রান ৫০, বল ৬! স্কোরবোর্ডে বড় করে লেখা ছিল। ততক্ষণে গ্যালারি ফাঁকা হয়ে গেছে। নিশ্চিত হার জেনে দর্শকরা আগেই বাড়ির পথে রওনা দিয়েছেন। তবে অন্ধভক্ত গুটিকয়েক টাইগার সমর্থক তখনো গ্যালারিতে বসেছিলেন। হতাশার দৃষ্টিতে বার বার স্কোরবোর্ডের দিকে তাকাচ্ছিলেন। শেষ ওভারে বাংলাদেশ চার রানের বেশি করতে পারেনি। তাই হেরে যায় ৪৫ রানের বড় ব্যবধানে।
বিষয়টা এমন নয় যে বাংলাদেশ শেষ ওভারেই হেরে গেছে। আসলে গতকাল বাংলাদেশ হেরে গিয়েছিল প্রথম ইনিংসের ১১তম ওভারেই। সাকিব আল হাসান পয়েন্টে রোহিত শর্মার একটি সহজ ক্যাচ মিস করেন। আর এই ক্যাচ মিসই বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছে। প্রথম ১০ ওভারে যেখানে তিন উইকেট হারিয়ে ভারত করেছিল ৫২ রান সেখানে ২০ ওভার শেষে তাদের স্কোর গিয়ে দাঁড়ায় ১৬৬। নতুন জীবন পাওয়া রোহিত শর্মাই কাল ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছেন। সাকিব যখন ক্যাচ মিস করেন তখন রোহিতের রান ছিল ২৭ বলে ২১। অথচ পরের ২৯ বলে ভারতীয় ওপেনার করেছেন ৬২ রান। রোহিতের ৮৩ রানের ইনিংসে ৭টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছিল ৩টি ছক্কার মার।
অথচ শুরুটা ছিল স্বপ্নের মতো। পাওয়ার প্লেতে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের গতি রোধ করে দিয়েছিলেন পেসাররা। প্রথম ছয় ওভারে মাত্র ৩১ রানেই ভারতের দুই উইকেট তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওভারে শেখর ধাওয়ানকে ফিরিয়ে দেন আল আমিন, আর পঞ্চম ওভারে বিরাট কোহলির উইকেট তুলে নেন মাশরাফি। দুই ব্যাটসম্যানের কেউ-ই দুই অঙ্কের কোটায় পৌঁছাতে পারেননি। ভারতের আরেক ব্যাটসম্যান সুরেশ রায়নাকে ‘অপয়া-১৩’র ফাঁদে আটকে দেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। মাত্র ৪২ রানেই তিন উইকেট হারায় ভারত। এরপরই পাল্টে যায় চিত্রনাট্য। ব্যাটিং বাংলাদেশের দুর্বলতা ছিল চোখে পড়ার মতো। তামিমের জায়গায় ব্যাট করতে নেমে ব্যর্থ হয়েছেন মিথুন। অন্য ব্যাটসম্যানরাও দিয়েছেন দায়িত্বহীনতার পরিচয়। এক সাব্বির রহমানের ৩২ বলে ৪৪ রানের ইনিংস ছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যানের ইনিংসই টি-২০-এর সঙ্গে মানানসই ছিল না। ফলে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১২১ রানের বেশী করতে পারেননি মাশরাফিরা।
ভারত ইনিংস: ১৬৬/৬, ২০ ওভার (রোহিত শর্মা ৮৩, পাণ্ডে ৩১, আল-আমিন ৩/৩৭, মাহমুদুল্লাহ ১/৯)।
বাংলাদেশ ইনিংস: ১২১/৭, ২০ ওভার (সাব্বির ৪৪, মুশফিক ১৬* আশিষ ৩/২৩)
ফল : ভারত ৪৫ রানে জয়ী