শিরোনাম
শনিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

শিক্ষা উপকরণ বিলিয়ে বেড়ান কামরুল ইসলাম

শেখ রুহুল আমিন, ঝিনাইদহ

শিক্ষা উপকরণ বিলিয়ে বেড়ান কামরুল ইসলাম

ঝরে পড়া রোধ, শতভাগ ছাত্রছাত্রীদের বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিতি ও মাদকমুক্ত ছাত্রসমাজ গড়ে তোলার প্রত্যয়ে প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখে চলেছেন ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সাবেক কলেজ শিক্ষক কামরুল ইসলাম। প্রতিদিনের কর্মব্যস্ততার মাঝেও শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে তিনি দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ঘুম থেকে উঠেই কামরুল ইসলাম যে কোনো বিদ্যালয় পরিদর্শনে বেরিয়ে পড়েন। কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের সুশিক্ষিত হওয়ার নির্দেশনা দেওয়ার পাশাপাশি সমাবেত করে বাল্য বিবাহ ও মাদককে না বলার শপথ পাঠ করান। তার উদ্যোগে বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের ডিজিটাল হাজিরা নিশ্চিত হয়েছে। ফলে বিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষক উভয়ে সময়মত উপস্থিত হচ্ছেন। বিদ্যালয় পরিদর্শনের সময় তিনি বাচ্চাদের কী ধরনের শিক্ষা উপকরণে অভাব আছে তা যাচাই করেন। পরবর্তীতে চেষ্টা করেন নিজের খরচে সেসব প্রয়োজন পূরণের। ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার প্রতি আরও বেশি উৎসাহ দিতে নিজ উদ্যোগে জিপিএ ৫ প্রাপ্তদের সংর্বধনা ও পুরস্কার প্রদান করেন। এ পর্যন্ত প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা এ+ প্রাপ্ত ৪৫০ জনকে সংবর্ধনা ক্রেস্ট প্রদান করেছেন। মহেশপুর উপজেলার ছাত্রছাত্রীরা যেন শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত না হয় সেজন্য তিনি শিক্ষা ট্রাষ্ট ও বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। ইতিমধ্যে মহেশপুর উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গরিব ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের স্কুল ব্যাগ বিতরণ এবং গরিব ছাত্রছাত্রীদের ফরম পূরণের টাকা দিয়ে সহযোগিতা করেছেন তিনি। শিক্ষাক্ষেত্রকে এগিয়ে নিতে সরকারি ও তার উদ্যোগে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ আজ প্রশংসার দাবিদার। ১২টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডিবির বরাদ্দের সম্পূর্ণ অর্থ শিক্ষার উন্নয়নের জন্য ব্যয় করেছেন। সাদামাটা জীবন যাপনকারী অমায়িক বচনের এই মানুষটির কাছে এসে কখনো কোনো দরিদ্র ছাত্রকে খালি হাতে ফিরে যেতে হয়নি। মহেশপুর  উপজেলার শহরের দিনমুজুর আবদুল কাদেরের ছেলে টাকার অভাবে কলেজে পরীক্ষা দিতে পারছিল না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানতে পেরে সেই ছেলেকে পরীক্ষার ব্যবস্থা করে দেন। এমন আরও অনেক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেই নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল ইসলামের দিন কাটে। তার কাছে যাদবপুর কলেজের ছাত্রছাত্রীরা একটি শহীদ মিনার দাবি করে। তিনি সময়ক্ষেপণ না করে তাদের জন্য শহীদ মিনার স্থাপনের সব ব্যবস্থা করে দেন। এ ছাড়াও শেখ হাসিনা পদ্মপুকুর কলেজে একটি শহীদ মিনার, পুরন্দপুর মডেল একাডেমিতে একটি কম্পিউটার ও একটি প্রিন্টারের ব্যবস্থা করেন। শিক্ষা ব্যবস্থাকে ডিজিটাল করণে তার এমন উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকেই খুশি। কোনো বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের বসার জন্য বেঞ্চের অভাব ও শ্রেণিকক্ষে ফ্যানের অভাব থাকলে তাও তার চোখ এড়ায় না। দিনরাত অনুসন্ধানে থেকে নিজের সাধ্যমতো শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতিতে করণীয় সবকিছু করে যাচ্ছেন কামরুল ইসলাম। এ ব্যাপারে  ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও পান্তাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন জানান, ‘উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম এলাকার গরিব ও মেধাবী ছাত্রছাত্রী পাশে দাঁড়ানোই সব মহলে প্রশংসিত হচ্ছেন। সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এভাবে এগিয়ে এলে দেশ আরও উন্নত হতো বলে আমি মনে করি।’

সর্বশেষ খবর