শনিবার, ৩ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা
ড্রাকো নক্ষত্রপুঞ্জে

আরও একটি সৌরমণ্ডল!

শনিবারের সকাল ডেস্ক

আরও একটি সৌরমণ্ডল!

আমাদের সৌরমণ্ডলের মতোই আরও একটি সৌরমণ্ডল আছে ব্রহ্মাণ্ডে। দেখতে অবিকল আমাদের সৌরমণ্ডলের মতোই। এই সৌরমণ্ডলেও আটটি গ্রহ রয়েছে। শুধু তাই নয়, আমাদের সৌরমণ্ডলের গ্রহগুলো ঠিক যেভাবে একের পর এক সাজানো, ২ হাজার ৪৪৫ আলোকবর্ষ দূরে, ‘ড্রাকো’ নক্ষত্রপুঞ্জে থাকা সেই সৌরমণ্ডলও একই আঙ্গিকে সাজানো। বুধ, মঙ্গল, শুক্র, পৃথিবীর মতো ছোট চেহারার পাথুরে গ্রহগুলো যেমন আমাদের সৌরমণ্ডলে রয়েছে সূর্যের কাছাকাছি আর বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস ও নেপচুনের মতো বড় চেহারার গ্যাস ও বরফে ভরা গ্রহগুলো রয়েছে সূর্যের থেকে দূরে, সদ্য আবিষ্কৃত সৌরমণ্ডলের আটটি গ্রহ ঠিক সেভাবেই রয়েছে। এর আগে আমাদের সৌরমণ্ডলের মতো অবিকল চেহারার আর কোনো নক্ষত্রমণ্ডলের হদিস মেলেনি। সম্প্রতি নাসার সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, এটা একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। নাসার তরফে জানানো হয়েছে, ‘যেহেতু এই সৌরমণ্ডল দেখতে অবিকল আমাদের মতোই, সেখানকার আটটি গ্রহ সাজানো হয়েছে আমাদের সৌরমণ্ডলের মতোই, তাই সেই মুলুকে প্রাণের হদিস পাওয়ার সম্ভাবনা আরও জোরালো হয়ে উঠল। শুধু তাই নয়, নতুন এই সৌরমণ্ডলের একটি গ্রহ ‘কেপলার-৯০-এইচ’ তার নক্ষত্রের থেকে ঠিক একই দূরত্বেই রয়েছে, আমাদের পৃথিবী সূর্য থেকে রয়েছে যতটা দূরে। এই গ্রহটিতে জল তরল অবস্থায় থাকতে পারে বা পৃথিবীর মতো পুরু বায়ুমণ্ডলও থাকতে পারে। ফলে প্রাণের সৃষ্টি বা তার টিকে থাকার পক্ষে সহায়ক হয়ে উঠতে পারে।’

গত বছরের গোড়ার দিকে নাসার তরফে আরও জানানো হয়েছে, নতুন সৌরমণ্ডলের চেহারাই আরও একটি নক্ষত্র যার নাম ‘কেপলার-৮০’ আর সেই সৌরমণ্ডলে যে ভিন গ্রহটির হদিস মিলেছে সম্প্রতি, তার নাম ‘কেপলার-৮০-জি’। এই ভিন গ্রহটি ওই সৌরমণ্ডলের ষষ্ঠ গ্রহ। ফলে আগামী দিনে ওই সৌরমণ্ডলে আমাদের মতোই আটটি বা তার বেশি গ্রহের হদিস মিললেও মিলতে পারে। গত বছরের গোড়ার দিকে ‘ট্রাপিস্ট’ নক্ষত্র মণ্ডলের হদিস মিলেছিল, যেখানে সাতটি গ্রহ এবং তাতে পৃথিবীর জল বা বায়ুমণ্ডল আছে, এমন তিনটি গ্রহ রয়েছে। 

মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানের এক অধ্যাপক বলেন, ‘কেপলার টেলিস্কোপ এখনো পর্যন্ত আমাদের ৩০ হাজার সিগন্যাল পাঠিয়েছে। তার মধ্যে ৯৫ শতাংশ সিগন্যালই অত্যন্ত দুর্বল। পৃথিবীতে বসে সেই সিগন্যাল গুলিকে বিশ্লেষণ করে তার মধ্যে থেকে কোনটা ভিনগ্রহ থেকে আসছে, আর কোনটা আসছে অন্য কোনো মহাজাগতিক বস্তু থেকে, তা বুঝে ওঠা আমাদের পক্ষে সম্ভব হতো না। গুগলের মেশিন লার্নিং পদ্ধতি আমাদের সেই কাজকে সহজ করেছে বলেই নতুন সৌরমণ্ডলের হদিস পাওয়া সম্ভব হলো। সন্ধান পাওয়া গেল আরও দুটি ভিনগ্রহের। এটা বিজ্ঞানী ও গবেষকদের কৃতিত্ব।’

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর