মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

উৎসবে ভাসছে কলসিন্দুর

সৈয়দ নোমান, ময়মনসিংহ

উৎসবে ভাসছে কলসিন্দুর

চলতি বছরের এপ্রিল মাসে দফায় দফায় ভূমিকম্প হয় নেপালে। সে সময় মৃত্যু উপত্যকা থেকে জীবন হাতের মুঠোয় নিয়ে ফিরে এসেছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৪ দলের প্রমিলা ফুটবলাররা। মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসা এই মেয়েরা ৮ মাস পর এবার ঠিকই জয় করেছে নেপাল। রবিবার নেপালের লাগানখেলের আর্মি ফিজিক্যাল গ্রাউন্ডে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটিতে স্বাগতিককে ১-০  গোলে হারিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করে বাংলাদেশের এ মেয়েরা। ম্যাচের ১৬ মিনিটের মাথায় বাঁ প্রান্ত থেকে কলসিন্দুরের মেয়ে মারিয়াই এ ইতিহাসের রচয়িতা। এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায়  জয়ী হওয়ায় এসব ফুটবলারদের গর্ব করে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে ভাসছে গোটা ময়মনসিংহ। আনন্দের বন্যা বইছে স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যেও। কারণ, এ ফুটবলারদের কল্যাণেই দূর থেকে পাহাড়ি সৌন্দর্যের অবারিত হাতছানি দেওয়া কলসিন্দুর এখন বিশ্ব ফুটবলের মানচিত্রে হয়ে উঠেছে অনন্য একটি নাম।

২০১১ সালের মাঝামাঝি স্থানীয় কলসিন্দুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে অধ্যয়নের সময়ে ফুটবলের সংস্পর্শে আসেন তারা। কলসিন্দুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মিনতি রাণী শীলের ব্যক্তিগত উত্সাহ আর নিবিড় পর্যবেক্ষণে ফুটবলে তাদের হাতেখড়ি হয়। পরবর্তীতে নিজেদের প্রতিভা, সাহস আর ইচ্ছাশক্তির মিশেলে সময়ের ঘূর্ণায়মান স্রোতে পাল তুলে তারা একেকজন হয়ে উঠেন ফুটবলকন্যা। ক্রমশ দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও ছড়িয়েছে তাদের নাম-যশ-খ্যাতি।

স্থানীয়রা জানায়, এ বছর নেপালে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ মধ্য এশিয়া অঞ্চলের এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ চ্যাম্পিয়ানশিপে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) বাছাইকৃত  দেশের ১৮ জন খেলোয়াড়ের মধ্যে ময়মনসিংহের ধোবাউড়ার কলসিন্দুর গ্রামেরই ১০ জন ঠাঁই করে নেয়। কৃতী এ কিশোরী ফুটবলাররা হচ্ছেন-মার্জিয়া, সানজিদা, শিউলি, মারিয়া মান্দা, তহুরা খাতুন, নাজমা খাতুন, রূপা, তাসলিমা, শামসুন্নাহার ও মাহমুদা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর