রবিবার, ৫ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

বাংলাদেশের ভারত সফর অনিশ্চিত

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বাংলাদেশের ভারত সফর অনিশ্চিত

২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল ভারত। এরপর বহুবার ভারতকে আতিথেয়তা দিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু গত ১৬ বছরে একবারও প্রতিবেশীর মাঠে টেস্ট খেলার সুযোগ পায়নি। এবার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডই (বিসিসিআই) আগ্রহ দেখিয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল বিসিবিকে। কিন্তু সেই আমন্ত্রণ বোধহয় এখন রাখতে পারছে না বিসিসিআই। অবশ্য সিরিজ না খেলার অনাগ্রহের কথাও জানায়নি। কিছু না জানানোয় এখন অনিশ্চয়তার দোলাচালে দুলতে শুরু করেছে বাংলাদেশের ভারত সফর। তাই বলে বিসিবি এখনই আশা ছাড়ছে না। অপেক্ষায় আছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ইতিবাচক ফোনের অপেক্ষায়। ২০১৪ সালের জুনে বাংলাদেশ সফরে দুই টেস্ট ম্যাচের সিরিজ খেলার কথা ছিল ভারতের। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেললেও খেলেনি কোনো টেস্ট। না খেললেও ভবিষ্যতে খেলার কথা বলেছিল। বাকি থাকার দুই টেস্টের একটি ২০১৫ সালের জুনে খেলে যায় ভারত। অবশিষ্টটি আগস্টে ভারতের মাটিতে খেলার কথা বলেছিল বিসিসিআই। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড শুধু একটি টেস্ট নয়, নিউজিল্যান্ডকে নিয়ে একটি তিন জাতির টুর্নামেন্ট আয়োজনের কথাও বলেছিল। কিন্তু এখন এসবের বিছুই হচ্ছে না। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারত এফটিপি অনুসরণ করে তাদের শিডিউল চূড়ান্ত করেছে। শিডিউলে জুনে জিম্বাবয়ে সফরে ১ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে, জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ৪ টেস্টের সফরসূচি ঘোষণা করেছে বিসিসিআই। অক্টোবরে ৩ টেস্ট ও ৫ ওয়ানডে খেলতে ভারত আসছে নিউজিল্যান্ড এবং নভেম্বরে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৫ টেস্ট ম্যাচ সিরিজ খেলবে ভারত। সব চূড়ান্ত। অথচ আগস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে একটি টেস্ট খেলার যে পরিকল্পনা নিয়েছিল সে বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখেছে ভারত। এতেই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে সিরিজের ভবিষ্যৎ। বিসিবির সিইও নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজন সিরিজ বাতিলের বিষয়ে সরাসরি কিছু বলেননি, ‘আমাদেরকে জানানোর কথা বিসিসিআইয়ের। কিন্তু এখনো জানায়নি। আগামী সপ্তাহে আশা করছি জেনে যাব।’ আগামী সপ্তাহে ইতিবাচক কোনো উত্তর জানতে পারবেন না কিনা, প্রশ্নোত্তরে বলেন, ‘বড় দিন পর্যন্ত ভারত ৮টি টেস্ট খেলবে। তাই সমস্যা হচ্ছে। আমরা চেয়েছিলাম আগস্টে ইডেনে টেস্ট খেলতে। ইডেনে হলে আমাদের দেশ থেকে অনেকে খেলা দেখতে যেতে পারবেন। কিন্তু সে সময় বৃষ্টি থাকবে বলেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না।’ আগস্টের শেষ সপ্তাহ এবং সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ খালি আছে ভারতীয় ক্রিকেটের স্লট। এছাড়া ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতেও স্লট খালি আছে। এ দুটি সময়ের যে কোনো একটিকে বেছে নিতে পারে বিসিসিআই। সে ক্ষেত্রে ডিসেম্বর-জানুয়ারিই হতে পারে উপযুক্ত সময়। কিন্তু বাংলাদেশ ডিসেম্বরে ২ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে ও ২ টি-২০ ম্যাচ খেলতে নিউজিল্যান্ড যাবে। ফলে ওই সময়ে খেলা সম্ভব নয়। এছাড়া ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথম দুই সপ্তাহ খালি আছে। সে সময় টেস্টটির আয়োজন হতে পারে। যাই হউক, বাংলাদেশের সফরটি এখন পুরোপুরি নির্ভর করছে ভারতীয় ক্রিকেটে বোর্ডের মর্জির ওপর। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড শিডিউল যেভাবেই চূড়ান্ত করুক না কেন, বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা অধীর অপেক্ষায় ভারতের মাটিতে টেস্ট খেলা দেখার।

সর্বশেষ খবর