শনিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

সুন্দর হাতের লেখার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেন অনুপ

সুন্দর হাতের লেখার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেন অনুপ

হাতের লেখা হচ্ছে মানুষের বড় সম্পদ। একে সংরক্ষণ করা অত্যন্ত প্রয়োজন। তবে তার আগে সঠিক শিক্ষা চাই। এর সঙ্গে সুন্দর লেখার চর্চা থাকতে হবে। এটি শুধু আমাদের দেশেই নয়,  গোটা বিশ্বের শিক্ষার্থীর প্রয়োজন। শিক্ষার্থীদের হাতের লেখা যেন খারাপ না হয় সেজন্য দরকার নিয়মিত চর্চার। কম্পিউটারে যতই কাজ করুক স্কুল, কলেজ ও ভার্সিটিতে কিন্তু হাতে লিখেই পাস করতে হয়। তাছাড়া সুন্দর হাতের লেখা পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি ব্যক্তিত্বেরও নিদর্শন। তাই এর বিকল্প নেই। কথাগুলো বলছিলেন সুন্দর হাতের লেখার কারিগর অনুপ কুমার দাস। তিনি বলেন, সুন্দর হাতের লেখা শেখা এমন কিছু কঠিন নয়। তার মতে, পড়া কিন্তু প্রতি বছর বাড়বে, তবে লেখা বাড়বে না। প্রতিদিন দশ মিনিট করে নব্বই দিন অভ্যাস করলেই হবে। একজন শিক্ষার্থী বাংলা, ইংরেজি সুন্দর মুখস্থ করতে পারলে হাতের লেখা কেন সুন্দর হবে না। এ নিয়ে আমি দীর্ঘদিন গবেষণা করেছি। হাতের লেখাই আমার বড় ধ্যান। কিছু বেসিক স্ট্রোক আছে এগুলো প্রথমে শিখতে পারলে হাতের লেখা সুন্দর হবেই হবে। এই স্ট্রোকগুলো প্রথমে আমাদের আগ্রহ নিয়ে শিখতে হবে। নারায়ণগঞ্জে জন্ম নেওয়া অনুপ কুমার দাস ১৯৭৮ সালে জেলার তোলারাম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। এরপর কলকাতার নেতাজি নগর কলেজ থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক পাস করেন। স্নাতক পড়ার সময়ই তিনি নেতাজি ক্যালিওগ্রাফি নামে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে কোর্স করেন। তখন থেকে হাতের লেখার ওপর তার ধারণা বদলে যায়। উচ্চশিক্ষা শেষে কিছুদিন বিভিন্ন পেশায় যুক্ত থাকলেও ১৯৯৮ সাল থেকে পুরোদমে হাতের লেখা শেখানোর কাজটি করে যাচ্ছেন। সেই থেকে নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এই শিক্ষা দিয়ে এসেছেন। বর্তমানে সপ্তাহে দুবার ঢাকায় এসে সুন্দর হাতের লেখা শেখানোর কাজ করছেন। তিনি জানান, ৫ থেকে ৭০ বছর বয়স পর্যন্ত মানুষ তার শিক্ষার্থী। ‘কলেজ-ভার্সিটির শিক্ষার্থীদের ক্যালিওগ্রাফার হিসেবে তৈরি করার ইচ্ছা রয়েছে আমার। এজন্য সরকারের কাছে আমি একটি প্লাটফর্ম চাই। শিক্ষা বিস্তারে সরকারের নানামুখী পদক্ষেপ খুবই প্রশংসিত। আমি আশা করি সুন্দর হাতের লেখার ওপরও সরকার সুনজর রাখবে।’

সর্বশেষ খবর