২২ নভেম্বর, ২০১৫ ১০:৫৬

এ ধরনের অপরাধীদের ক্ষমা করা যায় না

অনলাইন ডেস্ক

এ ধরনের অপরাধীদের ক্ষমা করা যায় না

ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ

সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ যদি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করে থাকেন, তাহলেও তাদের ক্ষমা করা যায় না। তিনি বলেন, এ ধরনের অপরাধে দণ্ডিতদের ক্ষমা করা যায় না। গতকাল সন্ধ্যায় বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ এ কথা বলেন।

সাবেক এই আইনমন্ত্রী বলেন, কেউ যদি মানবতাবিরোধী অপরাধ করে, গণহত্যায় সম্পৃক্ত হয়, তা ক্ষমা করার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির এককভাবে নেই। এ ধরনের অপরাধে দণ্ডিত আসামিদের ক্ষমা করতে আন্তর্জাতিক আইন ও ভিয়েনা কনভেনশনে বাধা আছে। ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর ও প্রধান বিচারপতির নিয়োগ ছাড়া সব কাজে রাষ্ট্রপতিকে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ নিতে হবে। সব কাজ তাকে করতে হবে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে। সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদেও যে ক্ষমা করার ক্ষমতার কথা বলা আছে, তাও তাকে প্রধানমন্ত্রীর উপদেশক্রমে করতে হবে। নিজের ইচ্ছামতো তিনি তা করতে পারবেন না।

ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, তাহলে যদি কেউ মানবতাবিরোধী অপরাধ করে থাকে, গণহত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়, সব চার্জ প্রমাণিত হয়, সেই অভিযুক্ত ব্যক্তিটি সাজাপ্রাপ্ত হয় এবং সাজাটা হলো তার প্রাণদণ্ড। এই প্রাণদণ্ড মওকুফের ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির এককভাবে নেই। এর জন্য অভিযুক্তকে স্বীকার করতে হবে, তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছিল মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যা, নারী ধর্ষণ, সেগুলো যে তথ্য-উপাত্ত দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে, সে জন্য সে অনুতপ্ত।

আন্তর্জাতিক আইনেও, অনেক বিদেশি বলেছেন যে, এ ধরনের অপরাধের একমাত্র শাস্তি প্রাণদণ্ড। কাজেই সবকিছু বিবেচনা করলে আমার মনে হয় মিনিস্ট্রি কখনো বলবে না যে এ ধরনের অপরাধে যারা দোষী সাব্যস্ত, তাদের দণ্ড মওকুফ করা হোক।

বিডি-প্রতিদিন/২২ নভেম্বর, ২০১৫/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর