শনিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

তবু আক্ষেপ ওয়ালারের

ক্রীড়া প্রতিবেদক

তবু আক্ষেপ ওয়ালারের

পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো ক্রিকেট পরাশক্তিগুলোকে হারিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেট গ্রাফ এখন উপরের দিকে। দর্শকের চাহিদাও অনেক। প্রিয় দলের খেলা দেখতে স্টেডিয়ামে হুমড়ি খেয়ে পড়েন দর্শকরা। তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে কোনো কারণ ছাড়াই মুখ ঘুরিয়ে নেন দর্শকরা। ৩০০ টাকার টিকিট ১০০ টাকায়ও বিক্রয় হয়নি। কিন্তু কাল চমকে ওঠার মতো দর্শক উপস্থিত ছিলেন মাঠে। ফাঁকা ছিল না গ্যালারির কোথাও। দুই ম্যাচ টি-২০ সিরিজের প্রথমটি দেখতে দর্শকে টইটম্বুর ছিল মিরপুর স্টেডিয়াম। সমর্থকরাও উপভোগ করেছেন মাশরাফি, মুস্তাফিজদের বোলিং। সঙ্গে উপভোগ করেছেন ম্যালকম ওয়ালারের ঝড়ো গতির ব্যাটিং।

মাশরাফিরা ওয়ানডে সিরিজ জিতেছেন হেসে খেলে। তিন ম্যাচের কোনোটিতেই লড়াই করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। আফ্রিকান প্রতিনিধিদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাল ছোট্ট পরিসরের ম্যাচটি খেলতে নামেন মাশরাফিরা। আত্মবিশ্বাসে ফুটতে থাকা মাশরাফিরা কাল দুর্দান্ত বল করে প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়েকে বেঁধে ফেলেন মাত্র ১৩১ রানে। তাও উঠত না, যদি ওয়ালার ৩১ বলে ঝড়ো গতিতে ৬৮ রান না করতেন। টর্নেডো ইনিংসের আবার ৫০ রান এসেছে মাত্র ২০ বলে। যা বাংলাদেশের বিপক্ষে যে কোনো ব্যাটসম্যানের টি-২০তে সবচেয়ে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি। ওয়ালার ঝড় শুরু করেন দশম ওভারে। ম্যাচসেরা পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। তবু আক্ষেপে পুড়েছেন ওয়ালার। কারণ তার দল সুবিধাজনক অবস্থানে থেকেও হেরেছে। অভিষিক্ত জুবায়ের হোসেনের ওভার দিয়ে শুরু হয় ঝড়। থামেন ১৮ নম্বর ওভারের শেষ বলে। মুস্তাফিজের কাটারে সাজঘরে ফিরেন ওয়ালার। আউট হওয়ার আগে তিনি ছয়টি ছক্কা হাঁকান জুবায়ের, নাসির, মাহমুদুল্লাহ ও মাশরাফিকে। দুটি করে জুবায়ের ও নাসিরকে। ওয়ালারের ব্যাটিংটাই ছিল কালকের ম্যাচের চিত্তাকর্ষক। টি-২০ বিশ্বকাপে ২০ বলে হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে বাংলাদেশের মোহাম্মদ আশরাফুলের, যুবরাজ সিং, কিয়েরন পোলার্ড, ক্রিস গেইল ও শেন ওয়াটসনের। আশরাফুলের ২০ বলে হাফ সেঞ্চুরির প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে দ্রুতগতির হাফ সেঞ্চুরি ভারতের যুবরাজ সিংয়ের। ২০০৭ সালের প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপে ডারবানে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গড়েছিলেন রেকর্ডটি। ওই ম্যাচে এক ওভারে ছয় ছক্কা মেরেছিলেন ক্রিস ব্রডকে।

ওয়ালারের রেকর্ডের দিনে নিজের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেন ‘বিস্ময় বালক’ মুস্তাফিজ। চার ম্যাচ ক্যারিয়ারে কাল উইকেট নেন ২টি। কাটার মাস্টারের স্পেল ছিল ৩.৩-০-১৬-২। আগের সেরা বোলিং পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০/২। মুস্তাফিজের বোলিংয়েই কাল ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ায় টাইগাররা। ওয়ালার যখন ভয়ঙ্কর রূপে ব্যাট করছিলেন, তখনই মুস্তাফিজের বলে সাজঘরে ফেরেন ওয়ালার। তবে ম্যাচের শুরুতে আঘাত হানেন অধিনায়ক মাশরাফি। প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে সাজঘরে ফেরান সিকান্দার রাজাকে। এরপর ৩৮ রানে প্রথম সারির চার ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফিরিয়ে চেপে বসেন মাশরাফিরা। সেখান থেকে যদিও দলকে টেনে নিয়ে যান ওয়ালার, কিন্তু শেষ বেলায় আল-আমিন, জুবায়েরদের ঘুরে দাঁড়ানোয় ম্যাচের নিয়ন্ত্রণটা নিজেদের দিকে টেনে নেন মাশরাফিরা। মাশরাফি, আল-আমিন, মুস্তাফিজ, জুবায়ের ২টি করে উইকেট নেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর