শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

বছরজুড়ে মাঠে ফুটবলাররা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বছরজুড়ে মাঠে ফুটবলাররা

প্রায় সারা বছরই ক্রিকেটাররা মাঠে থাকেন। বাংলাদেশের ফুটবলারদের আক্ষেপ ছিল তারা পেশাদার লিগ আর ফেডারেশন কাপ খেলেই বসে থাকেন। এর জন্য মানেরও কোনো উন্নয়ন ঘটছে না। এই আক্ষেপটা বোধ হয় তাদের দূর হতে চলেছে। ফুটবলাররা এখন বছর জুড়েই নানা খেলায় ব্যস্ত রয়েছেন। চলতি মৌসুমে স্বাধীনতা ও সুপার কাপ আয়োজন করতে পারেনি বাফুফে। তারপরও ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে ফুটবলাররা খেলেই চলেছেন। এ বছর জানুয়ারি মাসে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক গোল্ড কাপ মাঠে গড়ায়। ২০০০ সালের পর বাফুফে কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের আয়োজন করল। সেই যে বঙ্গবন্ধু কাপ থেকে শুরু এরপর আর ফুটবলাররা থেমে থাকছে না। ফেডারেশন কাপ, পেশাদার লিগ, প্রীতিম্যাচ, বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব খেলেই চলেছে। ১৭ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হোম ম্যাচ খেলবেন মামুনুলরা। মার্চে আম্মানে জর্ডানের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলে বিশ্বকাপ মিশন শেষ করবে বাংলাদেশ।

যাক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলে ফুটবলাররা কিন্তু বসে থাকবেন না। ডিসেম্বরেই ভারতের কেরালায় বসবে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের আসর। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের ঘোষণা অনুযায়ী জানুয়ারিতে বসবে চতুর্থ বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপ। ফেব্রুয়ারিতে আবার এসএ গেমস। ক্লাবগুলো আবার দেশের বাইরে আমন্ত্রণমূলক টুর্নামেন্ট খেলতে পারে। এছাড়া ফেডারেশন কাপ ও পেশাদার লিগতো আছেই। বাফুফে যদি তাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে পারে। তাহলে সামনের বছরই এক সময় জনপ্রিয় আসর শেরেবাংলা কাপ ও সোহরাওয়ার্দী কাপ শুরু হওয়ার কথা। আর স্বাধীনতা কাপ ও সুপার কাপ মাঠে নামলেতো কথায় নেই। এখনকার ফুটবলাররা যেভাবে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তা অতীতে কোনো সময় দেখা যায়নি।

অনেকে বলেন, যত বেশি খেলবে তত বেশি ফুটবলাররা ভুল শুধরিয়ে নিজেদের তুলে ধরতে পারবেন। কোনো টুর্নামেন্টে ব্যর্থ হলেই ফুটবলাররা বলতেন, হুট করে খেলতে গেলে এমন দশা হবেই। এখন  কিন্তু সে অজুহাত দাঁড় করাতে পারবে না। বাফুফে জাতীয় দলের প্রশিক্ষণের ব্যাপারে বড্ড সিরিয়াস। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক কায়সার হামিদ বলেছেন, এখন যেভাবে চলছে তা ঠিক রাখতে পারলে ফুটবলে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। তিনি বলেন, যা স্বপ্নে ভাবা যায়নি তা এবার চট্টগ্রাম আবাহনী করে দেখিয়েছে। শেখ কামাল আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছে। প্রতিবারই তারা নাকি শেখ কামাল ক্লাব কাপের আয়োজন করবে। এটা ফুটবলের জন্য সুসংবাদ। কায়সার বলেন, আমরা বছরে বড়জোর চারমাস মাঠে থাকতাম। এখনতো সারা বছরই বলা যায়। জানি না এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখা যাবে কিনা। যদি রাখা যায়, আমি বলবো বাংলাদেশের ফুটবল এগিয়ে যাবে। চট্টগ্রাম আবাহনী আন্তর্জাতিক আসর করেছে। অন্য ক্লাব যদি ঘরোয়াভাবে টুর্নামেন্টের উদ্যোগ নেয় ফুটবল ও ফুটবলাররা আরও উপকৃত হবে। শুধু খেললেই চলবে না, ফুটবলের সমস্যাগুলো বাফুফেকে ভালোভাবে চিহ্নিত করতে হবে। এক্ষেত্রে ক্লাবগুলোর অনেক দায়িত্ব।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর