শনিবার, ২৮ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা

এবার কম্পিউটারের সঙ্গে মস্তিষ্কের সংযোগ

সাইফ ইমন

এবার কম্পিউটারের সঙ্গে মস্তিষ্কের সংযোগ

মানুষের ব্রেন সরাসরি কম্পিউটারের সঙ্গে যুক্ত করা যাবে। এই প্রযুক্তি এ রকম হবে না যে, মস্তিষ্ক সরাসরি কম্পিউটারের সঙ্গে প্লাগ ইন করা হলো। এখানে ব্যবহার হবে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক  হেলমেট—

 

মানুষের মস্তিষ্কের সঙ্গে কম্পিউটারের সংযোগ স্থাপনের প্রযুক্তি চলে আসছে। বিজ্ঞানী ইলন মাস্ক এমন একটি প্রযুক্তির জন্য কাজ করছেন যার মাধ্যমে মানুষের ব্রেন সরাসরি কম্পিউটারের সঙ্গে যুক্ত করা যাবে। এই প্রযুক্তি নিয়ে অনেকেই ভাবতে পারেন যে, মস্তিষ্ক সরাসরি কম্পিউটারের সঙ্গে আবার প্লাগ ইন করা হবে কিনা। আসলে এমন কিছুই হবে না। এখানে ব্যবহার হবে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক হেলমেট। এই হেমমেটের সাহায্যেই মস্তিষ্ক থেকে নির্গত তরঙ্গকে সিগন্যাল হিসেবে গ্রহণ করা এবং তা কম্পিউটারে প্রেরণ করা হবে।

তেমনিভাবেই কম্পিউটারও তরঙ্গ হিসেবে সিগন্যাল প্রেরণ করবে যা ইলেকট্রোম্যাগনেটিক হেলমেট গ্রহণ করে মস্তিষ্কের উপযোগী করে নেবে। ফলাফল কম্পিউটার এবং মস্তিষ্ক একে অপরের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদান করতে পারবে।

যদি সত্যিই এই প্রযুক্তি বাস্তবায়িত হয় তাহলে এর ফলাফল হবে দারুণ। মানবজাতি প্রযুক্তিতে আরও একধাপ এগিয়ে যেতে পারবে। এমন হতে পারে যে, আপনার চিন্তাভাবনা কম্পিউটার সহজেই বুঝতে পারবে। আপনি কল্পনার মাধ্যমেই কম্পিটারকে নানা রকম দিকনির্দেশনা দিতে পারবেন। আবার এমনও হতে পারে যে, মানুষের কোনো স্নায়বিক রোগের চিকিৎসাও হতে পারে এই প্রযুক্তি বাস্তবায়িত হলে।

এই প্রযুক্তির প্রারম্ভিক উদ্দেশ্য ছিল মস্তিষ্কের মাধ্যমে কোনো কাজ করা। যেমন প্রতিবন্ধীরা হাত-পায়ের সাহায্য ছাড়াই কোনো কিছু নাড়ানো, খাওয়া, মস্তিষ্কের মাধ্যমে কথা বলা, মস্তিষ্কের সাহায্যে গাড়ি বা যানবাহন চালানোসহ আরও অনেক কিছু।

আসলে এই প্রযুক্তির মাধ্যমে অনেক কিছুই সম্ভব, যা আগে মানুষ সম্ভব বলে ভাবতে পারেনি। ইলন মাস্ক এমন একটি প্রযুক্তির জন্য কাজ করছেন যার মাধ্যমে মানুষের ব্রেন সরাসরি কম্পিউটারের সঙ্গে যুক্ত করা যাবে। মানব মস্তিষ্কের সঙ্গে কম্পিউটারের সংযোগের উদ্দেশ্যে ইলন মাস্কের নতুন উদ্যোগ হলো ‘নিউরালিঙ্ক’। শুনতে অনেকটা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর মতো মনে হলেও বাস্তবে এমনটাই হতে যাচ্ছে বলে জানালেন তিনি।

‘ওয়েট বাট হোয়াই’ ওয়েবসাইটের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে মাস্ক বলেন, চার বছরের মধ্যে এমন একটি ডিভাইস বাজারে আনতে যাচ্ছে, যা স্ট্রোক বা ক্যান্সার লেজিওনের মতো রোগের কারণে মস্তিষ্কে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে সহায়তা করবে। এর আগে এক সম্মেলনে মাস্ক বলেছিলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মেশিন লার্নিং কম্পিউটারকে এতটাই বাস্তবধর্মী বানানো হবে যে, মানুষকে এর সঙ্গে তাল মেলাতে মস্তিষ্কে ‘নিউরাল লেস’ পরতে হবে। জানা গেছে, নিউরালিংক ‘নিউরাল লেস’ নামের প্রযুক্তি বানাতে কাজ করছে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষের মস্তিষ্কে ক্ষুদ্র ইলেকট্রোড স্থাপন করা হবে। মানুষের স্মৃতি উন্নত করতে বা মানব মস্তিষ্কের সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যুক্ত করতে এই প্রযুক্তি কাজে দিবে।

সর্বশেষ খবর