১৭ এপ্রিল, ২০১৬ ১৪:৩৪
বাংলাদেশ প্রতিদিনকে একান্ত সাক্ষাৎকার—

খান সাহেবের বয়ান...

জাকারিয়া সৌখিন

খান সাহেবের বয়ান...

ঢাকায় শুটিং করে দেশে ফিরে গেলেন আন্তর্জাতিক অভিনেতা ইরফান খান। কথা ছিল শুটিং শেষে তিনি মুখোমুখি হবেন বাংলাদেশ প্রতিদিন-এর। হলোও তাই। পয়লা বৈশাখের দিন দুপুরবেলা হঠাৎ মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ফোন, ইরফান খান আজ কথা বলবেন। সুতরাং বৈশাখী উৎসব ফেলে ছুটে যাওয়া হলো খান সাহেবের হোটেল রুমে। হাসিমাখা মুখে তিনি স্বাগত জানালেন। তারপর পরিষ্কার বাংলায় বললেন, ‘শুভ নববর্ষ’।

তার বাংলা শুনে অবাক— একেবারে প্রমিত উচ্চারণ। তাই প্রস্তাব দেওয়া হলো— আপনি তো ভালো বাংলা বলেন। আমরা কি পুরো ইন্টারভিউ বাংলায় করতে পারি?

শুনেই চমকে গেলেন। জানালেন, পুরো ইন্টারভিউ দেওয়ার মতো সাহস তার নেই। তাই বাংলা-হিন্দি-ইংরেজি মিশিয়ে শুরু হলো আলোচনা।

 

প্রথমেই ‘ডুব’ নিয়ে জানতে চাই। আপনি ‘ডুব’-এ কেন ডুবে গেলেন?

খুব সহজ, এই ফিল্মের গল্পটি ভালো লেগেছে। আর আমার চরিত্রটি অন্যরকম। এ ধরনের চরিত্রে আমি আগে কাজ করিনি। একজন অভিনেতার জন্য এমন সুযোগ হাতছাড়া করা ঠিক হতো না।
 

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী যখন আপনাকে প্রস্তাবটি দিলেন, তখন আপনার কী মনে হলো?

মোস্তফা [ফারুকীকে ইরফান মোস্তফা বলে ডাকে] আমাকে সরাসরি প্রস্তাব দেয়নি। আমার বন্ধু নির্মাতা অনুপ সিং প্রস্তাব দিয়েছিল মোস্তফার পক্ষ হয়ে। তখন আমি অনুপের সঙ্গে ‘দ্য সং অব স্করপিয়ন’ ফিল্মের কাজ করছিলাম। এরপর মোস্তফার সঙ্গে ই-মেইলে যোগাযোগ হলো। স্ক্রিপ্টও পাঠাল, পড়লাম। ভালো লাগল, কথাবার্তা এগোতে শুরু করল।

 
কখনো কি কোনো শঙ্কা হয়নি, বাংলাদেশি ফিল্ম, বাংলাদেশি নির্মাতা— কেমন হবে?

শুনুন, দেশ-ভাষা-সংস্কৃতির তফাৎ দিয়ে ফিল্মকে বিচার করা যাবে না। ফিল্মের শক্তি অনেক। একটি ফিল্ম পুরো পৃথিবীকে এক করে ফেলতে পারে। তাই পৃথিবীর কোন কোণে বসে কে কী অসাধারণ ভাবনা ভাবছে, তা বলা যাবে না। তাই যে কোনো প্রস্তাবই মনোযোগ দিয়ে ভাবি, বিচার করি, তারপর আগ্রহ জন্মালে কাজ শুরু করি। আমি মোস্তফার ফিল্ম দেখেছি। তার গল্প বলার ধরন অসাধারণ। চরিত্রগুলোর মধ্যে সম্পর্কের যে রসায়ন তৈরি হয়, তা আমাকে মুগ্ধ করেছে। বিশেষ করে ‘পিঁপড়াবিদ্যা’ আমাকে মোস্তফার সঙ্গে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করেছে।

 

মুগ্ধতার কারণেই কি কো-প্রডিউসার হয়েছেন?

প্রডিউসার হয়েছি রিয়েলিটির জন্য। একটি ভালো ফিল্ম করার জন্য প্রচুর বাজেট দরকার। তারপর আমার শিল্পী সম্মানীও একটা ফ্যাক্টর। সবমিলিয়ে ভালো ফিল্ম তৈরির জন্য আমি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

 

বাংলাদেশের সিনেমা, গান কিংবা অন্যকিছু সম্পর্কে কি আগে থেকে ধারণা ছিল?

সত্যি বলতে তেমন কোনো ধারণা ছিল না। তবে কিছু গান শুনেছি। যেমন অর্ণব। অর্ণবের গান আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। ওর সঙ্গে দেখাও হলো এবার।

 

‘ডুব’-এ অভিনয় অভিজ্ঞতা কেমন হলো?

চমৎকার অভিজ্ঞতা। আমি চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করি। আমার জন্য এই ফিল্মটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। প্রধান কারণ বাংলা ভাষা এবং বাঙালি সংস্কৃতি। আমি সেটা আয়ত্ত করতে চেয়েছি। তবে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং ছিল মোস্তফার হুটহাট  ইম্প্রোভাইজেশন। স্ক্রিপ্টে যেভাবে লেখা তার থেকে বেরিয়ে প্রায়ই সে নতুন কিছু করতে চাইত। সেটা আরও চমৎকার হলেও, আমার জন্য কষ্টের ছিল।

 

আপনি তো এর আগেও একটি বাংলা ছবিতে অভিনয় করেছিলেন।

হ্যাঁ— শ্যাডোস অব টাইম। কিন্তু ওটা শুধু বাংলা নয়, জার্মান ভাষাও ছিল।

 

ইম্প্রোভাইজেশনের সময় বাংলা বলতে অসুবিধা হতো। তার মানে স্ক্রিপ্টের ডায়ালগ বলতে অসুবিধা হয়নি।

স্ক্রিপ্ট আমি ভালোভাবে পড়েছি। প্রতিটি ডায়ালগের টেক্সট এবং সাব-টেক্সট আমার জানা ছিল।  

জাভেদ হাসান [ডুব-এ ইরফানের চরিত্রের নাম] হয়ে ওঠার জন্য আপনার প্রস্তুতি কেমন ছিল?

আমি জাভেদ হাসান হওয়ার আগে বাঙালি হতে চেয়েছি। শুটিংয়ের আগে প্রতিদিন মোস্তফার সঙ্গে স্কাইপেতে আলাপ হতো। খুঁটিনাটি জেনেছি। মোস্তফা রিহার্সেলও করিয়েছে। আমার সহশিল্পীদের ছবি [স্টিল ছবি] নিয়েছি। ছবি দেখে দেখে তাদের আপন করে নিতে চেয়েছি।

 

সহশিল্পীদের সঙ্গে অভিনয় করে কেমন লাগল?

সবাই ভালো অভিনয় করেছে। এখানে একটা মজার ব্যাপার আছে, সেটা হলো— মোস্তফা কী করে যেন সবাইকে দিয়ে ভালো অভিনয় করিয়ে নেয়। আমাদের এখানে একজন ছোট্ট অভিনেতা [শিশুশিল্পী] ছিল, কখনো ও অভিনয় করেনি। কিন্তু তাকে দিয়েও মোস্তফা চমৎকার অভিনয় করিয়ে নিয়েছে। তবে আলাদাভাবে তিশার [নুসরাত ইমরোজ তিশা] অভিনয় আমাকে মুগ্ধ করেছে। খুব ন্যাচারাল অভিনয়। ও অনেক স্ট্রং অভিনেত্রী। এনজয় করেছি ওর সঙ্গে অভিনয় করে।    

 

আপনার স্ত্রী তো বাঙালি। তার নামটা কিন্তু [সুতপা শিকদার] পুরোপুরি বাংলাদেশির মতো। তিনি কোনো হেল্প করেননি?

সে তো অনেক ধারণা দিয়েছে। আর বাঙালি স্ত্রী আছে বলেই তো বড় কোনো বিপদে পড়িনি। এতদিন একসঙ্গে বসবাস করে তার কিছু বিষয় তো আমার মধ্যেও প্রভাব ফেলেছে।

 

বলিউড ছাপিয়ে হলিউড— অনেক নামি নির্মাতার সঙ্গে অভিনয় করেছেন। মোস্তফা সরয়ার ফারুকী নির্মাতা হিসেবে কেমন?

আমি আগেই বলেছি, তার গল্প বলার ধরন অসাধারণ, তার ফিল্ম দেখে ভালো লেগেছে। নির্মাতা হিসেবে মোস্তফা আমাকে আগেই মুগ্ধ করেছে, শুটিংয়ে এসে মুগ্ধতা আরও বেড়েছে। অভিনেতা হিসেবে আমি তার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি।

 

তাহলে ফারুকীর ফিল্মে আমরা ভবিষ্যতে আপনাকে আবারও দেখতে পাব?

এটা আসলে নির্ভর করছে আমি কী চাই, মোস্তফা কী চায় তার ওপর নয়, এটা নির্ভর করছে গল্প কী চায় তার ওপর।

 

আমরা ‘ডুব’ থেকে বেরিয়ে একটু অন্য প্রসঙ্গে আসি। ১৯৮৭ থেকে ১৯৯৭ পর্যন্ত টিভি সিরিয়াল এবং সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করেছেন আপনি। এটাকে আপনার স্ট্রাগল টাইম বলা যায়। তখন আপনার স্বপ্ন কী ছিল? মানে কতদূর যাওয়ার স্বপ্ন দেখতেন?

আমি সবসময় শুধু অভিনয়ই করে যেতে চেয়েছি, আর কিছু ভাবিনি। এখনো তাই চাই। অভিনয়শিল্পীর কাজ শুধু অভিনয় করে যাওয়া, সময়ই তাকে কোথাও না কোথাও নিয়ে যাবে।

 

টিভি সিরিয়াল থেকে বলিউড, বলিউড থেকে হলিউড— পেছনে ফিরে কি তাকিয়ে দেখেছেন কখনো, কতটা পথ পেরিয়ে এসেছেন, নাকি শুধু ম্যারাথন দৌড়েই মনোযোগী?

আমি কী খুব বুড়ো হয়ে গেছি, নাকি অবসর নিয়ে ফেলেছি! এখনো থেমে যাওয়ার সময় হয়নি যে অতীত মনে করব... হা হা হা...

 

প্রথম হলিউড ফিল্ম ‘এ মাইট হার্ট’ [২০০৭]। এরপর আরও এগিয়েছেন। হলিউড নিয়ে এখন আপনার ভাবনা কী?

কোনো আলাদা ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে আমার আলাদা ভাবনা নেই। আমি মনের আনন্দে সবখানে শুধু কাজ করে যেতে চাই।

 

‘লাইফ অব পাই’ এবং ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড’ কি হলিউডে আপনাকে আরও স্থায়ী করে দিল?

অবস্থানবিষয়ক উত্তর না দিয়ে একটু ভালো লাগার কথা বলি। ফিল্ম দুটো দর্শকের খুব ভালো লেগেছে। আমিও অভিনয় করে আনন্দ পেয়েছি। দর্শকের রেসপন্স পেয়ে আরও বেশি আনন্দ পেয়েছি।

আপনার নেক্সড হলিউড ফিল্ম ‘ইনফারনো’ রিলিজ হবে। এখানে আপনি টম হ্যাংকসের সঙ্গে অভিনয় করেছেন। টম হ্যাংকস এবং আপনি— দুজনই ভালো অভিনয়ের জন্য সমাদৃত। কিন্তু আপনার কাছে টম হ্যাংকস কেমন?

ওহ, সে একজন তুখোড় অভিনেতা। খুব এনজয় করেছি তার সঙ্গে অভিনয় করে। বেশ রসিক মানুষ তিনি, কিন্তু মানুষ তাকে গম্ভীর মনে করে।

 

আপনাকে সবাই অভিনেতা মনে করে, হিরো মনে করে না। আপনি নিজেকে কোন দলে রাখতে চান?

আমি অভিনেতা। এ পরিচয়েই আমি সারাজীবন থেকে যেতে চাই। আসলে একজন প্রকৃত অভিনেতাই গল্পের হিরো।

 

ঐশ্বরিয়া অনেক দিন পর ‘জাজবা’ ফিল্ম দিয়ে ফিরলেন। আপনি সেই ছবির প্রধান অভিনেতা ছিলেন। কিন্তু ছবিটি ঠিক চলল না। না চলার কারণ কী হতে পারে?

দেখুন, ভাগ্য বলতে একটা বিষয় আছে। খুব ভালো ফিল্মও অনেক সময় সবার কাছে গিয়ে পৌঁছে না।

 

আমাদের এখানে আপনার ‘লাঞ্চবক্স’ ছবিটি খুব প্রশংসিত। ‘লাঞ্চবক্স’ নিয়ে আপনার অনুভূতি শুনতে চাই।

আমার প্রিয় ফিল্মগুলোর মধ্যে ‘লাঞ্চবক্স’ অন্যতম। এ ফিল্মটি আমাকে অনেক মানুষের ভালোবাসা দিয়েছে। মানুষ এখনো ‘লাঞ্চবক্স’ দেখছে, দেখে রেসপন্স জানাচ্ছে— এটা বড় পাওয়া।

 

এখনো পর্যন্ত নিজের কাছে আপনার অভিনীত কোন সিনেমার কোন চরিত্রটি বেশি প্রিয়?

সব চরিত্রই আমার প্রিয়। স্ক্রিপ্ট পড়ে চরিত্র প্রিয় হয়ে উঠলেই আমি অভিনয় করি। মোস্তফার জাভেদ হাসান যেমন প্রিয়, লাঞ্চবক্সের সাজনও তেমনি প্রিয়।

 

আপনাকে ভার্সেটাইল এবং ন্যাচারাল অ্যাক্টর বলা হয়। ন্যাচারাল অ্যাক্টিংয়ের রহস্য কী?

কোনো রহস্য নেই। ডিরেক্টরের ইশারায় আমি আমার মতো করে চরিত্রগুলো ফুটিয়ে তুলি শুধু।

 

একটি চরিত্র আপনি কীভাবে গড়ে তোলেন?

আমি গড়ে তুলি না। চরিত্রের মতো আমি হওয়ার চেষ্টা করি।

আলোচনা এ পর্যায়ে এসে থমকে গেল। কারণ খানিকটা দূরেই বসে থাকা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর মোবাইলে কল এলো। ইন্ডিয়ান অ্যাম্বাসেডরের বাসভবনে দাওয়াত খেতে যেতে হবে। ফারুকী, তিশা এবং ইরফানের সঙ্গের মানুষ অপেক্ষা করছেন। অথচ আড্ডা জমতে শুরু করেছে মাত্র। কিন্তু দাওয়াতও তো জরুরি। তাই ইরফান বললেন, ‘চলো আমরা দ্রুত শেষ করি’। তখন ফারুকীই প্রস্তাব করলেন, আমরা যেতে যেতে কথা বলতে পারি।

তাই হলো। হাঁটতে হাঁটতে, লিফটে, হোটেল লবিতে কথা হলো বাকিটা।  

 

বাংলাদেশে কেমন লাগল?

ভালো। রাঙামাটি-সীতাকুণ্ডের প্রকৃতি আমি খুব উপভোগ করেছি। তবে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে সবার আন্তরিকতা। বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে সহজাত প্রবণতা দেখলাম যে, তারা সবসময় অন্যকে সাহায্য করতে চায়। তবে আমি একটা কথা বলতে চাই এখানে— বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে এগোচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাড়ছে। তবে এ সময়ে খেয়াল রাখা জরুরি যে, উন্নয়ন মানুষের কতটা উপকারে আসে কিংবা উন্নয়ন বোঝা হয়ে দাঁড়ায় কিনা।

 

বাংলাদেশের কোনো বিশেষ খাবার কিংবা ভালোলাগার তালিকায় উল্লেখযোগ্য কিছু কি আছে?

হ্যাঁ, হ্যাঁ, বান্দরবানের আনারস খেয়ে আমি খুব মজা পেয়েছি। খুবই সুস্বাদু। আর আগে থেকেই শুনে এসেছিলাম, ঢাকার কাবাব নাকি ভালো। খেয়েছি। ভালো লেগেছে।

কঠিন বিষয়গুলো শেষে, শখ-আহ্লাদবিষয়ক আলোচনা শুরু হওয়ায় ইরফান যেন খুব মজে গেলেন। তাই আরও একটু গভীরে, মানে ইরফানের মনের গভীরে যাওয়ার চেষ্টা—

 

শুটিংয়ে নাকি রেগুলার ক্রিকেট খেলেছেন?

হা হা হা... হ্যাঁ হ্যাঁ। আমরা রেগুলার নিয়ম করে ক্রিকেট খেলেছি।

 

এ আলোচনায় যোগ দিলেন ফারুকীও। তিনি বললেন, ‘আমরা খুব অনেস্ট প্লেয়ার। ক্রিকেটের নিয়ম ঠিকঠাক মেনে খেলেছি’। এ কথা শুনে ইরফান প্রকট শব্দে মনখোলা হাসি দিলেন। হেসে বললেন, ‘ইয়েস, আমরা খুব অনেস্ট। আমাদের দুটো দল ছিল, একটা আমার, আরেকটা মোস্তফার। আমাদের দুই ক্যাপ্টেনের জন্য নিয়ম ছিল, আমরা দুবার করে আউট হতে পারব। এই নিয়মের আবিষ্কারক মোস্তফা’।

এ কথা বলে ইরফান আরও হাসলেন। তাই আরেকটু গভীরে যাওয়ার প্রশ্ন— ক্রিকেট কি খুব প্রিয়?

এই উপমহাদেশে জন্মে ক্রিকেট প্রিয় হবে না!

 

প্রিয় ক্রিকেটার কে কে?

ক্রিকেট প্রিয়। তাই যখন যে ভালো খেলে, সেই প্রিয় ক্রিকেটার হয়ে যায়।

 

ওয়ার্ল্ড কাপে আপনার দেশ ইন্ডিয়ার কাছে বাংলাদেশ ১ রানে হেরেছে। তখন তো আপনি বাংলাদেশেই ছিলেন শুটিংয়ে। বাঙালিদের আবেগ এবং আপনার দেশের সৌভাগ্যবশত জয় নিয়ে আপনার অনুভূতি কী ছিল?

ওই ম্যাচটা বাংলাদেশেরই জয় ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্য অথবা বোকামো বাংলাদেশকে জিততে দেয়নি।

 

এবার একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে আসি। আচ্ছা, আমির খানের নামের আগে ডাবল A আছে। জ্যোতিষী তাকে এটা রাখতে বলেছে। আপনার নামের  বানান IRRFAN-এও ডাবল R। কোনো বিশেষ কারণ আছে কি?

আমার ব্যাপারটা আমির খানের মতো নয়। বরং তুমি আমার মায়ের সঙ্গে কথা বলতে পার, একমাত্র সে-ই বলতে পারবে আসল কারণ। আমি জানি না কারণটা কী।

 

সুতপা একটি কারণ বলেছে উইকিপিডিয়ায়। এক্সট্রা R থাকলে যে এক্সট্রা সাউন্ড হয়, সেটা নাকি আপনার ভালো লাগে।

এটা ঠিক না। কখনো উইকিপিডিয়া-গুগল বিশ্বাস করবে না। এরা আমার জন্মদিনও তিনটা বানিয়ে দিয়েছে। বছরে তিনবার জন্মদিনের শুভেচ্ছা পাই।

 

বলতে বলতে গাড়ির কাছে চলে এলেন ইরফান। এখন বিদায়ের পালা। তিনি উঠে চলে গেলেন। কিন্তু প্রথম থেকে শেষ উত্তর— তিনি বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন, কেন তিনি আলাদা। সত্যিই, মুগ্ধতা ছড়িয়ে গেলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর