শনিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা

সালাউদ্দিন প্যানেলের নির্বাচনী ইশতেহার

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সালাউদ্দিন প্যানেলের নির্বাচনী ইশতেহার

৩০ এপ্রিল নির্বাচন

আগামী ৩০ এপ্রিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৫ দফা নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছে কাজী সালাউদ্দিন প্যানেল। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই ইশতেহার ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনী ইশতেহারে ফুটবলকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে জেলা ফুটবলকে শক্তিশালী করার অঙ্গীকারও করা হয়েছে। তা ছাড়া ক্লাব কাপ পুনরায় শুরু করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে। নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণার সময় সালাউদ্দিন প্যানেলের সবাই উপস্থিত থাকলেও কাজী সালাউদ্দিন উপস্থিত থাকতে পারেননি। সালাউদ্দিন প্যানেলের নির্বাচনী ইশতেহারের উল্লেখযোগ্য দফাগুলোতে আছে— জাতীয় ফুটবল দলের সাফল্যের প্রয়োজনে দেশের সব ক্লাবকে আর্থিক ও কোচ দিয়ে অনূর্ধ্ব-১৪, ১৬, ১৮ দল গঠন করতে সহায়তা করাসহ নিয়মিত টুর্নামেন্টের আয়োজন। জাতীয় দলের পাইপলাইনে পর্যাপ্ত খেলোয়াড় তৈরি করার জন্য সিলেটের বাফুফে ফুটবল একাডেমিকে বাফুফের সঙ্গে প্রাইভেট ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি আন্তর্জাতিক মানের ফুটবল একাডেমি গড়ে তোলা হবে। যার কার্যক্রম শুরু হবে এ বছরের জুন-জুলাইয়ে। বাফুফে ভবনে আন্তর্জাতিক মানের ফিটনেস সেন্টার গড়ে তোলা হবে, যা জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। প্রতিটি বিভাগে পর্যায়ক্রমে একটি করে ফুটবল টার্ফ মাঠ ফিফার সহায়তায় স্থাপন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ফুটবলকে বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশের সব জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে শক্তিশালী করার জন্য প্রয়োজন মতো আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে। যাতে ডিএফএগুলো প্রয়োজন মতো খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ ও নিয়মিত লিগ পরিচালনা করতে পারে। এ ছাড়াও বাংলাদেশ সুপার লিগ (বিএসএল)-এর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা মোতাবেক সব ডিএফএকে প্রতি বছর ২ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে, যা দিয়ে প্রতিটি ডিএফএকে পর্যায়ক্রমে ফুটবল কোচিং সেন্টার গড়ে তোলার সহায়তা করা হবে। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় খেলোয়াড় তৈরির লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে সব বিভাগীয় শহরসহ সব জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সরকারি এবং বেসরকারি উদ্যোগে ফুটবল একাডেমি গড়ে তোলা হবে। যার ফলে দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রকৃত দক্ষ ফুটবলার তৈরি করা হবে। যা বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। এসব ফুটবল একাডেমিগুলো পর্যায়ক্রমে ইউরোপ ও লাতিন আমিরকায় বিভিন্ন ফুটবল একাডেমির সঙ্গে টেকনিক্যাল টাইআপ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে সারা দেশ থেকে একটি নিরপেক্ষ কমিটির মাধ্যমে ১০ হতে ১১ বছরের ১৫০ জন খেলোয়াড়কে ইউরোপ বা লাতিন আমেরিকার ফুটবল একাডেমিতে উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য প্রেরণ করা হবে। যেখানে তারা লেখাপড়াসহ নিয়মিতভাবে ফুটবল প্রশিক্ষণ নিয়ে পরবর্তীতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের যে কোনো ক্লাবে খেলার উপযোগী হয়ে গড়ে উঠবে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ ফুটবল পর্যায়ক্রমে বিশ্ব মানচিত্রে একটি ভালো অবস্থানে পৌঁছাবে। জাতীয় দলের জন্য আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন কোচ, গোলরক্ষক কোচ, ফিটনেস ট্রেইনার, নিউট্রেশন এক্সপার্ট নিয়োগ দেওয়া হবে। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ (শেরেবাংলা কাপ), জেলা, বিশ্ববিদ্যালয়, সম্মিলিত সামরিক বাহিনীসমূহের অংশগ্রহণের মাধ্যমে পুনরায় চালু করা। সেই সঙ্গে অনূর্ধ্ব-১৯ (সোহরাওয়ার্দী কাপ) পুনরায় চালু করা হবে, জাতীয় ও যুবদলের খেলোয়াড়রা নিজ নিজ জেলার পক্ষে খেলার জন্য প্রয়োজনীয় বিধি রাখা হবে। নিয়মিতভাবে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ/শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপসহ অন্যান্য টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হবে। ফ্র্যাঞ্চাইজি ফুটবল লিগ (বিএসএল) নিয়মিতভাবে ৮টি বিভাগীয় শহরে দেশি-বিদেশি (ইউরোপ-লাতিন আমেরিকা) ফুটবলারদের সমন্বয়ে প্রতি বছর জানুয়ারি-মার্চের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।

সর্বশেষ খবর