বছর দশেক আগে শুরুটা হলেও করোনার সময়েই মূলত বাংলাদেশে ই-লার্নিং জনপ্রিয়তা পায়। সেই সময় সরকারি-বেসরকারি সব পর্যায়েই অনলাইনে পড়াশোনার ব্যাপারটি প্রসারিত হতে থাকে। শিক্ষার্থীরা অনেকেই এখন ভরসা করছে ই-লার্নিংয়ের ওপর। ফলে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এখন বাংলাদেশেও সাফল্যের সঙ্গে কাজ করছে বেশ কিছু ই-লার্নিং প্ল্যাটফরম। এমনই একটি প্ল্যাটফরম ‘আমার স্কুল’। যারা বিভিন্ন অনলাইন কোর্সের মাধ্যমে ই-লার্নিংকে শক্তিশালী করতে কাজ করছে। আমার স্কুলে বিভিন্ন একাডেমিক এবং ক্যারিয়ারমুখী কোর্সগুলো প্রাধান্য পাচ্ছে। প্ল্যাটফরমটিকে একটি স্টার্ট-আপ বলছেন আমার স্কুলের উদ্যোক্তারা। যেখানে সুযোগ রয়েছে দেশে বা পৃথিবীর যে কোনো জায়গায় বসে অনলাইনে রেকর্ডেড এবং সরাসরি লাইভ ক্লাসের। সম্প্রতি সময়ে তারা দারুণভাবে তাদের প্ল্যাটফরমে শুরু করেছেন নার্সিং ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য ভর্তি প্রস্তুতি কোর্স। সেখান থেকে কোর্স করে বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই তাদের পছন্দের নার্সিং কলেজ বা ইনস্টিটিউটে ভর্তি হতে পেরেছেন। তবে সেখানে ডিপ্লোমা নার্সিং, বিএসসি নার্সিং এবং মিডওয়াইফারির জন্য আলাদা আলাদাভাবে শিক্ষার্থীরা প্রস্তুতি নিতে পারবেন প্রয়োজন অনুযায়ী বিষয়ভিত্তিক। আমার স্কুলের উদ্যোক্তা ও সিইও আবদুল্লাহ বিন আলমগীর বলেন, ‘বর্তমানে সরকারি তালিকাভুক্ত নার্সের সংখ্যা প্রায় ৭০ হাজার। এর মধ্যে সরকারি নার্স রয়েছেন প্রায় ৪০ হাজারের মতো। জনসংখ্যার অনুপাতে আমাদের প্রয়োজন প্রায় আড়াই লাখ দক্ষ নার্স। দক্ষ নার্স তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে আমার স্কুল।’
যেহেতু বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী প্রতি একজন চিকিৎসকের বিপরীতে তিনজন করে নার্স থাকার রীতি রয়েছে। তবে তা বর্তমানে একজন হিসাবে রয়েছে। পাশাপাশি নার্সিং পেশার প্রতি আগ্রহ তৈরির পেছনে আরেকটি উল্লেখযোগ্য কারণ হচ্ছে বিএসসি নার্সিং কোর্স শেষ করে বিসিএস দেওয়া যায়। এ ছাড়া দক্ষ নার্সরা সরকারি-বেসরকারি চাকরি সুবিধার পাশাপাশি বিদেশে এমএসসি, এমটিএইচ বা পিএইচডি করার জন্য যেতে পারছেন।