শিরোনাম
শনিবার, ১৯ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

এবার এলো মাইন্ড রিডার ডিভাইস

সাইফ ইমন

এবার এলো মাইন্ড রিডার ডিভাইস

মনের কথা পড়তে পারার হ্যালমেটের রূপক ছবি

নতুন এক ধরনের হেডসেট উদ্ভাবিত হয়েছে, যার মাধ্যমে মনের কথা ‘শোনা’ যাবে। তবে এজন্য যারা হেডসেটটি পরে থাকবে তারাই কেবল পরস্পরের মধ্যে যোগাযোগ করতে পারবে—

 

মানুষ মনের কথা পড়তে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে অনেক বছর ধরেই। বিভিন্সায়েন্স ফিকশন মুভিতে মেন্টালিস্টদের দেখানো হয় যারা মনের কথা বুঝতে পারে। কিন্তু আসলে সম্ভব হলে বিষয়টা কতটা ভালো তা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক আছে। কিন্তু আদালতে তখন আর কেউ মিথ্যা কথা বলতে পারবে না এই বিষয়ে সবাই একমত। সম্প্রতি নতুন এক ধরনের হেডসেট বা হেডফোনের মতো অনেকটা উদ্ভাবিত হয়েছে যার মাধ্যমে মনের কথা শোনা যাবে। তবে এজন্য যারা হেডসেটটি পরে থাকবে তারাই কেবল পরস্পরের মধ্যে যোগাযোগ করতে পারবে। গবেষকরা বলছেন, অলটারইগো নামের এই হেডসেটটি পরে কেউ মনে মনে কথা বললেই হলো, উচ্চৈঃস্বরে কথা বলার প্রয়োজন নেই। এই আবিষ্কারের নেতৃত্ব দিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত অর্ণব কাপুর।

অর্ণব বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলেন, ‘আমাদের চিন্তা ছিল : আমরা এমন কোনো কম্পিউটিং প্ল্যাটফরম করতে পারি কি না, যা আরও বেশি অন্তর্মুখী, কোনো উপায়ে যা মানুষ ও মেশিনের মেলবন্ধন ঘটাবে এবং যা আমাদের নিজেদের বোধশক্তির অন্তর্গত বিস্তার মনে হতে পারে?’ বিশ্বখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি বা এমআইটির মিডিয়া ল্যাবে এ সিস্টেম উন্নয়নে কাজ করেন অর্ণব।

অর্ণব এই হেডসেটটিকে ইনটেলিজেন্স-অগমেন্টেশন বা এআই যন্ত্র হিসেবে অভিহিত করেছেন। যা দিয়ে একজন মানুষ অপরজনের মনের কথা পড়তে পারছে।

সম্প্রতি জাপানের টোকিওতে অ্যাসোসিয়েশন ফর কম্পিউটিং মেশিনারি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ বিষয়ে সেমিনারে অংশ নেন।

যন্ত্রটি চোয়াল ও থুঁতনি বরাবর পরতে হয় এবং এই সাদা প্লাস্টিক ডিভাইসটির নিচে চারটি ইলেকট্রোড আছে, যেগুলো ত্বক ও স্নায়ুবিক পেশির সংকেত পাবে।

এর ফলে একজন ব্যক্তি মনে মনে কী বললেন তা বুঝতে পারবে যন্ত্রটি।

এই যন্ত্রের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশেষ শব্দের সঙ্গে বিশেষ সংকেত মিল খুঁজে পাবে, এরপর সেসব কথা কম্পিউটারে  বেরিয়ে আসবে। আপাতদৃষ্টিতে এটি অসম্ভব মনে হলেও এটি সত্যি ঘটতে যাচ্ছে এমআইটর ল্যাবে।

মায়েস, তাঁর ছাত্র অর্ণবসহ অন্যরা স্মার্টফোনের জ্ঞান ও  সেবার কিছু ফ্যাক্টর, ইন্টারফেস নিয়ে কাজ করছেন, যাতে দৈনন্দিন জীবনে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঝামেলা আর থাকবে না। অল্টারইগো যন্ত্রটি দিয়ে ১০ জনের ওপর নিরীক্ষা চালানো হয় এবং এর মধ্যে ৯২ শতাংশ নিখুঁত কাজ করে এটি।

সর্বশেষ খবর