বুধবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

খুলনা বিভাগ চ্যাম্পিয়ন

ক্রীড়া প্রতিবেদক

খুলনা বিভাগ চ্যাম্পিয়ন

চ্যাম্পিয়ন খুলনা বিভাগের ক্রিকেটারদের উচ্ছ্বাস -বাংলাদেশ প্রতিদিন

জাতীয় লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে খুলনা বিভাগ। টায়ার-১’র শেষ ম্যাচে গতকাল উভয়পক্ষের সম্মতিতে ম্যাচ ড্র ঘোষণা করেছেন ম্যাচ রেফারি। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম দুইদিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর তৃতীয় দিনের খেলা শুরু হয়েছিল নির্ধারিত সময়েই। তৃতীয় দিন শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩২৪ রান নিয়ে মাঠ ছাড়ে রংপুর বিভাগ। গতকাল হাতে তিন উইকেট নিয়ে খেলতে নেমে আরও ২০ রান যোগ করে তারা। নিজেদের প্রথম ইনিংস খেলতে নেমে খুলনা বিভাগও ব্যাটিংটা ভালোই চালিয়ে যায়। ৭ উইকেটে ২৮৬ রান করার পর উভয়পক্ষের সম্মতিতে ম্যাচ ড্র ঘোষণা করা হয় দিনের খেলা বাকি থাকতেই। তবে এই ড্রয়ের পরও চ্যাম্পিয়নের খেতাব পেয়েছে খুলনা। টায়ার-১ এ তারা ৬ ম্যাচ খেলে ৫০ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে। গতকালের ড্র থেকে তারা পেয়েছে ৭ পয়েন্ট। ৬ ম্যাচে ৪৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করে ঢাকা মেট্রোপলিশ রানার্সআপ হয়েছে। ঢাকা বিভাগ সংগ্রহ করেছে ৪৩ পয়েন্ট। তারা ঢাকা মেট্রোপলিশের সঙ্গে টায়ার-১’র শেষ ম্যাচে ড্র করেছে।

 

রংপুর বিভাগের পক্ষে ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছিলেন তানভীর হায়দার। তিনি ১০৫ রানের এক ঝলমলে ইনিংস খেলেন। অধিনায়ক ধীমান ঘোষ (৬৯) ও সোহরাওয়ার্দী শুভর (৬৬) দৃঢ়তাপূর্ণ ব্যাটিংয়ে প্রথম ইনিংসে মোটামুটি বড় সংগ্রহই করেছিল রংপুর। অবশ্য এই ফাঁকে বল হাতে খুলনার পক্ষে আব্দুর রাজ্জাক ৫টি ও মুরাদ খান ৪টি উইকেট শিকার করে নেন। ব্যাট হাতে খুলনার হয়ে জবাব দেন ইমরুল কায়েস। তিনি ১০৭ রানের এক চমৎকার ইনিংস খেলেন। এছাড়াও খুলনার পক্ষে জিয়াউর রহমান ৬২, আবু বকর ৩২, এনামুল হক ২৭ ও মেহেদী হাসান ২১ রান করেন। ব্যাট হাতে সেঞ্চুরির পর রংপুরের তানভীর বল হাতেও শিকার করেন ২টি উইকেট। তার এই অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের জন্যই তাকে ম্যাচ সেরা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

বগুড়া শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত টায়ার-২ ম্যাচে চট্টগ্রাম বিভাগের সঙ্গে বরিশাল ড্র করলে ৬ ম্যাচে ৬২ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়।

এদিকে কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকা মেট্রোপলিশ-ঢাকা বিভাগের ম্যাচ প্রথম তিনদিনই বৃষ্টিতে ভেসে যায়। চতুর্থ দিন খেলা মাঠে গড়ালে কেবল ঢাকা মেট্রোপলিশ প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৮৬ রান সংগ্রহ করে। দলের পক্ষে ১০৫ রান করেন শামসুর রহমান। এছাড়াও মেহেদী মারুফ ৯৯ ও মেহরাব হোসেন জুনিয়র ৫২ রান করেন। এই ম্যাচও নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই শেষ হয়ে যায়। ঢাকা বিভাগ ব্যাটিংয়ে নামার সুযোগই পায়নি।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর