পরিত্যক্ত পলিথিন ও প্লাস্টিক থেকে জ্বালানি তেল তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিলেন ভোলার চরফ্যাশনের এক যুবক। প্লাস্টিক কাঁচামাল দিয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ায় জ্বালানি তেল উৎপাদনের পাশাপাশি প্রিন্টারের কার্বন কালি তৈরি হয়। এ তরুণ উদ্যোক্তা রায়হানের বাড়ি ভোলার চরফ্যাশনে। তরুণ উদ্ভাবক রায়হান চরফ্যাশন দক্ষিণ আইচা অধ্যক্ষ নজরুল কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষা দেন।
প্লাস্টিক ও বর্জ্য পলিথিন থেকে জ্বালানি তেল তৈরির ক্ষুদ্র কারখানা পরিদর্শন করছে অনেকে। বর্জ্য প্লাস্টিক থেকে তেল তৈরির এ ঘটনা জেলাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
রায়হানের ক্ষুদ্র কারখানাটি চরমানিকা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে চর কচ্ছপিয়া গ্রামে অবস্থিত। তিনি চরমানিকা এলাকার মো. দ্বীন ইসলাম মুন্সীর ছেলে। ক্ষতিকর পলিথিন ও প্লাস্টিকের বোতল পচে না। কৃষিজমিতে বা অকৃষি জমিতে পড়ে থাকলে কোনো ফসল হয় না। পরিত্যক্ত এ বর্জ্য থেকে কাঁচামাল ব্যবহার করে তৈরি করছে জ্বালানি তেল। এই তেলে পরিবহন চলে।
একটি ড্রামের সঙ্গে কয়েকটি ছোট কনটেইনার বসিয়ে প্লাস্টিক বোতল ও পলিথিন পুড়িয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি করা হচ্ছে জ্বালানি তেল। উদ্যোক্তা রায়হান বলেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগ্রহ করা অব্যবহৃত ক্ষতিকর পলিথিন ও ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক বোতল লোহার ড্রামে নির্গত আগুনের মাধ্যমে বায়োগ্যাস অপর একটি কনটেইনার বা প্লাস্টিকের ড্রামের মধ্যে রাখা হয়। পরে ঠান্ডা হলে পর্যায়ক্রমে জ্বালানি তেল জমে।
সোশ্যাল মিডিয়া ইউটিউব দেখে বাবার কাছ থেকে স্কুল কলেজে পড়ালেখা অবস্থায় টিফিনের জমানো টাকা থেকে রায়হান এ কাজ শুরু করেন। হাটবাজার থেকে পরিত্যক্ত পলিথিন সংগ্রহ করে পরীক্ষামূলকভাবে নিজ বাড়িতে একটি তাপ সহনশীল লোহার ড্রাম, একটি বড় প্লাস্টিক ড্রাম, চারটি কনটেইনার, একটি ২০ ফুট পাইপ ড্রামের সঙ্গে সংযোগ লাগিয়ে কাজ শুরু করে। পরে ড্রামে পলিথিন ও প্লাস্টিক দিয়ে আগুন পলিথিন গলিয়ে জ্বালানি তেল ও প্রিন্টারের কালি তৈরি করা হচ্ছে। ১ লিটার ডিজেল, লিটারপ্রতি তার খরচ ২০-৩০ টাকা। বর্তমান সরকারের সার্বিক সহযোগিতা পেলে প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে জ্বালানি তেল উৎপাদন করে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে চান এই তরুণ উদ্যোক্তা।