মঙ্গলবার, ৩১ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

নির্বাচক কমিটিতে চন্ডিকা হাতুরাসিংহে

ক্রীড়া প্রতিবেদক

নির্বাচক কমিটিতে চন্ডিকা হাতুরাসিংহে

২০১৪ সালের জুনে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের দায়িত্ব নিয়েছিলেন চন্ডিকা হাতুরাসিংহে।  সে সময় তাকে শুধু কোচের দায়িত্বই দেওয়া হয়েছিল। শুরুতে সাফল্য না পেলেও এখন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে সফল কোচ তিনি। তার কোচিংয়ে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনাল খেলে টাইগাররা। দুই বছর আগের হাতুরাসিংহে এখন দেশের ক্রিকেটের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। জাতীয় দলের কোচকে এখন থেকে নতুন দায়িত্বেও দেখা যাবে। তাকে নির্বাচক প্যানেলের সদস্য করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। এ দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে এর আগে শুধু ডেভ হোয়াটমোর নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। হাতুরাসিংহে যে জাতীয় দলের নির্বাচক প্যানেলের সদস্য হচ্ছেন সেটা বিসিবির ওয়ার্কিং কমিটির সভাতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচক প্যানেলে হাতুরাসিংহের অন্তর্ভুক্তির কথা জানান বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

ওয়ার্কিং কমিটি জানিয়েছিল, নির্বাচক প্যানেলের পরিসর তিন থেকে সাতে উন্নীত করা হবে। এই সিদ্ধান্তের আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ না জানালেও সরে দাঁড়ানোর কথা বলেন প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ। মিডিয়াও সমালোচনার বাণে ছিন্নভিন্ন করে তোলে বিসিবিকে। কিন্তু সমালোচনায় কিছু যায় আসেনি বিসিবির। বরং একধাপ এগিয়ে বিসিবি সভাপতি কাল জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সেখানে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-২০ ক্রিকেটে কীভাবে এগিয়ে যাওয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনায় আম্পায়ারিং ইস্যুটিও ছিল। তবে আলোচনার মূলে ছিল নির্বাচক প্যানেল। বিসিবি সভাপতি টেকনিক্যাল কমিটিকে যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দেন কেন নির্বাচক প্যানেলের পরিসর বাড়াতে চাইছেন এবং কেন কোচকে চাইছেন সেখানে। বিসিবি সভাপতির ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হন টেকনিক্যাল কমিটির সবাই। সভা শেষে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘সুপারিশগুলো আলোচনা হয়েছে। আমার সঙ্গে ওনারা সবাই একমত হয়েছেন। ওনাদের সময়ে নির্বাচক প্যানেলের সদস্য ছিলেন। কাজেই আমরা সবাই মনে করি এটা থাকবে।’

এর আগে হোয়াটমোর যখন নির্বাচক প্যানেলের সদস্য ছিলেন, তখনো প্রধান নির্বাচক ছিলেন ফারুক আহমেদ। তখন কোনো সমস্যা হয়নি। কিন্তু এখন কেন প্রতিবাদ করছেন, সেটা বোঝা যাচ্ছে না। কোচকে কেন নির্বাচক প্যানেলের সদস্য করতে চাইছেন, তার ব্যাখ্যায় বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘আমি চাইছি কোচ খেলা দেখুক। তার হাতে যখন সময় থাকে, তখন সে যে বসে না থেকে খেলা দেখেন। আমি চাইছি সবাই ঘরোয়া ক্রিকেটের খেলা দেখুক, উদীয়মান ক্রিকেটারদের খেলা দেখুক। হঠাৎ কোনো ক্রিকেটারের নাম আসুক, কোচ তাকে চিনে না, এটা ঠিক হবে না।’

বিসিবির আগামী পরিচালনা পর্ষদের সভায় কোচের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। ম্যানেজারের অন্তর্ভুক্তির বিষয় সম্পর্কে কিছু জানেন না বলেন বিসিবি সভাপতি। বিসিবি সভাপতি ম্যানেজারের নির্বাচক প্যানেলে থাকার বিষয়ে কিছু জানেন না বললেও ওয়ার্কিং কমিটি যে প্যানেল বাড়ানোর কথা বলেছে, তাতে কোচের সঙ্গে ম্যানেজারের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টিও ছিল। শুধু ম্যানেজার নয়, একজন বিসিবি পরিচালকও থাকবেন প্যানেলে। পদাধিকারবলে সেটা ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান। এক্ষেত্রে ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান আকরাম খানের নাম আসছে। জাতীয় দলের টিম ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজনের থাকার কথা সিদ্ধান্ত অনুযায়ী। খালেদ মাহমুদকে রাখার যৌক্তিক কারণ তিনি ঘরোয়া ক্রিকেটে কোচিং করানোয় অন্য যে কারও চেয়ে স্থানীয় ক্রিকেটারদের অনেক বেশি চিনেন।

সর্বশেষ খবর