শনিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

মহাকাশে মূত্র থেকে প্লাস্টিক

শনিবারের সকাল ডেস্ক

মহাকাশে মূত্র থেকে প্লাস্টিক

মহাকাশ নিয়ে মানবজাতির তুমুল আগ্রহ। অসীম শূন্যতার এক নাম মহাকাশ। তাই এর অপর নাম মহাশূন্য। এটা কি আসলে বিশাল বড় একটা শূন্য না অন্য কিছু! বিস্ময়কর এই অসীমের বুকেই মানুষের বসবাস। আরও রয়েছে গ্রহ, নক্ষত্র-নীহারিকা কত কী! সৃষ্টির শুরু থেকেই মানুষ যেতে  চেয়েছে চাঁদে, হাতছানি দিয়ে ডেকেছে অচেনা অজানা ছায়াপথ। মানুষ জানতে চেয়েছে ব্ল্যাকহোলের ওপাশে কী আছে। অজানাকে জানার এই দুর্নিবার আকর্ষণ থেকেই এখন পর্যন্ত ৫৩৪ জন মহাকাশচারী পা বাড়িয়েছেন পৃথিবীর মাটির বাইরে কোথাও। তারই ধারাবাহিকতায় স্পেস-এক্স এর তত্ত্বাবধায়নে এগিয়ে যাচ্ছে মঙ্গলগ্রহে বসতি স্থাপনের প্রস্তুতি। মঙ্গলগ্রহে যাত্রা কিংবা অন্য যে কোনো গ্রহে যাত্রা যথেষ্ট দীর্ঘ হবে। সেখানে অবশ্যই থাকবে নানাবিধ বস্তু ও সরঞ্জামের সমস্যা। তাই সব বস্তু পুনর্ব্যবহারের জন্য মহাকাশচারীদের প্রস্তুত থাকতে হয়।

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে অবস্থানরত নভোচারীরা মূত্র থেকে বিশুদ্ধকরণের মাধ্যমে প্রাপ্ত পানি পান করে থাকেন। এ ছাড়া আর উপায়ও নেই। কারণ পৃথিবী থেকে পানি বয়ে নিয়ে যাওয়া যেমন অনেক ঝামেলার তেমনি খরচেরও।

তাই মঙ্গলগ্রহের দীর্ঘ যাত্রা সফল করতে চাইলে নভোচারীদের কাছে বিদ্যমান সবকিছুর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই সাউথ ক্যারোলিনার কেমসন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এমন এক প্রক্রিয়া তৈরি করেছেন যার মাধ্যমে মূত্র ও নিঃশ্বাসের সঙ্গে ত্যাগ করা কার্বন ডাই-অক্সাইড ব্যবহার করে প্লাস্টিক বানানো সম্ভব। এ প্রক্রিয়ায় ণধৎৎড়রিধ ষরঢ়ড়ষুঃরপধ  নামক ইস্ট ব্যবহার করা হয়।

এই প্রক্রিয়ায় মূত্র থেকে প্রাপ্ত নাইট্রোজেন ও নিঃশ্বাস থেকে প্রাপ্ত কার্বন ডাই-অক্সাইড ইস্টকে প্রদান করা হয়। ইস্টকে এমনভাবে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারং করা হয়েছে যেন তা নাইট্রোজেন ও কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহণের পর পলিস্টার মনোমার তৈরি করে। এসব মনোমার থেকে তৈরি হয় প্লাস্টিক পলিমার। প্রাপ্ত প্লাস্টিক একটি থ্রিডি প্রিন্টারের মাধ্যমে ব্যবহার্য বস্তু তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। উক্ত ইস্টের ভিন্ন একটি স্টেইন অনুরূপ প্রক্রিয়া ব্যবহারের মাধ্যমে মূত্র ও কার্বন ডাই-অক্সাইড থেকে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড উৎপাদনে সক্ষম।

সর্বশেষ খবর