শনিবার, ২৮ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

প্রধান নির্বাচকের পদ ছাড়ছেন ফারুক!

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রধান নির্বাচকের পদ ছাড়ছেন ফারুক!

২০০৭ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে যখন সুপার এইটে খেলেছিল বাংলাদেশ,  তখন  প্রধান নির্বাচক ছিলেন ফারুক আহমেদ। সেবার টাইগাররা হারিয়েছিল ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো তারকাখচিত ক্রিকেট দলকে। আট বছর পর ২০১৫ সালের ক্রিকেট মহাযজ্ঞে প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালে খেলে বাংলাদেশ। এবারও নির্বাচক প্যানেলের প্রধান ফারুক। দুই দুটি বিশ্বকাপের পারফরম্যান্সই বলে প্রধান নির্বাচক হিসেবে তিনি কতটা সফল। বাংলাদেশের পারফরম্যান্সের গ্রাফ যখন উপরে উঠছে, তখনই বিসিবি নির্বাচক প্যানেলকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করেছে বিসিবি। পরিসর বাড়িয়ে তিনজনের সঙ্গে আরও চারজন যোগ করে সংখ্যা উন্নীত করছে সাতে। বাড়তি চারজনের তিনজন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের হেড কোচ, টিম ম্যানেজার ও বিসিবি পরিচালক এবং ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান। বিসিবির নতুন এই পলিসি মেনে নিতে পারছেন না বলে দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার চিন্তা করছেন ফারুক। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেননি। কিন্তু বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেছেন, ‘পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করা কষ্টকর। তাই আমি সরে দাঁড়ানোর চিন্তা করছি।’ অবশ্য গতকাল রাতে বিসিবি সভাপতির সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কথা ফারুকের। সেখানে আলোচনা কি হয়েছে, তার ওপর নির্ভর করছে তার থাকা, না থাকার বিষয়টি।

২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর দ্বিতীয়বারের মতো প্রধান নির্বাচকের পদে বসেন ফারুক। দায়িত্বের প্রথম এক বছর কঠিন সময় পার করেন। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে মাশরাফি বিন মর্তুজা অধিনায়ক হতেই পারফরম্যান্সের গ্রাফ উপরে উঠতে থাকে। এর মধ্যে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে প্রথমবার কোয়ার্টার ফাইনালে খেলে। ঘরের মাঠে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতে নেয় বাংলাদেশ। এসব পারফরম্যান্স হয়েছে ক্রিকেটার ও টিম ম্যানেজমেন্টের সম্মিলিত রসায়নে। টিম ম্যানেজমেন্টের মধ্যে রয়েছেন নির্বাচক প্যানেলও। এমন সাফল্যের পরও নির্বাচক প্যানেলের পরিসর কেন বাড়ানো হচ্ছে, তার কোনো ব্যাখ্যা দেননি বিসিবির ওয়ার্কিং কমিটির চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন সিরাজ। শুধু বলেছেন, ক্রিকেটের সাফল্যটাকে আরও উপরে নিতেই এই ব্যবস্থা।

সর্বশেষ খবর