কেন্টাকির লুইসভিলে ১৯৪২ সালের ১৭ জানুয়ারি ক্যাসিয়াস মেইসলাস ক্লে জুনিয়রের জন্ম। মাত্র ২২ বছর বয়সে হেভিওয়েটে চ্যাম্পিয়ন হয়ে চমকে দিয়েছিলেন বিশ্বকে। এরপর কত নানা ঘটনা-দুর্ঘটনা ক্যাসিয়াসকে মোহাম্মদ আলী নাম উপহার দিয়ে কিংবদন্তি করে নিয়েছে তা বিশ্ব জানে। ৭৪ বছর বয়সে সর্বকালের সেরা এ অ্যাথলেট বিদায় নিয়েছেন পৃথিবী থেকে। শত কোটি ভক্ত-অনুরাগী আর লক্ষ-অজুত বন্ধু-স্বজন তার বিদায়ে শোকাহত।
বক্সিং কিংবদন্তি মাইক টাইসন তার টুইটার অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘তার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য ঈশ্বরও সাহায্য করতেন। আলিই সেরা।’ ব্যারি ম্যাকগুইন লিখেছেন, ‘ঈশ্বর যেন আলিকে শান্তিতে রাখেন।’ আরও অসংখ্য বক্সিং গ্রেটরা মোহাম্মদ আলির মৃত্যুতে স্বজন হারানোর শোক প্রকাশ করেছেন। কেবল অ্যাথলেটরাই নন, রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে পপ তারকারা পর্যন্ত গভীরভাবে শোকাহত মোহাম্মদ আলির জন্য। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন লিখেছেন, ‘মোহাম্মদ আলি কেবল রিংয়ের চ্যাম্পিয়ন ছিলেন না। তিনি নাগরিকদের অধিকার আদায়েরও একজন চ্যাম্পিয়ন ছিলেন। তিনি ছিলেন হাজারও মানুষের আদর্শ ব্যক্তিত্ব।’ যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প লিখেছেন, ‘৭৪ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করলেন মোহাম্মদ আলি। তিনি ছিলেন সত্যিকারের চ্যাম্পিয়ন এবং একজন অসাধারণ মানুষ। আমরা সবাই তার অভাব বোধ করব।’ হলিউডের অভিনেত্রী নাওমি ক্যাম্পবেল তার টুইটার অ্যাকাউন্টে মনের গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন। পপ তারকা জার্মেইন জ্যাকসন লিখেছেন, ‘বালক হিসেবে আমি রেডিওতে শুনেছিলাম মোহাম্মদ আলি সনি লিস্টনকে হারিয়েছেন। ১৯৭৫ সালের সেই ঘটনায় আমরা বাইরে বেরিয়ে এসেছিলাম আনন্দ করতে। আমাদের জীবন কতই না ধন্য ছিল।’ এভাবে সারা বিশ্বের বহু মানুষ বন্যার মতোই মোহাম্মদ আলির মৃত্যুতে শোক জ্ঞাপন করেছে। আর পৃথিবীর প্রায় সবগুলো পত্রিকাই মোহাম্মদ আলির মৃত্যুকে তাদের অনলাইন ভার্সনে তাত্ক্ষণিকভাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খবর হিসেবে ছেপেছে।