মঙ্গলবার, ৩ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

সবাইকে নিয়ে এগোতে চান সালাউদ্দিন

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সবাইকে নিয়ে এগোতে চান সালাউদ্দিন

বাফুফে নির্বাচনে জয়ী কাজী সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে সদস্যরা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান —বাংলাদেশ প্রতিদিন

আমার কারও ওপর ক্ষোভ নেই। এখন ভাবনা শুধু একটাই ফুটবলের উন্নয়ন। টানা তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন কাজী সালাউদ্দিন। গতকাল বাফুফে ভবনে আসার পর সাংবাদিকরা তাকে ঘিরে ধরেন। প্রশ্ন ছিল নির্বাচনে জেতার পর কেমন লাগছে? একটু চুপ থাকলেন, এরপর হাসি দিয়ে বললেন, খুবই ভালো লাগছে ফুটবলের জয়ে। আমি ফুটবলের লোক, কাউন্সিলর ও ডেলিগেটরা আমার ওপর আস্থা রেখে ভোট দিয়েছেন। আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। এখন ফুটবল উন্নয়নে ঝাপিয়ে পড়তে হবে। উন্নয়নে শুধু ২১ জন নির্বাচিত কর্মকর্তা নয়, সবাইকে নিয়ে কাজ করতে হবে। আট বছরে যা করতে পারিনি, এবার সবার সহযোগিতায় তা শেষ করতে চাই। নির্বাচনে তাকে হারানোর জন্য অনেক কিছু ঘটছে। সালাউদ্দিন বললেন, আমার কারও ওপর ক্ষোভ নেই। কেউ আমার শত্রু নয়, সবাইকে বন্ধু মনে করি। আসলে চার বছরে আমার ভাবনায় শুধু থাকবে ফুটবল উন্নয়ন। বড় কোনো প্রতিশ্রুতি দিতে চাই না। যা করা সম্ভব তা লক্ষ্য করে আমি এগুতে চাই।’ শনিবার ভোট হয়েছে। অথচ বাফুফের নির্বাচন ঘিরে এখনো আলোচনায় মুখরিত ক্রীড়াঙ্গন। মনজুর কাদেরের নেতৃত্বাধীন ‘বাঁচাও ফুটবল’ প্যানেলে কেন এই ভরাডুবি। দুই সদস্য ছাড়া তাদের কোনো প্রার্থীই তো জয়লাভ করেনি। এই প্যানেলের ভরাডুবি নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। সত্যি বলতে কি নির্বাচনী প্রচারে সালাউদ্দিন প্যানেল ছিল কোণঠাসা। এরপরও বিশাল বিজয়, আসলে এ নিয়ে চলছে নানা বিশ্লেষণ। কেউ বলছে ফুটবলের বাইরের লোককে সভাপতি প্রার্থী বা অতিরিক্ত সালাউদ্দিনবিরোধী মনোভাব প্রদর্শন করাতে এই হার। যাক এ নিয়ে বাঁচাও ফুটবল প্যানেলের কেউ তেমন মুখ খুলছেন না। তেমনি সালাউদ্দিনের প্যানেলের বিজয়ীরাও নীরব। সদস্য পদে জয়ী ফজলুর রহমান বাবুল বলেন, নির্বাচনে একপক্ষ জিতবে বা হারবে এটাই স্বাভাবিক। নির্বাচন শেষ এখন সব উত্তেজনা শেষ। এখন ফুটবল উন্নয়নে কাজ করতে হবে। রবিবার মে দিবস থাকাতে বিজয়ী প্রার্থীদের কোনো কর্মসূচি ছিল না। গতকাল সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর রোডে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান সম্মিলিত পরিষদের বিজয়ীরা। কাজী সালাউদ্দিন, সালাম মুর্শেদীসহ এই প্যানেলের অধিকাংশ কর্মকর্তা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বনানীতে শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল ও ১৯৭৫ সালে নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের কবর জিয়ারত করেন নবনির্বাচিত কর্মকর্তারা।

সর্বশেষ খবর