১৫ আগস্ট, ২০১৭ ১৭:৪৫

বগুড়ায় বিভিন্ন পয়েন্টে যমুনার পানি বৃদ্ধি, হুমকিতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া:

বগুড়ায় বিভিন্ন পয়েন্টে যমুনার পানি বৃদ্ধি, হুমকিতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ

বগুড়ায় যমুনার পানি ভয়াবহ ভাবে বেড়ে চলায় বিভিন্ন পয়েন্টে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলার অন্তত ১০টি পয়েন্টে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ দিয়ে পানি ভিতরের অংশে প্রবেশ করছে। এতে এসব এলাকার লোকজন ব্যাপক আতঙ্কের মধ্যে পড়েছে। অনেকে বাড়ি ঘর সরিয়ে নিতে শুরু করেছে। 

মঙ্গলবার যমুনার পানি বিপদসীমার ১২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। অপর দিকে, যমুনার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাঙালী নদীর পানিও বাড়ছে। দুই নদীর নিম্নাঞ্চলের এলাকাগুলো এখন প্লাবিত। বন্যার্ত ও বাঁধের ওপরসহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেয়া লোকজনের সংখ্যা বাড়ছে। 

জেলা ত্রাণ অফিসের তথ্য মতে, নতুন করে সৃষ্ট বন্যায় জেলার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের ৮৯টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২৫ হাজার ৯৮২টি পরিবারের লক্ষাধিক মানুষ। এরমধ্যে সারিয়াকান্দিতে ১৮ হাজার ৯৩৭টি, সোনাতলায় ৪ হাজার ৮০৫টি এবং ধুনটে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২ হাজার ২৪০টি পরিবার। 

জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা শাহারুল ইসলাম মোঃ আবু হেনা জানান, বন্যাদুর্গতদের এজন্য এ পর্যন্ত ৭০ মেট্রিক টন চাল, ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার এবং নগদ ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে সারিয়াকান্দিতে ৫০ মেট্রিক টন চাল, ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও নগদ ১ লাখ টাকা, সোনাতলায় নগদ ৫০ হাজার টাকা এবং ধুনটে ২০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। 

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হোসেন আলী জানান, ইতোমধ্যেই তিন উপজেলায় মোট ৭৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এ কারণে সারিয়াকান্দিতে ৫৪টি, সোনাতলায় ১৪টি এবং ধুনটে ৫টি বিদ্যালয়ের পাঠদান কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। 

কৃষি বিভাগের দেওয়া তথ্য মতে, দ্বিতীয় দফা বন্যায় ফসলের ব্যপক ক্ষতির আশঙ্কা আছে। ইতোমধ্যেই এই অঞ্চলের ৪ হাজার ৮৩৫ হেক্টর জমির ফসল পানির নিচে তলে গেছে। উল্লেখযোগ্য ফসলের মধ্যে আউস ৭১৫, আমন বীজতলা ২০, রোপা আমন ৩৯৭২, শাকসবজি ১২৮ হেক্টর। 

এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সারিয়াকান্দি উপজেলার কামালপুর ইউনিয়নের গোদাখালি বাঁধ ভাঙনের উপক্রম হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডেরপক্ষ থেকে বাঁধের ভাঙন ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আমিন জানান, আরও দুই দিন পানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা আছে। নদীতে পানি বাড়লেও বাঁধ এখন পর্যন্ত ঝুঁকিমুক্ত আছে ।

বিডি-প্রতিদিন/১৫ আগস্ট, ২০১৭/ওয়াসিফ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর