বুধবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা

সেমিফাইনালে শেখ জামাল

ক্রীড়া ডেস্ক

সেমিফাইনালে শেখ জামাল

গোলের পর উল্লসিত শেখ জামালের ফুটবলাররা —বাংলাদেশ প্রতিদিন

নিজে দাঁড়াচ্ছেন না। তার পরও বাফুফের নির্বাচনকে ঘিরে প্রচণ্ড ব্যস্ত মনজুর কাদের। এই সময়ে ঠিকমতো ক্লাবের খোঁজখবর নিতে পারছেন কি? যাক তার পরও শেখ জামাল ধানমন্ডি কেএফসি স্বাধীনতা কাপ ফুটবলে জিতেই চলেছে। গতকাল ‘এ’ গ্রুপে টানা চতুর্থ জয়ে টুর্নামেন্টে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে। ৩-১ গোলে হারিয়ে দেয় তারা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রকে। এ জয়ে পুরো ১২ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে শীর্ষে রয়েছে তারা। শেষ ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনীর কাছে হারলেও গোলপার্থক্যে শেখ জামালেরই গ্রুপ চ্যাম্পিয়নের সম্ভাবনা বেশি। এ হারে মুক্তিযোদ্ধা ও চট্টগ্রাম আবাহনীর অ্যাকাউন্টে জমা হলো ৯ পয়েন্ট। গোলপার্থক্যে দ্বিতীয় স্থানে আছে আবাহনী। সে ক্ষেত্রে শেষ ম্যাচে শেখ জামালের সঙ্গে ড্র করলেই চট্টগ্রাম আবাহনী সেমিতে চলে যাবে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম আবাহনী হারলেও ঢাকা মোহামেডান যদি গ্রুপের শেষ ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে হারাতে পারে তাহলে চট্টগ্রাম আবাহনী, মুক্তিযোদ্ধা ও মোহামেডানের গোল যার বেশি থাকবে সেই শেষ চারে জায়গা করে নেবে। আসা যাক ম্যাচে। দুর্বল উত্তর বারিধারার বিপক্ষে কষ্টের জয় পেলেও কাল গতিময় খেলা খেলে প্রথমার্ধেই ৩ গোলে এগিয়ে যায় শেখ জামাল। ১২ মিনিটেই দলকে এগিয়ে দেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এমেকা ডালিংটন। ওয়েডসনের কাছ থেকে বল পেয়ে গোল করেন এমেকা। পুরো ম্যাচেই আধিপত্য ছিল জামালের। ৪৩ মিনিটে ওয়েডসন ডান প্রান্ত থেকে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়ে কয়েকজনকে কাটিয়ে দুর্দান্ত শট নেন। কিন্তু গোলরক্ষক মামুনের দৃঢ়তায় গোল করা সম্ভব হয়নি। ১ মিনিট পরই এনামুল থেকে ওয়েডসন, ওয়েডসন থেকে এমেকা— এরপর ল্যান্ডিংয়ে পায়ে বল এলে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে জোরালো শটে গোল করেন ওয়েডসন।

প্রথমার্ধে জয় নিশ্চিত হওয়ার পর শেখ জামাল কিছুটা রিলাক্স মুডে খেলতে থাকে। এ সুযোগে আক্রমণে যায় মুক্তিযোদ্ধা। ৩ মিনিটে ব্যবধান কমানোর সুযোগ পায়। কিন্তু গোল আর হয়নি। ৪৮ মিনিটে তৌহিদুল আলমকে বক্সের মধ্যে ফাউল করে জামালের সুইট। রেফারি জসিম উদ্দিন পেনাল্টির নির্দেশ দেন। পেনাল্টি থেকে ব্যবধান কমান মিডফিল্ডার মোবারক হোসেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর