মঙ্গলবার, ১৭ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

নাঈমের সেঞ্চুরিতেও মোহামেডানের হার

ক্রীড়া প্রতিবেদক

নাঈমের সেঞ্চুরিতেও মোহামেডানের হার

বাউন্ডারি মেরে খেলা শেষ করেন রনি তালুকদার। তখনো স্কোর বোর্ডে বাকি ৮.৩ ওভার বা ৫১ বল। মোহামেডান-প্রাইম দোলেশ্বরের হাইভোল্টেজ ম্যাচ, অথচ ফল এক তরফা, এক পেশে। ঐতিহ্যবাহী মোহামেডানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা রেসে পুরোপুরি ফিরে এসেছে প্রাইম দোলেশ্বর। হারলেও শীর্ষস্থানচ্যুত হয়নি মতিঝিলপাড়ার দলটি। ৭ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে শীর্ষে রয়েছে মোহামেডান। সহজ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে মোহামেডানের পাশে দাঁড়িয়েছে প্রাইম দোলেশ্বর। মতিঝিলপাড়ার দলটির হারে ব্যর্থ হয়েছে জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার নাঈম ইসলামের সেঞ্চুরি।

পয়েন্ট টেবিলে সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাওয়ার ম্যাচ ছিল মোহামেডানের। কিন্তু মিরপুরে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় সেই সুযোগ হাতছাড়া করে দলটি। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে দোলেশ্বরের দুই পেসার ফরহাদ রেজা ও আল আমিনের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ৪২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে কুঁকড়ে যায়। সেখান থেকে নাঈম একা টেনে তুলেন দলকে। খেলেন মৌসুমে নিজের প্রথম সেঞ্চুরির ইনিংস। ১০০ রান করে পরের বলেই সাজঘরে ফেরার আগে ১৪৭ বলের ইনিংসটিতে বাউন্ডারি হাঁকান ১০টি। নাঈমকে সামান্য সহায়তা করেন আরিফুল হক ২৯ রানের ইনিংস খেলে। টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকে বেরিয়েছে মাত্র ৮ রান। শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার উপল থারাঙ্গা করেন ১০ রান। ম্যাচসেরা ফরহাদ ১০ ওভারের স্পেলে ২৬ রানের খরচে নেন ৩ উইকেট। আল আমিন ৩ উইকেট নেন ৩৪ রানের খরচে। বাঁ হাতি স্পিনার রেজাউল করিম ২ উইকেট নেন।  টার্গেট ১৮৯ রান। ওভারপ্রতি পৌনে চারের সামান্য ওপরে টার্গেটে খেলতে নেমে দোলেশ্বরের দুই ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেন তান্না ও রবিউল ইসলাম রবি ১৩.৫ ওভারে ৫৩ রানের ভিত দিয়ে জয়ের পথ সহজ করে দেন। রবি ১৬ রানে ফেরেন সাজঘরে। ইমতিয়াজ মাত্র ১২ রানের জন্য বঞ্চিত হন চলতি লিগে তৃতীয় সেঞ্চুরি থেকে। ব্যক্তিগত ৮৮ রানে আলগা শট খেলতে গিয়ে এনামুল জুনিয়রের বলে লেগ বিফোর হন ইমতিয়াজ। ১০৯ বলের ইনিংসটিতে ছিল ৭টি চার ও ৩টি ছক্কা। হাফ সেঞ্চুরির ম্যাচ জয়ী ইনিংসটি খেলে রান সংগ্রহে এখন সবার ওপরে ইমতিয়াজ। ৭ রাউন্ড শেষে ইমতিয়াজের রান ৬৭. ৩৩ গড়ে ৪০৪। যাতে সেঞ্চুরি দুটি ও হাফ সেঞ্চুরি দুটি। তৃতীয় সেঞ্চুরি বঞ্চিত হওয়ায় আক্ষেপ ফুটে উঠেছে ইমতিয়াজের কণ্ঠে, ‘দল জিতেছে খুব ভালো লাগছে। সঙ্গে সেঞ্চুরিটি করতে পারলে আরও ভালো লাগত। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করে অপরাজিত ছিলাম। আজ (কাল) সেঞ্চুরি করতে পারলে খুব ভালো লাগত।’ ইমতিয়াজের ৮৮ রান ও ‘ফিনিশার’ নাসির হোসেনের অপরাজিত ৩৭ রানের ইনিংসে জয়ের জন্য প্রাইম দোলেশ্বর ১৯২ রান তুলে নেয় ৪১.৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে। ম্যাচ জিতে হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন দোলেশ্বরের কোচ মিজানুর রহমান বাবুল, ‘আগের দুটি ম্যাচ হেরে চাপে পড়ে গিয়েছিলাম। শিরোপা রেসে টিকে থাকতে হলে আমাদের মোহামেডানকে হারাতেই হতো। আল্লাহর অশেষ রহমত, দিনটি আমাদের ভালো গেছে। দলের ক্রিকেটাররা ভালো খেলেছেন বলেই জিতেছি। যদি জিততে না পারতাম, তাহলে দুই ধাপ এগিয়ে যেত মোহামেডান।’

সংক্ষিপ্ত স্কোর

মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব : ১৮৮/১০, ৪৭.৪ ওভার (মুশফিক ৮, উপল থারাঙ্গা ১০, নাঈম ইসলাম ১০০, আরিফুল হক ২৯, নাজমুল মিলন ১৪, অতি. ১৫। ফরহাদ রেজা ৩/২৬, আল আমিন ৩/৩৪, রেজাউল করিম ২/২৪)।

প্রাইম দোলেশ্বর : ১৯২/৪, ৪১.৩ ওভার (ইমতিয়াজ হোসেন তান্না ৮৮, রবিউল রবি ১৬, রকিবুল হাসান ২৫, নাসির হোসেন ৩৭*, রনি তালুকদার ১২*। আরিফুল হক ২/৩৪)।

ফল : প্রাইম দোলেশ্বর ৬ উইকেটে জয়ী

সর্বশেষ খবর