সিটিজেন অব দ্য ইয়ার’ অ্যাওয়ার্ড দেয় অস্ট্রেলিয়া সরকার। এ বছর এই সম্মাননা পেয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সাংবাদিক রাশেদ শ্রাবণ। সম্মাননা গ্রহণের পর রাশেদ শ্রাবণ বলেন, ‘আপনি কোথা থেকে এসেছেন, কোন বর্ণের সেটা বড় বিষয় নয়। আপনি একজন অস্ট্রেলিয়ান, সেটাই আপনার বড় পরিচয়।’

রাশেদ শ্রাবণ বাংলাদেশ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এ ছাড়া তিনি অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা এবং সাধারণ সম্পাদক। রাশেদ শ্রাবণ অস্ট্রেলিয়া সরকারের সম্মাননা পাওয়ায় পুরো বাংলাদেশি কমিউনিটিতে খুশির আমেজ বয়ে যাচ্ছে বলে জানান কাউন্সিলর সাহে জামান টিটু। কাউন্সিলর নাজমুল হুদা বলেন, ‘একজন বাংলাদেশি এত অল্প সময়ে এই পুরস্কার পেয়ছেন, যেটা কমিউনিটিকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নেবে।’

সর্বশেষ খবর