শনিবার, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা
বসুন্ধরা আলটিমেট ফান ফ্যাক্টরি

বসুন্ধরা সিটিতে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় গেমিং জোন

তানভীর আহমেদ

বসুন্ধরা সিটিতে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় গেমিং জোন

ভি আর চশমা পরে রেসিংকার নিয়ে নেমে পড়তে পারেন প্রতিযোগিতায়

নাগরিক জীবনের ক্লান্তি আর একঘেয়েমি কাটাতে সুস্থ বিনোদনের সুযোগ করে দিয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ। শিশু-কিশোরদের জন্য সুলভে সুস্থ বিনোদনের আয়োজন নিয়ে বাংলাদেশে প্রথম টগি ওয়ার্ল্ডের যাত্রা হয় বসুন্ধরা সিটিতে। টগি ওয়ার্ল্ডের আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তার পর টিনএজারদের জন্য আন্তর্জাতিক মানের বিনোদন আয়োজনের পরিকল্পনা নেয় বসুন্ধরা গ্রুপ। গড়ে তোলে বিশ্বমানের ভার্টিক্যাল এন্টারটেইনমেন্ট ‘বসুন্ধরা আলটিমেট ফান ফ্যাক্টরি’। বসুন্ধরা সিটিতে গত বছরের নভেম্বরে যাত্রা করে এটি। এই ফান ফ্যাক্টরির পুরো ডিজাইন, ইনটেরিয়র করা হয়েছে ‘কনসেপ্ট আই’-এর মাধ্যমে। কানাডাভিত্তিক ‘কনসেপ্ট আই’ বিশ্বের শীর্ষ ডিজাইন, ইনটেরিয়র ও বিনোদন আয়োজনের পরিকল্পনা প্রতিষ্ঠানের একটি। রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, চীন ও ভারত থেকে বিভিন্ন রাইড ও গেমিং ডিভাইস নিয়ে গড়ে উঠেছে বসুন্ধরা আলটিমেট ফান ফ্যাক্টরি। বসুন্ধরা সিটির ১৪ থেকে ১৯ তলা পর্যন্ত বিস্তৃত এই বিনোদনব্যবস্থার মোট আয়তন ৬০ হাজার বর্গফুট। বসুন্ধরা আলটিমেট ফান ফ্যাক্টরি দক্ষিণ এশিয়ার ১ নম্বর ও এশিয়ার প্রথম তিনটি শীর্ষ ইনডোর এন্টারটেইনমেন্টের একটি। কনসেপ্ট আইয়ের পরিকল্পনায় সাজানো বসুন্ধরা আলটিমেট ফান ফ্যাক্টরিতে ঢুকে প্রথমেই মনে হবে আপনি মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকংয়ের মতো দেশের কোনো ইনডোর বিনোদন পার্কে এসেছেন। উন্নত বিশ্বের ট্রেন্ডিং ভার্টিক্যাল এন্টারটেইনমেন্টের ধারণা থেকেই বসুন্ধরা সিটির ছয়টি ফ্লোর জুড়ে এ আলটিমেট ফান ফ্যাক্টরি গড়ে তোলা হয়েছে।

 

কী আছে এখানে

ভার্চুয়াল রিয়েলিটির (ভি আর প্রযুক্তি) ইনডোর এন্টারটেইনমেন্টের সর্বাধুনিক সংস্করণ রয়েছে আলটিমেট ফান ফ্যাক্টরিতে।

 

রেসিং জোন বা রেসিং সিমুলেটর : বসুন্ধরা সিটির লেভেল ১৪ সাজানো হয়েছে রেসিং ও ফ্লাইং সিমুলেটর দিয়ে। ফেরারি গাড়িতে দুরন্ত গতিতে ছুটতে চাইলে রেসিং সিমুলেটর আপনার জন্যই। ভি আর চশমা চোখে পরে আপনাকে বসতে হবে সত্যিকারের ফেরারি গাড়ির মডেলের ওপর। তারপর গিয়ার ফেলে গতির ঝড় তুলতে আপনাকে আর ঠেকায় কে! চাইলে ফরমুলা ওয়ানের মতো বিশ্বের নানা প্রান্তের শীর্ষ রেসে রেসিংকার নিয়ে নেমে পড়তে পারেন প্রতিযোগিতায়। ভি আর চশমা পরে সত্যিকারের রেসের উত্তেজনার আয়োজন বাংলাদেশে এটাই প্রথম।

 

ফ্লাইং সিমুলেটর : হেলিকপ্টারে চড়ে আকাশে ওড়ার বাসনা মেটাতে চাইলে ফ্লাইং সিমুলেটর হতে পারে আপনার সেরা পছন্দ। এই মডেল সিমুলেটরের সিটে বসে ভি আর চশমা পরে নিন। সঙ্গে সঙ্গেই যেন বসে পড়লেন পাইলটের সিটে। এখন মেঘ ফুঁড়ে বিমান উড়িয়ে নেওয়ার কাজটা আপনারই। ‘ফ্রি ফল’ কিংবা বাতাসে ভেসে বেড়ানোর সত্যিকারের উত্তেজনা উপভোগ করার জন্যও রয়েছে বিশ্বসেরা আয়োজন।

 

ওয়ার জোন : বসুন্ধরা আলটিমেট ফান ফ্যাক্টরির ওয়ার জোন, লেজার ট্যাগ, ভি আর শুটিংয়ে দুর্দান্ত সময় কাটানোর আয়োজন রয়েছে বসুন্ধরা সিটির লেভেল ১৫ জুড়ে। ওয়ার জোন সিমুলেটরও ভার্চুয়াল রিয়েলিটির আরেক চমক। ভি আর চশমা পরে নেমে যেতে পারবেন যুদ্ধের ময়দানে। এখানে শুট করতে পারবেন প্রতিপক্ষকে। ওয়ার গেমসের স্বাদ একেবারেই নতুন করে পাওয়া যাবে ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে। নিজেকেই আবিষ্কার করবেন যুদ্ধের ময়দানে।

 

লেজার ট্যাগ : বসুন্ধরা আলটিমেট ফান ফ্যাক্টরির হার্ট বলা যেতে পারে লেজার ট্যাগ। এ গেম খেলার জন্য প্রতিদিনই হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন শত শত তরুণ-তরুণী। দুই দলে ভাগ হয়ে মোট ২০ জন এ খেলায় অংশ নিতে পারেন। লাল ও নীল নিয়ন বাতিযুক্ত ভেস্ট পরে খেলোয়াড়রা প্রবেশ করেন একটি অন্ধকার রুমে। ৪ হাজার বর্গফুটের রুমের ভিতর লুকিয়ে থাকার জন্য রয়েছে নানা অবস্টাকল বা লুকানোর জায়গা। খেলোয়াড়দের হাতে থাকা লেজার গান দিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করে পয়েন্ট জোগাড় করার জন্য সারাক্ষণই কাটাতে হয় উত্তেজনা আর উদ্বেগের মিশেলে। কন্ট্রোল রুম থেকে একজন অপারেটর পুরো খেলাটি নিয়ন্ত্রণ করেন। এ ছাড়া রয়েছে লেজার রশ্মির চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে টানেলের ওপারে যাওয়ার খেলা।

শুটিং গেম : ভি আর চশমা পরে শুটিং গেমস খেলার অনুভূতি একেবারেই ভিন্নমাত্রার। চারজন খেলোয়াড় এ শুটিং গেমসে অংশ নিতে পারেন। ভি আর চশমা পরে খেলোয়াড়রা পৌঁছে যান যুদ্ধের ময়দানে। সেখানে প্রতিপক্ষকে শুট করে জয়ী হওয়ার প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এ খেলার উত্তেজনা পেতে বসুন্ধরা সিটির ১৫ তলায় যেতে হবে আপনাকে।

 

নাইন ডি, সেভেন ডি ও ফাইভ ডি সিনেমাস : বসুন্ধরা সিটির লেভেল ১৬ ভার্চুয়াল রিয়েলিটি জোন। ভার্চুয়াল রোলার কোস্টার, ভার্চুয়াল জুরাসিক পার্ক এ ফ্লোরেই। পাঁচ, সাত ও নয় ডাইমেনশনের সিনেমা উপভোগ করার সুযোগ দিয়ে আলটিমেট ফান ফ্যাক্টরি সবাইকে বিস্মিত করেছে। ভি আর গ্লাসের জাদুতে সিনেমার পর্দা হয়ে উঠবে জীবন্ত। ডাইনোসর, বাঘ ও হিংস্র প্রাণীরা ঘুরে বেড়াবে আপনার চারপাশে। তবে সেভেন ডির চমক একেবারেই অন্যরকম। আপনি চাইলেই হাত বাড়িয়ে ঠেলে দিতে পারেন ডাইনোসর কিংবা ড্রাগনের আগুনের ফুলকি। বাংলাদেশে এটাই প্রথম ‘সেভেন ডি ইন্টারঅ্যাকশন’ স্বাদ নেওয়ার সুযোগ।

 

ভার্চুয়াল রোলার কোস্টার : অ্যাড্রেনালিন ক্ষরণের জন্য ভার্চুয়াল রিয়েলিটির চেয়ে সেরা আর কী আছে? ভি আর চশমা চোখে পরে চড়তে পারেন রোলার কোস্টারে। সিমুলেটরের ঝাঁকুনি আর বাঁক নেওয়ায় মনেই হবে না আপনি বসে আছেন একটি ঘরে। বরং হাজার ফুট প্রশস্ত রোলার কোস্টার ট্র্যাকে তীব্র গতিতে ছুটে যাওয়ার উত্তেজনাতেই বুঁদ হয়ে থাকবেন।

 

ভার্চুয়াল জুরাসিক পার্ক : ভার্চুয়াল রোলার কোস্টারের মতো ভার্চুয়াল জুরাসিক পার্কের উত্তেজনাও জীবন্ত মনে হবে। ভি আর প্রযুক্তি আপনাকে সারাক্ষণ জানান দেবে আপনি ঢুকে পড়েছেন জুরাসিক পার্কে। যে কোনো সময় দেখা হয়ে যাবে প্রাগৈতিহাসিক প্রাণীদের সঙ্গে।

 

ওয়াক দ্য প্লাঙ্ক : চরম উত্তেজনাপূর্ণ ‘ওয়াক দ্য প্লাঙ্ক’। কাঠের পাটাতনে দাঁড়িয়ে এবার চোখে পরে নিন ভি আর চশমা। চোখ মেলতেই পৌঁছে যাবেন ১০৪ তলা ভবনের ওপর! ১০৪ তলা দালানের ছাদ থেকে এই কাঠের পাটাতন দিয়ে হেঁটে যেতে হবে আরেকটি ১০৪ তলা ভবনের ছাদে। সুপার এক্সাইটমেন্ট ওয়াক দ্য প্লাঙ্ক চ্যালেঞ্জের রেকর্ড নাকি এখনো কেউ ভাঙতে পারেনি। এক পা ফেলেই হাল ছেড়ে দিয়েছেন অনেকে। ভি আর চশমা খুলে ফেললেই ঘরের মেঝে দেখতে পাবেন কিন্তু ভি আর চশমা পরে ১০৪ তলা দালানের ছাদে ওঠার অনুভূতি নিয়ে আর সাহসে কুলোবে নাÑ এতটাই বাস্তব মনে হবে।

 

আরকেড জোন : বসুন্ধরা সিটির ১৭ তলায় ৮০টি গেমস নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে বিশাল আরকেড জোন। এখানে রয়েছে আইস হকি, স্কেটিং, গোস্ট রাইড, শুটিং, মনস্টার রাইড, হান্টিংসহ নানা ধরনের রাইড।

 

স্পোর্টস সিমুলেটর : বসুন্ধরা সিটির লেভেল ১৮ জুড়ে রয়েছে স্পোর্টস সিমুলেটর। বাংলাদেশে প্রথম স্পোর্টস সিমুলেটর আনা হয়েছে ইংল্যান্ড থেকে। এখানে ফুটবল, ক্রিকেট, গলফ খেলার আসল স্বাদ পাওয়া যাবে। বড় স্ক্রিনের সামনে দাঁড়িয়ে ফুটবল পায়ে নেমে পড়তে পারবেন এখানে। গোলপোস্টে দাঁড়াবে বিশ্বের সেরা গোলকিপার। এবার শুট করে গোল দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যান। ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা অনেক। সে কারণে স্পোর্টস সিমুলেটরে বোলিং করতে ছুটে আসেন অনেকে। বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যানকে আউট করার সুযোগ মিলবে। লাইন-লেংথ ঠিক করে নিতে প্র্যাকটিস সেশনে আসতে পারেন প্রফেশনাল খেলোয়াড়রাও। সত্যিকারের গলফ কোর্টে খেলার ব্যয় ও সুযোগ অনেকেরই নেই। কিন্তু গলফ খেলার স্বাদ পেতে বসুন্ধরার আলটিমেট ফান ফ্যাক্টরি দিয়েছে দারুণ সুযোগ।

 

মাত্র ২০০ টাকা খরচ করে ১৮ হোলের পুরো এক ম্যাচ গলফ খেলতে পারবেন একজন। প্রফেশনাল গলফারদের কাছে প্র্যাকটিস করার এটা বড় একটি সুযোগ। এই স্ক্রিনে গলফ খেলতে গিয়ে আপনি জানতে পারছেন বল কতটা সুইং করছে, কত জোরে শট করতে হবে, বাঁক মিলিয়ে কীভাবে হোলে বল ফেলতে হবে। বসুন্ধরা সিটিতে স্পোর্টস সিমুলেটরের জন্য চারটি পর্দা বা স্ক্রিন রয়েছে। খেলোয়াড়দের আগ্রহ ও কৌতূহল মেটাতে এর মধ্যে একটি স্ক্রিন সব সময়ই গলফ খেলার জন্য বরাদ্দ থাকে। দারুণ জনপ্রিয় বোলিংয়ের আয়োজনও রয়েছে স্পোর্টস সিমুলেটর জোনে। এ ফ্লোরেই রয়েছে দুই লাইনের বোলিং।

 

ফুড লিফট : বসুন্ধরা সিটির ১৯ তলায় রয়েছে রেস্টুরেন্ট। নানা স্বাদের, সুস্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশন করা হয় এখানে। বসুন্ধরা আলটিমেট ফান ফ্যাক্টরিতে বসে আপনি এইরেস্টুরেন্ট থেকে খাবার অর্ডার করতে পারবেন। সে খাবার পৌঁছে যাবে ফুড লিফটের মাধ্যমে।

 

 

উন্নত বিশ্বের সেরা বিনোদন আয়োজন এখানে

২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর বসুন্ধরা সিটির ১৪ থেকে ১৯ তলা পর্যন্ত ফান ফ্যাক্টরি সবার জন্য খুলে দেওয়া হয়। এর পরপরই সুস্থ বিনোদনের জন্য ভিড় করতে থাকেন তরুণ-তরুণীরা। বসুন্ধরা আলটিমেট ফান ফ্যাক্টরি নিয়ে বিজনেস ডেভেলপমেন্ট জেনারেল ম্যানেজার আবদুল্লাহ বলেন, ‘টিনএজার ও প্রাপ্তবয়স্কদের সুস্থ বিনোদন আয়োজনের জন্য বসুন্ধরা আলটিমেট ফান ফ্যাক্টরি গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফিয়াত সোবহান সানবীর। শিশুদের জন্য টগি ওয়ার্ল্ডের সাফল্যের পর সেই পরিকল্পনামাফিক বসুন্ধরা আলটিমেট ফান ফ্যাক্টরির যাত্রা হয়। ৬০ হাজার বর্গফুট নিয়ে ভার্টিক্যাল এন্টারটেইনমেন্টের আয়োজন বাংলাদেশে আমরাই প্রথম করি। বিশ্বসেরা ইনটেরিয়র, ডিজাইন ও বিনোদন পরিকল্পনা প্রতিষ্ঠান কনসেপ্ট আইয়ের পরিকল্পনাতেই ভার্চুয়াল রিয়েলিটিনির্ভর বিনোদন আয়োজন, রাইড, স্পোর্টস সিমুলেটর দিয়ে এটি সাজানো হয়েছে। উন্নত বিশ্বের সেরা বিনোদন আয়োজন থাকায় এটি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। আমাদের জনপ্রিয় একটি গেম লেজার ট্যাগ খেলার জন্য সাপ্তাহিক বন্ধের দিনগুলোয় ৪০০ থেকে ৫০০ তরুণ-তরুণীর লাইন পড়ে যায়। আরকেড জোন রাইড, স্পোর্টস সিমুলেটর ও ভার্চুয়াল রিয়েলিটিনির্ভর বিনোদন আয়োজনে মানুষ দারুণ উচ্ছ্বসিত। শহরবাসীর আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে মাত্র ১০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে সব ধরনের বিনোদনের আয়োজন রেখেছি আমরা। আলটিমেট ফান ফ্যাক্টরি গড়ে তোলার  পেছনে বসুন্ধরা গ্রুপের একটাই উদ্দেশ্যÑ মানুষ যেন সুলভে সুস্থ, স্বাভাবিক বিনোদন পেতে পারে। নাগরিক জীবনে সুস্থ বিনোদনের অভাবে অনেকেই মাদকে আসক্ত হচ্ছে, অনেকে ইন্টারনেট, মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়ছে। মানুষ যেন এসব থেকে বেরিয়ে এসে পরিবার, স্বজন ও বন্ধুদের নিয়ে সুস্থ বিনোদন পেতে পারে, মানসিকভাবে সতেজ হতে পারেÑ সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।’

সর্বশেষ খবর