১৯ অক্টোবর, ২০১৫ ১১:৩০
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু

দেশবাসী চায় জাতীয় নির্বাচন, স্থানীয় নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশবাসী চায় জাতীয় নির্বাচন, স্থানীয় নয়

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, দেশের জনগণ এ মুহূর্তে জাতীয় নির্বাচন দেখতে চায়, স্থানীয় সরকার নয়। সরকার অসৎ উদ্দেশ্যে স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে দলীয়ভাবে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিএনপিসহ বিরোধী দলকে দমন-পীড়নের  জন্যই এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।  

গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এ কথা বলেন সাবেক এই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী। তার মতে, দেশে এখন গণতন্ত্র অনুপস্থিত। এ জন্যই গুম, খুনসহ অপরাধ প্রবণতা বেড়েছে। সরকারের উচিত হবে, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সবার অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন উপহার দেওয়া। দেশ গণতান্ত্রিক পন্থায় না চললে, যা হওয়ার তাই হবে। এ জন্য জাতীয় ঐক্যও জরুরি। বিএনপি চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা বলেন, সরকার স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে জনগণের দৃষ্টিকে ভিন্ন দিকে নেওয়ার অপতৎপরতা চালাচ্ছে। কিন্তু জনগণ এখন সবই বুঝে। সময়মতো এর জবাব দেবে। আমরা গণতন্ত্রের জন্য যতটা ইতিবাচক, সরকার ততটাই নেতিবাচক। এর মাশুলও একদিন ক্ষমতাসীনদের দিতে হবে। ফ্যাসিস্ট কায়দায় স্বৈরাচার এরশাদ ৯ বছর ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু তারও পতন হয়েছে। এ সরকারও স্বৈরাচার এরশাদকে ছাড়িয়ে গেছে। সুতরাং তাদের পতন অবশ্যই হবে। সরকারবিরোধী দলকে দাঁড়াতেই দিচ্ছে না দাবি করে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, এটা শুধু গণতন্ত্রের জন্য নয়, দেশের রাজনীতির জন্যও অশনি সংকেত। বিএনপি পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরু করেছে। সরকার এতে বাধা দিচ্ছে। বিএনপির ঘরোয়া বৈঠকও করতে দিচ্ছে না। গ্রেফতার-হামলা করছে। ক্ষমতাসীনরা চায় না বিএনপি সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হোক। এর খেসারত একদিন তাদের দিতে হবে। তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দেশের বাইরে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শিগগিরই দেশে ফিরবেন। এরপর দলে পুরোদমে পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরু হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন না দিলে দল পুনর্গঠন শেষে গণতান্ত্রিক পন্থায় আমাদের আন্দোলনে যাওয়া ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। অতীতে আন্দোলন পুরোপুরি সফল না হলেও ভবিষ্যতে যে হবে না, তা তো বলা যায় না। দেশবাসীকে নিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন আজ হোক, কাল হোক সফল হবেই হবে।  

তিনি বলেন, আন্দোলন সফল হতে হয়তো কিছুটা সময় লাগতে পারে। এ জন্য দেশবাসীকে নিয়ে আমরাও ধৈর্য ধারণ করতে প্রস্তুত। জনগণের আন্দোলন অতীতেও ব্যর্থ হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। দেশের অধিকাংশ জনগণ এখনো বিএনপির পক্ষে। দেশবাসী এখন একটি সুযোগের অপেক্ষায় আছে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলেই জনগণ তার উপযুক্ত জবাব দেবে। সরকার বিরোধী অন্যান্য রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্যে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আসুন, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হই। অবাধ, সুষ্ঠু ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের একদফা দাবিতে এক প্লাটফর্মে আসি। প্রয়োজনে এক কাতারে এসে জনগণকে নিয়ে আন্দোলনেও যাব। কে ডান, কে বাম, উঁচু, নিচু কোনোটাই এখন মুখ্য নয়। জরুরি হলো-দেশে একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা। এ জন্য সবাইকে এক কাতারে আসা ছাড়া আর কোনো বিকল্প পথ খোলা নেই।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর