ব্যাংকিং এখন গ্রাহকের হাতের নাগালে। ডিজিটাল ব্যাংকিং ব্যাংক ব্যবস্থাকে আরও সহজ করেছে। তবে এতে ঝুঁকিও রয়েছে। যথাযথ সতর্কতা এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাই ঝুঁকি থেকে মুক্তি দেবে। আর এ জন্য সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কে সচেতন থাকুন।
► আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর, ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের পিন, এক্সপায়ারি ডেট বা গোপন সংখ্যা ইত্যাদি কখনোই কারও সঙ্গে শেয়ার করবেন না।
► অন কিংবা অফলাইন- অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তায় কঠিন পাসওয়ার্ডের কোনো বিকল্প নেই।
► আদর্শ পাসওয়ার্ড হতে হবে ন্যূনতম ছয় অংকের।
► বড় ও ছোট হাতের এ, বি, সি, ডি; একটি বা দুটি চিহ্ন ও ১, ২, ৩, ৪ ইত্যাদির সংমিশ্রণ আদর্শ।
► একই পাসওয়ার্ড একটির বেশি অ্যাকাউন্টে ব্যবহার করবেন না, পুরনো পাসওয়ার্ড বারবার নয়।
► ব্যক্তিগত তথ্য যেমন : নাম বা নামের অংশবিশেষ, ফোন নম্বর, জন্মতারিখ, ডিকশনারিতে আছে এমন শব্দ পাসওয়ার্ডে রাখবেন না।
► অনলাইন ট্রানজেকশন কিংবা শপিং করে থাকেন তবে অবশ্যই ইন্টারনেট সিকিউরিটি ব্যবহার করুন। ফ্রি অ্যান্টিভাইরাস নয়, লাইসেন্সড ভার্সন ব্যবহার করুন।
► মেগাবাইট বাঁচাতে অনেকেই পিসি ও মোবাইলে অটো-আপডেট বন্ধ রাখেন। এটি বিপদ ডেকে আনে। সাইবার সিকিউরিটির জন্যই এসব হালনাগাদ আবশ্যক।
► হ্যাকাররা প্রায়ই দেখা যায় ব্যাংকের নামে মেইল অ্যাড্রেস খুলে প্রতারণামূলক মেইল করে থাকে। ব্যাংকের নামে বা এমন কোনো সন্দেহজনক ইমেইল পেয়ে থাকলে অবশ্যই ইগনোর করুন।
► সরকারি-বেসরকারি সব ব্যাংকেই এখন নোটিফিকেশন সিস্টেম চালু রয়েছে। অ্যাকাউন্টে সব ধরনের লেনদেন করামাত্র তাৎক্ষণিক ব্যবহারকারীর ইমেইল ও মোবাইল ফোনে খুদে বার্তা পাঠিয়ে তা জানিয়ে দেওয়া হয়।