ম্যাচের শুরু থেকেই খটকা লাগছিল দর্শকদের। চেক প্রজাতন্ত্রের ফুটবল লিগে বুধবার ছিল গ্রিবাস ও স্লাভিয়াপ্রাগের লড়াই। পিলানি ছিলেন সেই ম্যাচের চতুর্থ রেফারির দায়িত্বে। চূড়ান্ত ম্যাচ বলেই উত্তেজনা তুঙ্গে। তারপরও সবার নজর ছিল পিলানির দিকেই। সাইডলাইনের ধার ঘেঁষে যতবারই হাঁটছিলেন ধরা পড়ছিল পিলানির অস্বাভাবিকতা। একবার তো ঠোকর লেগে উল্টেই পড়ে গেলেন। ধারাভাষ্যকারও তখন খেলা ছেড়ে পিলানিকে নিয়ে হাসি-ঠাট্টায় মেতে উঠেছেন। এই দৃশ্য দেখে মাঠের ফুটবলাররাও আনন্দ পাচ্ছিলেন। কিছুক্ষণ পরই টনক নড়ে ম্যাচ অফিশিয়ালদের। বিরতির সময় পিলানির সামনে আসতেই ব্যাপারটা খোলাসা হয়ে গেল। মদ খেয়ে চুর হয়ে মাঠে ঢুকেছেন চতুর্থ রেফারি। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে মাঠের বাইরে বের করে দেওয়া হয়। পুলিশ যখন তাকে নিয়ে যাচ্ছিল তখন পিলানি অশ্লীল ভাষার গালমন্দ করতে থাকেন। কথা উঠেছে, চেক ফুটবল ফেডারেশনের দায়িত্ব নিয়ে। মাঠে নামার আগে অফিশিয়ালরা নিশ্চয় চার রেফারির সঙ্গে কথা বলেছিলেন। ওই সময় কি কেউ বুঝতে পারেননি পিলানি মাতাল ছিলেন।