বুধবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

জটিলতা কাটাতে বাফুফের সভা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

জটিলতা কাটাতে বাফুফের সভা

টনক নড়েছে বাফুফের। ২৬ ডিসেম্বর পেশাদার লিগের দলবদল শুরু করা যাবে কিনা তা নিয়ে ফেডারেশন সংশয়ে পড়ে গেছে। শনিবার শেখ জামাল ধানমন্ডি, শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র, ঢাকা মোহামেডান, ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও টিম বিজেএমসির কর্মকর্তারা এক বৈঠকে বসেন। কাদের সভা শেষে সাংবাদিকদের জানান, ক্লাবগুলোর বকেয়া অর্থ ও লিগ কমিটি ভেঙে না দিলে তারা দলবদলে অংশ নেবে না। এমন বক্তব্যে গত দুদিন বাফুফের কারও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে ফেডারেশন যে শঙ্কিত তা বোঝা যাচ্ছিল। কারণ পেশাদার লিগে শেখ জামাল চ্যাম্পিয়ন ও শেখ রাসেল রানার্স আপ সে সঙ্গে আরও তিনদল যদি দলবদলে অংশ না নেয় তাহলে ঘরোয়া ফুটবলে অনিশ্চয়তা নেমে আসবে। সোমবারই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বাফুফের সভা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে তা বাতিল করা হয়। গতকাল দুপুরে নির্বাহী কমিটির সদস্যরা বৈঠকে বসেন। বাফুফে নয়, মিটিং হয় ফেডারেশন সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের অফিসে। অধিকাংশ সদস্যই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, ফেডারেশন চায় না ফুটবলে অনিশ্চয়তা নেমে আসুক। ষড়যন্ত্র করে কেউ হকির মতো অচলাবস্থার সৃষ্টি করুক তা বাফুফে মেনে নেবে না।  ক্লাবগুলোর সম্মতিতে দলবদলের তারিখ ঘোষণা হয়েছে। তাই বাফুফের টার্গেট নির্ধারিত সময়ে দলবদল শুরু করা। কিন্তু এ নিয়ে আপত্তি যখন এসেছে তখন ভাববার প্রয়োজন রয়েছে। দলবদল না হলে এর প্রভাব পড়বে ফুটবলারদের ওপর। সামনে সাফ, বঙ্গবন্ধু কাপ ও এসএ গেমস। তিনটির গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট। দলবদল না হলে ফুটবলাররা মানসিক চাপে থাকবে। জটিলতা যাতে সৃষ্টি না হয় সেভাবে বাফুফেকে এগুতে হবে। তাই পেশাদার লিগের সব ক্লাবকে নিয়ে শিগগিরই বাফুফের সভাপতি আলোচনায় বসতে পারেন। তবে এ বৈঠক হবে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পর্যায়ে। এখানে দলবদল পেছানোর সিদ্ধান্ত আসলে সেটাই বাস্তবায়িত হবে। গতকাল বাফুফের এ সভা নিয়ে ফেডারেশন থেকে অফিসিয়ালি কিছু জানায়নি। বিষয়টি তারা গোপন রাখতে চেয়েছিল। কিন্তু দুপুর থেকেই এ সভার কথা জানা যায়। এ ব্যাপারে মনজুর কাদের বলেন, বাফুফের সভা সম্পর্কে আমি কিছু বলতে পারব না।  এটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। আমাদের কথা একটাই বকেয়া অর্থ মেটানো ও লিগ কমিটি পরিবর্তন ছাড়া দলবদলে অংশ নেব না।

সর্বশেষ খবর