রবিবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

নিষিদ্ধ হচ্ছেন ব্ল্যাটার-প্লাতিনি

ক্রীড়া ডেস্ক

ফিফা সভাপতি সেপ ব্ল্যাটার ও উয়েফা সভাপতি মিশেল প্লাতিনিকে নব্বই দিনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ফিফা। এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিবাদও জানিয়েছিলেন ব্ল্যাটার ও প্লাতিনি। তবে ফিফার আপিল কমিটি ব্ল্যাটার-প্লাতিনির আপিল আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। দুইদিন আগের এই খবরটা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে গতকাল। ফিফার এথিকস কমিটি ব্ল্যাটার ও প্লাতিনির বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে হ্যান্স-জোয়াকিম ইকার্টের আদালতে। ফিফা এক বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল জানিয়েছে, ‘স্বাধীন এথিকস কমিটি তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে।’ এই প্রতিবেদনে ব্ল্যাটার-প্লাতিনিকে শাস্তি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। রবার্ট তোরেস সেপ ব্ল্যাটারের প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। অন্যদিকে প্লাতিনির প্রতিবেদন দাখিল করেছেন ভেনেসা অ্যালার্ড। ফিফা সভাপতি সেপ ব্ল্যাটারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি প্লাতিনিকে ১৩ লাখ পাউন্ড দিয়েছিলেন অন্যায়ভাবে। এই অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে কি না এ ব্যাপারে ফিফার পক্ষ থেকে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি। তবে বেশ কয়েক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারেন ব্ল্যাটার ও প্লাতিনি। ফিফার উপর দুর্নীতির যেসব অভিযোগ উত্থাপিত হয়ে আসছে এতদিন ধরে, সেপ ব্ল্যাটারের পতন সম্ভবত এর সমাপ্তি ঘটাতে যাচ্ছে। আগামী ফেব্রুয়ারিতেই ফিফা সভাপতি নির্বাচন। প্লাতিনি নিষিদ্ধ হলে তিনি আর নির্বাচন করতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে ব্ল্যাটারের প্রভাবমুক্ত নতুন কেউ সম্ভবত সভাপতি পদ অলঙ্কৃত করতে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে প্লাতিনিসহ সাতজনকে ফিফা সভাপতি পদে নির্বাচনের যোগ্য বলে ঘোষণা করেছিলো ফিফা। প্লাতিনি ছাড়াও এই তালিকায় আছেন প্রিন্স আলি, সালমান বিন খলিফা, মুসা হাসান বিলিতি, জেরো চ্যাম্পেঞ্জ, জিয়ানি ইনফ্যান্টিনো এবং টোকিও স্যাক্সওয়েল। প্লাতিনি নির্বাচনে অযোগ্য হলে বাকিদের মধ্যে এগিয়ে থাকবেন সম্ভবত জর্ডানের প্রিন্স আলিই। তবে নতুন কোনো মুখ ফিফা সভাপতির পদ অলঙ্কৃত করলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না!

ফেব্রুয়ারি মাসে ফিফার নতুন সভাপতি যিনিই হোক না কেন এ সংস্থায় শান্তি ফিরে আসবে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। কারণ প্লাতিনি ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন তাকে কোনোভাবে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করলে  আইনী আশ্রয় নেবেন।

সর্বশেষ খবর