২৭ অক্টোবর, ২০১৫ ১০:৩৯
পর্যবেক্ষণ

অন্য আলোয় চেনা

আবেদ খান

অন্য আলোয় চেনা

আমি অত্যন্ত আনন্দ অনুভব করেছি যখন জানলাম প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীদের মধ্যে আমার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব এহসানুল করিম হেলাল টেলিফোনে আমাকে সংবাদটি জানালেন। হেলাল আমার অত্যন্ত স্নেহভাজন। সুজন, মিষ্টভাষী হেলাল প্রধানমন্ত্রীর দফতরের দায়িত্ব নিয়ে আসাতে প্রীত বোধ করেছিলাম এই কারণে    যে, তিনি অন্তত তার প্রাপ্ত পদটির মর্যাদা রাখতে পারবেন। আমার ব্যক্তিগত অনুভূতি কিংবা এই সফরের অন্যান্য বিষয় নিয়ে একাধিক পর্বে লেখার উপকরণ সাজিয়েছি। পরবর্তীতে সেসব লেখা যাবে।  মূল সফরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ নিয়েই এবারের কলম ধরা।

যাত্রার উদ্দেশ্য জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭০তম অধিবেশনে অংশগ্রহণ। ১০ দিনের নিউইয়র্ক সফর। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হিসেবে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকার ব্যাপারটি সৌভাগ্যবাহী, সন্দেহ নেই। কিন্তু সবচেয়ে উত্তেজনাকর চারটি ঘটনার জন্য আমার কাছে এই সফরটি তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে থাকবে। এক. আইটিইউ-এর কাছ থেকে ‘আইসিটির সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ পুরস্কার গ্রহণ; দুই. জাতিসংঘের অত্যন্ত সম্মানজনক পুরস্কার ‘ইউএন চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ; তিন. জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বাংলায় ভাষণ প্রদান এবং চার. কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রোটুন্ডা লো মেমোরিয়াল লাইব্রেরি মিলনায়তনে বক্তৃতা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বাংলায় বক্তৃতা করে আসছেন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকেই। যে উদাহরণ সৃষ্টি করেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ হাসিনা সেটাই অনুসরণ করে চলেছেন। কেউ কেউ বলেন, তিনি তার পিতার অনুসৃত পথেই পা রেখে চলছেন এই ক্ষেত্রে। কিন্তু আমার ব্যাখ্যা তা নয়। আমি মনে করি, তিনি বাঙালি হিসেবে বাংলা ভাষার মর্যাদা, গৌরব প্রতিষ্ঠার উদ্যোগকে দৃঢ়তর ভিত্তির ওপর দাঁড় করানোর জন্যই জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলায় বক্তৃতা দিয়ে থাকেন। এটা তার কমিটমেন্টেরই অংশ। এর আগে জাতিসংঘে তার প্রদত্ত ভাষণ টেলিভিশনের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ করেছি। এবার সরাসরি অধিবেশন কক্ষে বসে প্রত্যক্ষ করলাম অভাবনীয় এবং শিহরণ জাগানো সেই অভিজ্ঞতা! বিশ্বসভায় বাংলা ভাষায় প্রদত্ত ভাষণ হেডফোনের মাধ্যমে অনূদিত হয়ে পৌঁছে যাচ্ছে পৃথিবীর অধিবেশনে উপস্থিত সব দেশের রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারপ্রধানদের কর্ণকুহরে, তাদের অভিব্যক্তিতে ফুটে উঠছে বাংলায় বর্ণিত শব্দধ্বনির যথার্থ অর্থ। অধিবেশন কক্ষে বসে সেই দৃশ্য দেখে নিজেকে একজন গর্বিত বাঙালি মনে হচ্ছিল।

যে দুটি অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দুটি মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার লাভ করেছেন, সেই দুটি অনুষ্ঠানে অবশ্য আমাদের প্রবেশাধিকার ছিল না। যাদের যাওয়ার সুযোগ ছিল তাদের কাছ থেকে শুনেছি, দুটি পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বিপুলভাবে অভিনন্দিত হয়েছেন। অন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের প্রাপ্তির পাল্লাটি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্রমান্বয়ে এত ভারী করে দিচ্ছে, যার ফলে এর ওপরে নতুন অর্জন এখন কেবল একটি সংযোজন ছাড়া আর কিছু মনে হয় না।

তবে আমি সবচেয়ে আলোড়িত এবং বিমুগ্ধ হয়েছি কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানটিতে। পুরো অনুষ্ঠানটি আমার স্মৃতিপটে আশ্চর্যজনকভাবে জীবন্ত হয়ে আছে। সেখানে আমি আবিষ্কার করলাম অন্য এক শেখ হাসিনাকে। দেখলাম দৃপ্ত পদক্ষেপে ঠোঁটে মৃদু হাসির রেখা ফুটিয়ে তিনি মঞ্চে এলেন। তার সংরক্ষিত আসনে বসে উপস্থিত দর্শকদের দিকে হাত নাড়লেন। শান্ত সমাহিতভাবে পাশে রাখা গ্লাস থেকে পানি পান করলেন। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই পাঠাগার মিলনায়তনটি ভর্তি ছিল ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতিতে। তাদের মধ্যে প্রায় ৬০ জনের মতো ছিল বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রী। ভারতীয় ছিল, চীনা ছাত্রছাত্রী ছিল আর বেশ উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ছিল অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীরাও।

আমরা আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলাম অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার ঘণ্টাখানেক আগে। কঠোর তল্লাশি পেরিয়ে যখন দর্শক সারিতে বসলাম তখন মনে হয়েছিল, এ তো দারুণ এক জায়গা! এখানে পৃথিবীর অনেক দেশের রাজনীতিক এসে মুখোমুখি হন ছাত্রছাত্রীদের। এই অনুষ্ঠানেরও মূল উদ্যোগ হচ্ছে ওয়ার্ল্ড লিডার্স ফোরামের। আয়োজক স্বাভাবিকভাবেই ঐতিহ্যবাহী কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। সেদিন একমাত্র বক্তা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বক্তব্য রাখবেন ‘গার্লস লিড দ্য ওয়ে’ বিষয়ের ওপর। বারবার ভাবছিলাম বিষয়টা নিয়ে কী বলবেন তিনি! হলভর্তি সব তুখোড় ছেলেমেয়ে। এটি এমন একটা বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে একটু এদিক-ওদিক তাকালেই দুই-একজন নোবেল-পদক বিজয়ীকে দেখা যায়, তাদের শুধু চিনলেই হয়। এরকম একটা বিদ্যাপীঠেই এসেছি আমরা। আমাদের অনুষ্ঠানস্থলের অনতিদূরে একজন যশস্বী ব্যক্তির মূর্তি আছে, যাকে বলা হয় আধুনিক সাংবাদিকতার প্রাণপুরুষ- জোসেফ পুলিৎজার। যিনি ছিলেন এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই একজন ফ্যাকাল্টি, যার নামে প্রবর্তিত হয়েছে সাংবাদিকতার নোবেল পুরস্কার হিসেবে পরিগণিত পুলিৎজার পুরস্কার। এরকম একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী এবং তিনি বক্তৃতা দেবেন, নানাবিধ প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেবেন। ভাবা যায়! শুরু হলো অনুষ্ঠান। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ড. লি সি বোলিঙ্গার স্বয়ং স্বাগত ভাষণ দিয়ে সূচনা করলেন অনুষ্ঠানের। জানিয়ে দিলেন এই মিলনায়তনে কত তুখোড় রাজনীতিক বক্তব্য দিতে এসেছেন, ছাত্রছাত্রীদের বুদ্ধিদীপ্ত প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে বিমোহিত হয়েছেন। শুধু তাই নয়, ড. বোলিঙ্গার স্বয়ং সঞ্চালকের ভূমিকায়ও অবতীর্ণ হলেন। পরিচয় করিয়ে দিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে তার বিভিন্ন অবদানের প্রসঙ্গ তুলে। তারপর জানালেন এই এক ঘণ্টার সীমাবদ্ধ সময়ে শেখ হাসিনা কতটুকু কথা বলবেন, কতটুকু সময় বরাদ্দ প্রশ্নোত্তর পর্বের। তারপর ফ্লোর ছেড়ে দিলেন মূল আলোচককে।

øিগ্ধ হাসি ছড়িয়ে মাইকের সামনে এসে দাঁড়ালেন তিনি। চমৎকার সাবলীল এবং প্রত্যয়দৃপ্ত কণ্ঠে কথা শুরু করলেন। কণ্ঠস্বরে কোনো জড়তা নেই, বাক্যবয়ানে শব্দচয়নে অভ্রান্ত প্রক্ষেপণ। বিষয়বস্তু থেকে বিচ্যুতি নেই, অথচ ওই সংক্ষিপ্ত পরিসরে উঠে এলো অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের রূপরেখা। নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রয়াস থেকে উন্নয়ন-যাত্রায় নারীর অবদান- কোনো কিছুই অনুক্ত রইল না। আজ যে দেশ দ্রুততার সঙ্গে সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে, তার পেছনে আছে সদিচ্ছা, অগ্রাধিকার নির্ধারণ করে কর্মপন্থা গ্রহণ, নারীকে উন্নয়ন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত করা, শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান- এসবই তুলে ধরলেন তিনি। চমৎকার প্রাঞ্জল ইংরেজিতে বক্তৃতা দেওয়ার মাঝখানে হঠাৎ কিছুক্ষণ বাংলায় বক্তব্য রাখলেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাঙালি ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে। তুমুল করতালির মধ্যে তিনি তাদের আহ্বান জানালেন পৃথিবীর অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পর অধীত বিদ্যা দেশ ও মানব জাতির কল্যাণে নিয়োজিত করার জন্য।

প্রধানমন্ত্রীর সম্মোহনী বক্তব্য প্রদানের পর ড. বোলিঙ্গার আবেগঘন কণ্ঠে কয়েকটি বাক্যে অভিব্যক্তি জানিয়ে সূচনা করলেন প্রশ্নোত্তর পর্বের। প্রথম প্রশ্নটি ছুড়ে দিলেন তিনি। ধর্মীয় উগ্রবাদ বাংলাদেশের জন্য কতখানি হুমকি- এই প্রশ্নের উত্তরে যে স্বতঃস্ফ‚র্ত ব্যাখ্যা দিলেন, তা চমৎকৃত হওয়ার মতো। তিনি বললেন, সমাজের অন্ধকার দূর করতে হলে জ্ঞানের মশাল জ্বালাতে হবে। শিক্ষাকে মানুষের অধিকারে পরিণত করতে হবে। তারপর থেকে শুরু হলো ছাত্রছাত্রীদের প্রশ্নের পালা। যে ইংরেজিতে প্রশ্ন করছে তিনি ইংরেজিতেই তার উত্তর দিচ্ছেন। যারা বাংলায় প্রশ্ন করছে তাদের তিনি উত্তর দিচ্ছেন বাংলায়। দেখলাম, বুদ্ধির প্রাখর্যে এবং যুক্তির শাণিত ব্যাখ্যায় তিনি সব প্রশ্নের যথার্থ উত্তর দিয়ে যাচ্ছেন- কখনো গভীর মমতা দিয়ে তাদের আহ্বান জানাচ্ছেন যেভাবেই হোক দেশটাকে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার জন্য। সময়ের সীমাবদ্ধতার কারণে বক্তা এবং শ্রোতা- উভয়কেই তৃষ্ণার্ত থাকতে হলো। কীভাবে এবং কত দ্রুত যেন বয়ে গেল সময়। ওই অনুষ্ঠানে বসেই আমি ভাবছিলাম এ কোন শেখ হাসিনাকে দেখছি আমি? সেই ষাটের দশকের গোড়ায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভিজিটার্স কক্ষে রাজবন্দী ‘লিডার’ মুজিব ভাইকে দেখতে আসা তার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে দেখেছিলাম যে হাসিনাকে, তার সঙ্গে আজকের শেখ হাসিনার কী বিশাল পার্থক্য। আমার মনে হলো প্রজ্ঞায়, জ্ঞানে পরিপক্বতায় তিনি আমাদের ভৌগোলিক সীমানাকে পেরিয়ে গেছেন। জাতীয় পরিমণ্ডল ছাপিয়ে তিনি আমাদের চোখের সামনে ধীরে ধীরে পরিণত হয়েছেন একজন বিশ্বনেতায়। শেখ হাসিনা ছাত্র রাজনীতিতে অংশ নিয়েছেন তৃণমূল পর্যায় থেকে। এমন সময় তিনি ছাত্র রাজনীতির অন্যতম নেত্রী পদে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন যখন বঙ্গবন্ধু কারান্তরালে, তার বিরুদ্ধে চলছে অন্তহীন কুৎসা প্রচারণা। ঠিক তেমনি সময় তিনি সম্পূর্ণ নিজের যোগ্যতায় ছাত্রপরিষদ নির্বাচনে বিপুলভাবে বিজয়ী হয়ে আপন জনপ্রিয়তার স্বাক্ষর রেখেছেন। তারপর অতিসন্তর্পণেই সরে গেছেন রাজনীতির পাদপ্রদীপ থেকে। স্বেচ্ছানির্বাসন নিয়েছেন নিজ থেকেই। তখন মুজিব ভাই-ভাবী আমাদের কাছের মানুষ হলেও তাদের সন্তানদের সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগই ছিল না। আমি বাম-রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত, মস্কোপন্থি রাজনৈতিক দর্শনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত। সাংবাদিকতা করি, সাংবাদিক ইউনিয়ন করি, শ্রমিক সংগঠন করি, সাংস্কৃতিক আন্দোলন করি। মুক্তিযুদ্ধ থেকে ফিরে সাংবাদিকতা পেশা নিয়ে ব্যস্ত থেকেছি। বাকশাল হয়েছে, সাংবাদিকদের বাকশালে যোগদানের বিরোধিতা করেছি, ইত্তেফাকের চাকরি গেছে। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর যেদিন চাকরি ফেরত পেয়েছি, প্রচুর ভীতি প্রদর্শন সত্ত্বেও জাতির জনককে তার যোগ্য সম্মান দেওয়ার চেষ্টা করে গেছি- তখনো শেখ হাসিনা দেশে ফেরেননি।

ধান ভানতে শিবের গীত গাইছি হয়তো, এ বিষয়টি নিয়ে না হয় পরে লেখা যাবে। বলছিলাম, শেখ হাসিনার রাজনীতিক হয়ে ওঠার কথা, ভাঙনের কূল থেকে একটি দলকে গড়ে তোলার কথা, ধ্বংসস্তূপ থেকে একটি দেশকে ধীরে ধীরে তৈরি করে মর্যাদাবান আত্মসম্মানবোধপরায়ণ, উন্নয়নের সোপান অতিক্রম করে সফলতার সিংহদুয়ারে পৌঁছে দেওয়ার ক্লান্তিহীন প্রয়াসে নিয়োজিত এক সাহসী নারীর কথা- যার এক চোখে স্বপ্ন আরেক চোখে সেই স্বপ্ন পূরণে দৃঢ়প্রতিজ্ঞার প্রতিচ্ছবির চিহ্ন।

বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ দিয়েছেন জাতিকে আর শেখ হাসিনা দিয়েছেন আধুনিক বাংলাদেশের রূপরেখা, স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দেওয়ার অদম্য সাহস ও শক্তি।  আজ গোটা পৃথিবী কেন এই একবিংশ শতাব্দীর ‘জোয়ান অব আর্ক’কে দেখে শ্রদ্ধায় অবনত হয়- সেটা উপলব্ধি করলাম সেদিন সেই কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির রোটুন্ডা লো মেমোরিয়াল লাইব্রেরির মিলনায়তনের অনুষ্ঠানে।  আমার জন্য এ এক অনুপম অভিজ্ঞতা, সন্দেহ নেই।

লেখক : সম্পাদক, দৈনিক জাগরণ

 

বিডি-প্রতিদিন/ ২৭ অক্টোবর, ২০১৫/ রশিদা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর