দিন কয় পার হলেই বয়স হবে ৪২। এই বয়সে অনেকেই কোচিং করাচ্ছেন। অথচ মিসবাহ উল হক এখনো খেলে যাচ্ছেন ক্রিকেট এবং খেলছেন দাপটের সঙ্গে। পারফরম্যান্সও বলছে ফর্মের তুঙ্গেই রয়েছেন পাকিস্তানের টেস্ট অধিনায়ক। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চলতি টেস্ট সিরিজের চার ইনিংসে তার ৩, ৫১, ১০২ ও ৮৭। এমন পারফরম্যান্স যার, তার ক্রিকেট খেলাই মানায়। বয়সের কথা বিবেচনা করলে মিসবাহর উচিত ব্যাট, প্যাড, গ্লাভস তুলে রাখা। সেটাই করতে চাচ্ছেন মিসবাহ। আজ শারজাহতে টেস্ট শেষে বিদায় জানাতে চাইছেন ক্রিকেটকে। কিন্তু পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) সেটা চাচ্ছে না। পিসিবি চাচ্ছে আগামী এক বছরের মধ্যে যেন অবসরের কথা না ভাবেন মিসবাহ। পিসিবি সভাপতি শাহরিয়ার খান স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন, মিসবাহ যেন আগামী এক বছর দলের সিনিয়র ক্রিকেটার এবং অধিনায়ক হিসেবে পাকিস্তানকে সার্ভিস দেন।
১৯৯৫ সালে সর্বশেষ ৪২ বছর বয়সে টেস্ট খেলেছিলেন ইংল্যান্ডের অফ স্পিনার জন এমবুরি। এরপর গত ২০ বছরে আর কোনো ক্রিকেটার ৪০ ঊর্ধ্ব বয়সে খেলতে নামেননি। মিসবাহই প্রথম। টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে চল্লিশোর্ধ্ব বয়সে ক্যারিয়ারে হাজারের উপর রান করেছেন এমন ক্রিকেটারের সংখ্যা হাতে গোনা চারজন। এদের একজন মিসবাহ। মিসবাহ ৬০ টেস্ট ক্যারিয়ারে রান করেছেন ৪২৪৩।
আগামী ডিসেম্বরে শারজাহতে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শেষে অবসরে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল মিসবাহ। ভারত যেহেতু খেলছে না, তাই ইংল্যান্ডের চলতি সিরিজ শেষেই অবসরে যাওয়ার কথা জানান মিসবাহ। কিন্তু পিসিবি চেয়ারম্যান শাহরিয়ার চাচ্ছেন ২০১৬-১৭ মৌসুম শেষে অবসরে যাক মিসবাহ, ‘আমরা মিসবাহকে অবসরের সিদ্ধান্ত এক বছরের জন্য পেছাতে বলেছি। আমরা মনে করি, অধিনায়ক ও সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে তার উপস্থিতি আগামী বছর ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া সফরে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ ২০১৬ সালে ইংল্যান্ড সফরে চারটি টেস্ট খেলবে পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়া সফরে খেলবে তিনটি টেস্ট। পাকিস্তানের টেস্ট অধিনায়ক মিসবাহও স্বীকার করেছেন পিসিবি চেয়ারম্যানের অনুরোধের কথা।