১৫ আগস্ট, ২০১৮ ০৯:৫২

খুন আর নিরাপত্তাহীন জনজীবন কি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল?

সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ

খুন আর নিরাপত্তাহীন জনজীবন কি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল?

সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ

পাকিস্থানি শাসক শ্রেণির-বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে সমগ্র জাতিকে গণতন্ত্র ও বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রেরণায় প্রস্তুত করতে পেরেছিলেন বলেই বঙ্গবন্ধু কেবল একজন ব্যক্তি নন, এক মহান আদর্শের নাম।

যে আদর্শে উজ্জীবিত হয়েছিল সমগ্র দেশ। গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা আর বাঙালি জাতীয়তাবাদ, দর্শনে দেশের স্বাধীনতার সংবিধানও প্রণয়ন করেছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

শোষক আর শোষিতে বিভক্ত সেদিনের বিশ্ববাস্তবতায় বঙ্গবন্ধু ছিলেন শোষিতের পক্ষে। যিনি বিশ্বাস করতেন, এই বাংলার মানুষকে কখনো দাবিয়ে রাখা যাবে না।

যদি তাই হয়, তাহলে এ মহান নেতার স্বপ্নের দেশে আজ গণমানুষ কেন ভোট ও ভাতের অধিকার এবং আইনের শাষণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বারবার।নিরাপদ জীবনের দাবি নিয়ে কেনই বা রাস্তায় নামতে  হয়েছে কোমলমতি শিশুদের। আমৃত্যু দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর স্বপ্নদ্রষ্টার প্রিয় বাংলায় গণতন্ত্র ও মুক্ত মত প্রকাশের পথ কেন রুদ্ধ? সন্ত্রাস, গুপ্ত হত্যা,গুম, খুন আর নিরাপত্তাহীন জনজীবন কি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল?

'রাজনীতির মুকুট' জাতির জনককে রাজনৈতিক পণ্য বানিয়ে ব্যক্তি ও গোষ্ঠী সার্থে পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্র বানানোর ষড়যন্ত্র করছে কারা? হে বীর বাঙালি, হে দেশপ্রেমিক জনগণ, জেগে উঠো, তাদের বিরুদ্ধে, যারা আমাদের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করে চলেছে, গণতন্ত্রকে হত্যা করছে । জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতাসহ এদেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা আন্দোলনের সকল শহীদদের আত্মার শান্তির জন্য আজ আমাদের মুক্তিসংগ্রামের চেতনায় জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়াকে সফল করে  সকল দল ও মতের অংশগ্রহণে রাজনৈতিক জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ আর স্বেচ্ছাচারিতার কবর রচনা করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই।

পরিশেষে, ৭৫এর এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডকে মেনে না নিয়ে সেদিন আমরা যারা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে প্রতিশোধ আন্দোলনে অংশগ্রহন করেছিলাম এবং আমাদের যে সকল সহযোদ্ধা রা সেদিন শহীদ হয়েছিলেন এমন কি পরবর্তীকালে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারসহ গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্টা ও এই দেশের স্বার্থে এ পর্যন্ত যারা জীবন দিয়ে গেছেন তাদের আত্মার শান্তি কামনা করছি। আর প্রত্যাশা করি ব্যক্তিগত, রাজনৈতিক, সামাজিক ,  অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিটি বাঙালি যেন আত্মমর্যাদার সাথে সাফল্য ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখে যাওয়ার সুযোগ পায়।

আর এটাই হোক ১৫ই আগস্টের জাতীয় শোক দিবসের অঙ্গীকার ।
জয় বাংলা ... জয় বঙ্গবন্ধু ... জয় হোক বাংলার জনগণের,
জয় হোক জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার।

লেখক: আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ডাকসু ভিপি

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর