সোমবার, ৬ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

মাশরাফিদের বোলিং কোচ আকিব জাভেদ!

ক্রীড়া প্রতিবেদক

মাশরাফিদের বোলিং কোচ আকিব জাভেদ!

কোনোরকম ইঙ্গিত দেননি। এমনকি ঘনিষ্ঠ কারও সঙ্গে আলোচনাও করেননি। হিথ স্ট্রিক; মাশরাফি বিন মর্তুজা, মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদদের বোলিং কোচ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না থাকায় স্ট্রিক আইপিএলে কোচিং করান গুজরাট লায়ন্সকে। কোচিং করানোর সময় ভারতীয় ক্রিকেট একাডেমির কোচ হতে আগ্রহ প্রকাশ করে জীবন বৃত্তান্ত জমা দিয়েই সবাইকে চমকে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগের ঘোষণা করেন। স্ট্রিকের পদত্যাগে বিসিবি বিস্মিত না হলেও বিব্রত হয়। তার শূন্যস্থান পূরণ করতে চামিন্দা ভাস, ভেঙ্কটেশ প্রসাদ, চম্পকা রামানায়েকের ও পাকিস্তানের আকিব জাভেদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। গতকাল আকিব জাভেদকে বোলিং কোচ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় পরিচালনা পর্ষদের সভায়। সভা শেষে মিডিয়ার মুখোমুখিতে এমনটাই বলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। সভায় সব শর্ত মেনে মূল কোচ চন্ডিকা হাতুরাসিংহের নিয়োগ বাড়িয়েছে বিসিবি। ভারতের মাটিতে এক টেস্টের সিরিজটি আগস্ট থেকে পিছিয়ে সম্ভাব্য তারিখ এখন ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে! নির্বাচক প্যানেলের রং পাল্টে করা হয়েছে দুই স্তরের। 

৩০ জুন হাতুরাসিংহের দুই বছরের মেয়াদ শেষ। নতুন মেয়াদে আরও দুই বছরের জন্য চাচ্ছে বিসিবি। হাতুরার অনীহা ছিল না। কিন্তু ছিল বেশ কয়েকটি শর্ত। গতকালের সভায় শর্ত মেনেই চুক্তির বর্ধিত করে পরিচালনা পর্ষদ। মিডিয়ার মুখোমুখিতে হাতুরাকে রাখার বিষয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘হাতুরার নতুন মেয়াদ নিয়ে আলোচনা হলো। আমরা তাকে রাখতে চাচ্ছি। তিনিও থাকতে চাচ্ছেন। ব্যাপারটি সব সময় এ রকমই ছিল।’ নতুন বোলিং কোচ হিসেবে আকিবের নাম বলেন বিসিবি সভাপতি, ‘আমরা আকিব জাভেদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। সিইও নিজামউদ্দিন জানিয়েছেন, পরশু দিনের মধ্যে হ্যাঁ-না জেনে যাব।’ বোলিং কোচের পাশাপাশি একজন স্পিন কোচ নিয়োগের বিষয়েও চিন্তা করছে বোর্ড।

নির্বাচক প্যানেলের সংখ্যা ৩ থেকে বাড়িয়ে ৭ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। গতকালের সভায় সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি কর্মপরিধিও বৃদ্ধি করেছে। নির্বাচক প্যানেল দুই স্তরের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিন সদস্যের নির্বাচক প্যানেল স্কোয়াডের খেলোয়াড় বাছাই করবেন। এরপর সিলেকশন প্যানেলের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্কোয়াড চূড়ান্ত করবে। তিন সদস্যের সিলেকশন প্যানেলে থাকছে কোচ, ম্যানেজার ও ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান। আগস্টে ভারত সফরে একটি টেস্ট খেলার কথা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু টাইট শিডিউলের জন্য ওই সময়ে আতিথেয়তা দিতে পারছে না ভারত। সিরিজটি পিছিয়ে জানুয়ারিতে হতে পারে ইঙ্গিত দেন বিসিবি সভাপতি, ‘ভারত আমাদের বলেছে খেলা হবেই। তবে তারিখ নিশ্চিত করে বলতে পারেনি। আমাদের সিইও আনুষ্ঠানিকভাবে জানতে চেয়েছেন, সময়ের কথা। দুই-তিন দিনের মধ্যেই জেনে যাব আশা করছি। সিরিজটি জানুয়ারিতে হতেও পারে।’

সর্বশেষ খবর