শনিবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

স্মার্টফোনের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় টিপস

শনিবারের সকাল ডেস্ক

স্মার্টফোনের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় টিপস

সবার হাতে এখন স্মার্টফোন। সবার সাবধান হওয়া উচিত হাতের স্মার্টফোনটির নিরাপত্তার বিষয়ে। নিরাপত্তা রক্ষার্থে  বেশকিছু ব্যাপারে সচেতন থাকলেই যথেষ্ট—

 

স্মার্টফোনের নিরাপত্তা রক্ষার্থে পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহারে সচেতন হোন। ওয়াইফাই ব্যবহারকারীদের সব ডাটা প্রথমে প্রবেশ করে ওয়াইফাই রাউটারে। ফলে রাউটারে প্রবেশ করা ডাটা বিশ্লেষণ করে খুব সহজেই আপনি কী কী করছেন সেগুলো জানা সম্ভব। এভাবে আপনার ব্যক্তিগত ডাটাগুলো চলে যেতে পারে অন্যের হাতে। স্ক্রিন লক ব্যবহার করাটা স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের জন্য খুবই দরকারি। যারা বারবার আনলক করতে বিরক্ত বোধ করেন তারা হয়তো স্ক্রিন লক ব্যবহার করেন না। আপনার স্মার্টফোনটিকে ভুল হাতে পড়া থেকে রক্ষা করবার সবচেয়ে সহজ রাস্তা হলো এই স্ক্রিন লক। পিন, প্যাটার্ন কিংবা পাসওয়ার্ড প্রদানের মাধ্যমে স্ক্রিন লক করে রাখতে পারেন। স্মার্টফোনের সব অ্যাপ নিয়মিত আপডেট করুন। স্মার্টফোনের অ্যাপগুলো নিয়মিত আপডেট করা নিয়ে প্রচণ্ড অসেচতন আমাদের দেশের মানুষ। যারা সেলুলার ডাটা ব্যবহার করেন তারা সাধারণত অ্যাপ আপডেট করে না। নিয়মিত স্মার্টফোনের সব অ্যাপকে আপডেট করা উচিত। প্লে স্টোর ব্যতীত অন্য কোনো সূত্র থেকে অ্যাপ ব্যবহারে বিরত থাকুন। অ্যান্ড্রয়েড ওএস স্মার্টফোনে ডিফল্টভাবে সেট করাই থাকে যার ফলে প্লে স্টোর ব্যতীত অপর কোনো সূত্র ব্যবহার করে কোনো অ্যাপ ইনস্টল করতে পারবেন না। অ্যাপের প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। অ্যাপ আপনার ফোনের বিভিন্ন অংশে প্রবেশ করার অনুমতি চাইবে। কোনো অ্যাপ ইনস্টল করার আগে বারবার নিশ্চিত হয়ে নিন অনুমতিগুলো নিয়ে। তাই বলে সব ক্ষেত্রে ভুল ভেবে বসবেন না। আপনার স্মার্টফোনকে ট্র্যাক করার ব্যবস্থা রাখুন। স্মার্টফোন হারিয়ে গেলে কিংবা চুরি হয়ে গেলে ইন্টারনেটের সাহায্যে আপনার ফোনে অ্যাক্সেস করা, সব তথ্য মুছে ফেলাসহ ফোনের লোকেশন বের করে নেওয়া যায় বেশকিছু অ্যাপ দিয়ে। যা ব্যবহার করে মুহূর্তের মধ্যে আপনি আপনার ফোনের লোকেশন খুঁজে পাবেন। যদি ধারণা করেন যে, আশপাশে কোথাও রয়েছে, ইন্টারনেটের মাধ্যমে রিং বাজার ব্যবস্থা করতে পারবেন। কিছু অ্যাপ রয়েছে যেগুলোতে আপনি আগেই নির্দিষ্ট কমান্ড লিখে এসএমএস করলে ফোনের সব তথ্য মুছে যাবে, লোকেশন পৌঁছে যাবে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে আপনার কাছে। গুগলের ফাইন্ড মাই ডিভাইস অ্যাপটি এক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া গুগল ম্যাপে আপনাকে রিয়েল-টাইম লোকেশন দেখাবে যদি ফোন চুরি যায়। এ ছাড়া ব্যক্তিগত সব তথ্যও মুছে দিতে পারবেন। আবার ক্লাউড স্টোরেজে স্মার্টফোনের সব তথ্যের ব্যাকআপ রাখা উচিত। এ ছাড়া স্মার্টফোনের সব তথ্য নিয়মিত ড্রাইভে ব্যাকআপ রাখুন। এতে করে ফোন হারালে কিংবা নতুন ফোন কেনার পর তাতে তথ্য অথবা কন্টাক্টগুলো সেভ করা নিয়ে ভাবতে হবে না।

সর্বশেষ খবর