প্রাণপ্রাচুর্যে ভরপুর আর প্রকৃতি যেন একাই সেজে বসে আছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে ইলিয়টগঞ্জ পর্যন্ত। মহাসড়কের কোনো জায়গায় মাঝামাঝি স্থানে, আবার কোনো কোনো জায়গায় দুই পাশে রাধাচূড়ার পাতাগুলোতে নতুন করে রং লাগিয়ে উজ্জ্বল সবুজ আর অপরূপ দৃশ্য সড়কের দিকে তাকালে যেন চোখ জুড়িয়ে যায়।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার অংশের দিকে তাকালে মন ভরে যায়। গাছে গাছে নতুন পাতায় ভরপুর হয়ে উঠেছে। মহাসড়কের উভয় পাশে সারি সারি হৈমন্তী, কুর্চি, টগর, রাধাচূড়া, কাঞ্চন, সোনালি, কৃষ্ণচূড়া, কদম, বকুল, পলাশ, কবরী, ক্যাসিয়া ও জারুল জাতের গাছগুলোও তেমনি তারুণ্য ছড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশের বাসিন্দা ফখরুল আলম বলেন, তিনি জীববৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করেন। তিনি বলেন, বিগত করোনাভাইরাসের প্রভাবে যখন মহাসড়কে সব প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। ঠিক ওই সময় বায়ুদূষণ ও কালো ধোঁয়া থেকে রক্ষা পাওয়ার কারণে বর্তমান সময়ে পুনরায় যানবাহন চলাচল করলেও বায়ুদূষণ ও কালো ধোঁয়ার প্রভাবের পরও প্রকৃতির রূপ যেন আরও বেড়েই চলছে। কৃষি ও পরিবেশবিদ মতিন সৈকত বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহসড়কটি পাঁচ বছর আগে চার লেনে রূপান্তর করা হয়।
এরপর সড়ক কর্তৃপক্ষ সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য মহাসড়কের দুই পাশে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ ও সড়কের মাঝে পাকা জায়গাগুলোতে বিভিন্ন ফুল গাছ লাগানোর কারণে এর সৌন্দর্য দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। দাউদকান্দির পরিবেশবিদ শাহ আলম বলেন, এখন চলছে বর্ষার মৌসুম। আষাঢ় ও শ্রাবণ এ দুই মাস প্রায় দিনই থেমে থেমে বৃষ্টি হয়। এ বৃষ্টির কারণে মহাসড়কে যে দৃষ্টিনন্দন গাছ রয়েছে সে গাছের পাতার সমারোহ থেকে উজ্জ্বল মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, যা দেখলে যে কোনো মানুষের মন ও প্রাণ জুড়িয়ে যায়।