শনিবার, ১৯ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

বিশ্বের প্রথম সায়েন্স ফিকশন ফেস্টিভাল

সাইফ ইমন

বিশ্বের প্রথম সায়েন্স ফিকশন ফেস্টিভাল

বিশ্বের প্রথম সায়েন্স ফিকশন ফেস্টিভাল অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশে। গত চার বছর ধরে এই অভিনব আয়োজনটি করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সায়েন্স ফিকশন সোসাইটি। প্রতি বছর আয়োজিত হয়ে আসছে এই সায়েন্স ফিকশন ফেস্টিভাল। এবার ফেস্টিভালে ছিল ভবিষ্যতের বিজ্ঞান ভাবনাবিষয়ক প্রতিযোগিতা, রোবট, ড্রোন হেলিকপ্টার ইত্যাদি—  

 

দেশ ও দেশের বাইরে তরুণরা এগিয়ে যাচ্ছে। সুনাম বয়ে আনছে। প্রযুক্তিতেও পিছিয়ে নেই এই দেশের তরুণরা। তারই একটি সফল পদক্ষেপ বাংলাদেশ সায়েন্স ফিকশন সোসাইটি এবং তাদের সায়েন্স ফিকশন ফেস্টিভাল। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারের কল্যাণে সবাই জেনে গিয়েছিল বাংলাদেশের বুকে এলিয়েন নামছে পাবলিক লাইব্রেরির চত্বরে। উত্সুক জনতার ঢলও নেমেছিল সেদিন। দেখা হয়েছে কল্পবিজ্ঞানের দারুণ সব চরিত্রগুলোর সঙ্গে। দেখা হয়েছে অ্যাভাটারের সঙ্গেও। গত ১১ মে অনুষ্ঠিত হয়ে যায় এই সায়েন্স ফিকশন ফেস্টিভাল। আর সেই উৎসবে অংশ নিয়েছিলেন দেশসেরা সব কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যিকরা। বিশ্বের কোথাও এর আগে এরকম আয়োজন আর একটিও হয়নি। আর বাংলাদেশ সায়েন্স ফিকশন সোসাইটি বিগত চার বছর ধরে এই ব্যতিক্রমী আয়োজন করে সাফল্যের সঙ্গে  পরিচালনা করে আসছে।  আমাদের দেশে বিজ্ঞানচর্চা শুধু বিজ্ঞানের পাঠ্যবই মুখস্থ করে পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়ার মাঝেই সীমাবদ্ধ নেই আর এখন। আমাদের দেশের শিশু-কিশোরদের কাছে বিজ্ঞান আর কোনো আতঙ্কের বিষয় নয়। এখনকার চিত্রটা একেবারেই বিজ্ঞানমনস্ক। ইন্টারনেট ও বিজ্ঞান বিষয়ক বিভিন্ন সংগঠনের কারণে বিগত কয়েক বছরে আমাদের দেশে বিজ্ঞানচর্চার ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। বিজ্ঞানচর্চার এই প্রসারে যেসব সংগঠন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে, তাদের অন্যতম হলো বাংলাদেশ সায়েন্স ফিকশন  সোসাইটি। বিজ্ঞানের প্রসার ও জনপ্রিয়করণে বিভিন্ন কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় প্রতিবছর বাংলাদেশ সায়েন্স ফিকশন সোসাইটি আয়োজন করে সায়েন্স ফিকশন ফেস্টিভাল। এ বছর গত ১১ ও ১২ মে দুই দিনব্যাপী এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর শাহবাগের পাবলিক লাইব্রেরি প্রাঙ্গণে। উৎসবের উদ্বোধন করেছিলেন শিক্ষাবিদ ও কথাসাহিত্যিক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সায়েন্স ফিকশন  সোসাইটির সভাপতি কথাসাহিত্যিক মোশতাক আহমেদ, কথাসাহিত্যিক ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মোহিত কামাল, প্রাণ অ্যাগ্রো লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক শেখ সাজ্জাদ হোসেন, মি. নুডলসের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা তোষণ পালসহ আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। এ ছাড়া বিজ্ঞান কল্পকাহিনী দীপু মাহমুদ, আসিফ মেহ্দী, ডা. মিজানুর রহমান কল্লোলসহ অনেক জনপ্রিয় লেখক উৎসবে উপস্থিত ছিলেন। দুই দিনের উৎসবে দর্শক হয়েছিল প্রায় ২০ হাজার। এবারের উৎসবের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ ছিল বাংলায় কথা বলতে পারা রোবট ‘রিবো’র ভার্সন ২০১৮। উৎসবে ঘুরতে আসা স্কুল-কলেজের কৌতূহলী শিক্ষার্থীরা রিবোকে বিভিন্ন প্রশ্ন করে এবং রিবো সে সব প্রশ্নের উত্তর দেয়। এ ছাড়াও উৎসবজুড়ে ছিল সায়েন্স ফিকশন সাহিত্য পুরস্কার প্রদান, সায়েন্স ফিকশন লেখকদের সঙ্গে আড্ডা, ‘বিজ্ঞান আনন্দ’ পত্রিকার প্রদর্শন, মঙ্গল গ্রহের এলিয়েন, রিমোট কন্ট্রোল গাড়ি চালানো প্রতিযোগিতা, ড্রোন হেলিকপ্টার চালানো প্রতিযোগিতা, সিমিউলেশন ভিডিও গেম প্রতিযোগিতা, সায়েন্স ফিকশন ফিল্ম ফেস্টিভাল, মাস্টার টাইপার প্রতিযোগিতা, রোবট ও এলিয়েন চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাসহ আরও অনেক আয়োজন। উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ ছিল বইমেলা।

সর্বশেষ খবর