১৭ আগস্ট, ২০১৭ ০১:১৫

আওয়ামী লীগ নেতাকে দেখতে হাসপাতালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নাজমুল হুদা, সাভার :

আওয়ামী লীগ নেতাকে দেখতে হাসপাতালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ধামরাইয়ে রেজওয়ান আহম্মেদ নামের এক আওয়ামী লীগ নেতার দুই পা ভেঙে দিয়েছে সাংসদের সমর্থকরা। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে এ অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার রাতে ধামরাইয়ে যাদবপুর ইউনিয়নের আমছিমুড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

বুধবার রাত ৯টার সময় হাসপাতালে দেখতে এসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, একটি চক্র আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করছে। এছাড়া, ঢাকার যেসব স্থানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে, সেসব এলাকার পুলিশ কর্মকর্তাদের বদলি করা হবে বলেও জানান তিনি। 

সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি আরও বলেন, তদন্ত চলছে। অপরাধী যে-ই হোক ধরা হবে। ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ইতোমধ্যে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতার করা অভিযান চলছে। 

আহত আওয়ামী লীগ নেতার পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, যাদবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন রেজওয়ান আহম্মেদ। ধামরাই এলাকার বর্তমান সাংসদ এমএমালেক ও সাবেক এমপি বেনজীর আহম্মেদের সঙ্গে রেজওয়ান আহম্মেদের রাজনৈতিক কোন্দল চলছিল। এরই সূত্র ধরে মঙ্গলবার রাতে রেজওয়ানকে একা পেয়ে তার ওপর হামলা চালায় সাংসদ এমএমালেকের অনুসারীরা। এ সময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজুর ছেলে দিপুসহ কয়েকজন ব্যক্তি রেজওয়ান কেপিটিয়ে ও কুপিয়ে তার দুই পা ভেঙ্গে দেয়।

পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ডহাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ব্যাপারে রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহাঙ্গীর আলম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, রেজওয়ানের দুই পায়ে একাধিক কোপ ও ৩ রাউন্ড গুলিবিদ্ধ, জখম থাকায় ভেঙে দেওয়া পা জোড়া লাগানো অনিশ্চিত। 

ধামরাইয়ের সাবেক সাংসদ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহম্মেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘রাজনৈতিক কোন্দলের কারণে তার সমর্থক ও আওয়ামী লীগ নেতার উপর হামলা চালিয়েছে বর্তমান সাংসদের অনুসারীরা।’ 

ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সাকু বলেন, তার দলের নেতাকে কুপিয়ে হত্যার   চেষ্টা করেছিল এমপি মালেকের লোকজন। তবে স্থানীয়রা জড়ো হয়ে যাওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান তিনি। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য  ধামরাইয়ের বর্তমান সাংসদ এমএমালেক বলেন, দলীয় কোন্দল না ১০ টাকা কেজি সরকারী চাউল চুরি করে পাচার দেখে ফেলায় তাকে কপিয়ে হত্যা চেষ্টা করা হয়েছে।

ঘটনার সাথে জড়িত কহিনুর মেম্বার, হিল্লাহসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

বিডি-প্রতিদিন/১৭ আগস্ট, ২০১৭/ওয়াসিফ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর